পুরুষকে বানাল নারী, ৪৫ থেকে ১৪৫ বছর!
স্মার্ট কার্ডের তথ্য বিভ্রাটের ফলে সবেমাত্র ৪৫ বছরের যুবক হলো ১৪৫। একই সঙ্গে নারী থেকে পুরুষ। যা মেনে নিতে পারছেন না কাজী মোহাম্মদ আকরাম।
চট্টগ্রামের ১১ নম্বর দক্ষিণ কাট্টলি উত্তর সরাইপাড়া কাজীর দিঘি কাজী বাড়ির এই বাসিন্দা বয়স সংক্রান্ত জটিলতায় পড়ে সিম কেনা এবং করোনার ভ্যাকসিন নেয়ার জন্য নিবন্ধন করতে পারছেন না।
এরকম অবস্থার শিকার হয়েছেন আরও অনেকেই। যার ফলে নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে ধরনা দিয়েও তেমন সুফল পাচ্ছেন না ভুক্তভোগীরা।
কাজী মোহাম্মদ আকরাম বলেন, আমাকে ১৪৫ বছরের প্রবীণ ব্যক্তি বানিয়ে দিয়েছে এই স্মার্ট কার্ড। আমি এ স্মার্ট কার্ড দিয়ে কাজ করতে পারছি না। আমার পুরো নামটাও আসেনি কার্ডে।
একই পরিস্থিতির শিকার রাসেল পিনারো নামের আরেক ব্যক্তি বলেন, আমার ইংরেজি নামের সঙ্গে বাংলা নামের গরমিল এবং আমাকে পুরুষ থেকে নারী বানানও হয়েছে।
-
আরও পড়ুন... মহাকাশে মোদির ছবি, ডিজিটাল গীতা (ভিডিও)
তবে নির্বাচন কর্মকর্তারা বলছেন, এনআইডি সংশোধন ভোটারের নিজ উপজেলার নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে করতে হয়। এই সমস্যার সমাধান সম্পর্কে উপজেলা কার্যালয় থেকে খোঁজখবর নিলে গ্রাহককে অযথা ভোগান্তিতে পড়তে হয় না।
জানা গেছে, ২০১৫ সালের ১ সেপ্টেম্বর জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধনের ব্যাপারে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। ৩১ অক্টোবরের মধ্যে নির্দিষ্ট ফি জমা দিয়ে আবেদন করার সময়সীমা বেঁধে দেয়া হয়। এসময়ের মধ্যে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন এলাকার প্রায় ৮ হাজার নাগরিক সংশোধনীর জন্য আবেদন করেন। ২০১৭ সালের ১৬ মার্চ থেকে চট্টগ্রামে স্মার্ট কার্ড বিতরণ শুরু হলে দেখা যায় ভুল রয়ে গেছে এই কার্ডেও।
-
আরও পড়ুন... সাধারণ ছুটি নিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ব্যাখ্যা
জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন উইং সূত্র জানায়, আমাদের ওয়েভ সাইটে https://services.nidw.gov.bd/registration রেজিস্ট্রেশন করে নির্দেশনা মেনে জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য সংশোধন কিংবা ছবি পরিবর্তন করা যাবে। যদিও এই পদ্ধতি কষ্টসাধ্য এবং সার্ভার জটিলতায় অনেকে ব্যর্থ হয়েছেন বলে দাবি করেছেন।
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. হাসানুজ্জামান বলেন, এ ধরনের ভুল সংশোধনের জন্য অভিযোগকারীকে নির্দিষ্ট তথ্য-প্রমাণ ও কাগজপত্রসহ উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় এবং আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে যোগাযোগ করতে হবে। এক্ষেত্রে শিক্ষিত শিক্ষিত ব্যক্তির সার্টিফিকেট এবং অশিক্ষিত ব্যক্তির জন্ম সনদ, হলফনামা, কাবিননামা ইত্যাদির প্রয়োজন হয়। পুরোনো কাগজপত্র নিয়ে আসলে সমস্যা হবেই।
আরএস/এম
মন্তব্য করুন