সিঙ্গাপুরে সমস্যা হওয়ায় বাংলাদেশে ইন্টারনেট স্পিড স্লো
আজকে সারা দেশে ইন্টারনেট ধীরগতি দেখা দিয়েছে। মোবাইল ইন্টারনেট ডাটার তুলনায় ব্রডব্যান্ড সংযোগে ধীরগতি ছিল বেশি। শুক্রবার (০৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সব ধরনের ইন্টারনেট সার্ভিসে এ সমস্যা হয়। সিঙ্গাপুরের সার্ভারে ডাটা জটের ফলে বাংলাদেশ কয়েক ঘণ্টা ইন্টারনেট সংযোগে বিঘ্ন ঘটে।
ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার অ্যাসোসিয়েশনের (আইএসপিবি) সভাপতি আমিনুল হাকিম বলেন, সিঙ্গাপুরে ক্লাউডে ডাটা বৃষ্টি হওয়ার কারণে বাংলাদেশ ইন্টারনেট সেবায় বিঘ্ন হয়। অনেক এলাকায় ইন্টারনেট স্পিড একেবারেই স্লো হয়ে যায়।
তিনি আরও বলেন, সিঙ্গাপুরে যোগাযোগ করে তারা জেনেছেন সন্ধ্যার পর সমস্যা নিরসন হয়েছে। যদিও সমস্যাটিকে সাবমেরিন ক্যাবলের কোন সমস্যা বলে আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানগুলো জানায়নি।
এফএ
মন্তব্য করুন
ইন্টারনেট গ্রাহক কমেছে ৩৫ লাখ
দেশে মোবাইল ইন্টারনেটের গ্রাহক দিন দিন কমেই চলেছে। পাঁচ মাসের ব্যবধানে ৩৫ লাখ গ্রাহক কমেছে। গ্রাহকরা জানান, প্যাকেজ সমন্বয়ের নামে মোবাইল অপারেটরগুলো ইন্টারনেটের দাম বাড়ানোই তারা ব্যবহার কমিয়ে দিয়েছেন।
বিটিআরসির অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্যানুযায়ী—২০২৩ সালের আগস্টে মোবাইল ইন্টারনেটের গ্রাহক বেড়ে দাঁড়িয়েছিল ১১ কোটি ৯৭ লাখ ৯০ হাজার। এরপর সেপ্টেম্বর থেকে গ্রাহক কমতে শুরু করে। সেপ্টেম্বরে ২০ হাজার গ্রাহক কমে ১১ কোটি ৯৭ লাখ ৭০ হাজারে নেমে যায়। অক্টোবরে এক লাফে ৩ লাখ ৬০ হাজার গ্রাহক কমে দাঁড়ায় ১১ কোটি ৯৪ লাখ ১০ হাজারে। নভেম্বর প্রায় ৫ লাখ গ্রাহক কমে যায়। ওই মাসে গ্রাহক ছিল ১১ কোটি ৮৯ লাখ ৬০ হাজার। এরপর ডিসেম্বর তা কমে ১১ লাখ ৮৪ লাখ ৯০ হাজারে নেমে যায়। সবশেষ জানুয়ারি মাসে মোবাইল ইন্টারনেট গ্রাহক সংখ্যা কমে ১১ কোটি ৬০ লাখ ৩০ হাজারে নামে।
ইন্টারনেটের সমস্যা নিয়ে ফেসবুকের একটি গ্রুপে আলোচনা করে থাকেন গ্রাহকরা।
গ্রুপে সাজ্জাদুল ইসলাম নামে একজন লেখেন, ‘ইন্টারনেটের প্যাকেজগুলো এমনভাবে তৈরি করা হচ্ছে, যাতে ন্যূনতম ব্যবহারের জন্য সাতদিনের প্যাকেজ কিনতেও ২০০ টাকা খরচ হচ্ছে। আবার অনেক সিমে ঠিকমতো নেটওয়ার্কও পাওয়া যায় না। এজন্য মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহার বন্ধ করে দিয়েছি।’
এ বিষয়ে মোবাইল অপারেটর রবি আজিয়াটা লিমিটেডের চিফ করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অফিসার সাহেদুল আলম গণমাধ্যমকে জানান, নতুন সিদ্ধান্তে ছোট প্যাকেজ কেনা গ্রাহকরা ডাটা কেনা বন্ধ করে দিয়েছেন। আগে যারা তিনদিনের প্যাকেজ কিনতেন, এখন দাম বেশি বলে কিনছেন না তারা। তাই ইন্টারনেট গ্রাহকও কমছে।
বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে বিটিআরসির মহাপরিচালক (এসএস) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল খলিলুর রহমান বলেন, ‘বিষয়টি পর্যালোচনা করা হচ্ছে। পাশাপাশি গণশুনানির আয়োজন করা হচ্ছে। সেখানে গ্রাহকরা কী বলেন, সেটা আমরা শুনবো এবং তা আমলে নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
বাজারে এল শাওমির নতুন পোকো ফোন
বাজারে এলো চীনের হ্যান্ডসেট নির্মাতা প্রতিষ্ঠান শাওমির সাব ব্র্যান্ড পোকো সিরিজের নতুন ফোন পোকো সি৬১। ফোনটিতে ৫০০০ এমএএইচ ব্যাটারি সাপোর্ট রয়েছে। এতে একটি ৬.৭১ ইঞ্চির ডট ড্রপ ডিসপ্লে রয়েছে।
এ ছাড়াও ফোনটিতে ৯০ হার্জ রিফ্রেশ রেট এবং ১৮৯ হার্জ টাচ স্যাম্পলিং রেট রয়েছে। স্মার্টফোনটি ৬ জিবি র্যাম ও ৬৪ জিবি স্টোরেজ ভার্সনে পাওয়া যাচ্ছে।
এই স্মার্টফোনটি একটি বাজেট কেন্দ্রিক স্মার্টফোন। এতে সাইড মাউন্টেড ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর সাপোর্ট রয়েছে। এই ফোনের ডিজাইন প্রিমিয়াম। এতে রয়েছে গ্লাস ব্যাক ডিজাইন এবং রেডিয়েন্ট রিং ডিজাইন। ফোনটি দ্রুত ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর দেওয়া হয়েছে।
ফোনটির পুরুত্ব ৮.৩ মিলিমিটার। ওজন ১৯৩ গ্রাম। ফোনটির টাচ স্যাম্পলিং রেট ১৮০ হার্জ। ফোনটি কর্নিং গরিলা গ্লাস ৩ সুরক্ষাসহ বাজারে পাওয়া যাবে। ফোনটিতে ৫০০ নিট পিক ব্রাইটনেস দেওয়া হয়েছে। ডিভাইসটিতে ৫০০০ এমএএইচ ব্যাটারি রয়েছে। এ ছাড়াও ১০ ওয়াট ইনবক্স চার্জার দেওয়া হয়েছে। ফোনটিতে ইউএসবি টাইপ সি পোর্ট সংযোগ রয়েছে।
ফোনটিতে ডুয়াল ক্যামেরা সিস্টেম দেওয়া হয়েছে। ফোনটিতে একটি ৮ মেগাপিক্সেলের এআই ডুয়াল ক্যামেরা সেন্সর রয়েছে, যেখানে সামনে একটি ৫ মেগাপিক্সেলের সেলফি ক্যামেরা সেন্সর রয়েছে। ফোনটিতে মিডিয়াটেক জি৩৬ সমর্থন দেওয়া হয়েছে। ফোনটি ১২ এনএম প্রসেস প্রযুক্তি সমর্থন করে।
নাবালকেরা সামাজিকমাধ্যম ব্যবহার করতে পারবে না
ফ্লোরিডার গভর্নর রন ডিস্যানটিস এই বিলে সই করেছেন। ২০২৫-এর ১ জানুয়ারি থেকে এই আইন কার্যকর হবে। সোশ্যাল মিডিয়া বা সামাজিকমাধ্যম নিয়ে গত কিছুদিন ধরেই নানা পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে আমেরিকায়। সম্প্রতি বাইডেন সরকার সেখানে টিকটক বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে এখনো বিতর্ক চলছে।
তারই মধ্যে ফ্লোরিডার গভর্নর সোমবার জানিয়ে দিলেন, নাবালকেরা যাতে সামাজিকমাধ্যম আর ব্যবহার করতে না পারে, তা নিয়ে একটি আইনে তিনি সই করেছেন। ২০২৫ সালের ১ জানুয়ারি থেকে এই আইন কার্যকর হবে। ১৩ বছর না হলে আর সামাজিকমাধ্যমে অ্যাকাউন্ট খোলা যাবে না।
আইনে বলা হয়েছে, ১৩ বছর বয়স পর্যন্ত সামাজিকমাধ্যম ব্যবহার করা যাবে না। ১৪ এবং ১৫ বছরের বালক-বালিকারা অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে পারবে, কিন্তু তার জন্য বাবা-মায়ের অনুমতি নিতে হবে।
ফ্লোরিডার স্থানীয় সরকার জানিয়েছে, সামাজিকমাধ্যমের এই যুগে এই আইন বাবা-মাকে বাচ্চা বড় করতে সাহায্য করবে। বস্তুত, অনেকদিন ধরেই ফ্লোরিডায় এই বিলটি নিয়ে বিতর্ক হচ্ছে। রাজ্যের স্পিকার পল রেনার চেয়েছিলেন, ১৬ বছরের নিচে কোনো নাবালক সামাজিকমাধ্যম ব্যবহার করতে পারবে না। সেই প্রস্তাব খারিজ হলেও তার কাছাকাছি একটি প্রস্তাব শেষপর্যন্ত আইনের চেহারা পেয়েছে।
এদিন রেনার বলেছেন, সামাজিকমাধ্যম ভরে আছে পেডোফিল এবং পাচারকারীতে। তারা সামাজিকমাধ্যমকে ব্যবহার করে নাবালকদের উত্তেজিত করে এবং অন্ধকার জগতের দিকে টেনে নিয়ে যায়। শুধু তা-ই নয়, তার মতে, সামাজিকমাধ্যম বাড়ন্ত শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্যের ক্ষতি করে। এটা এক ধরনের নেশা তৈরি করে, যা বাচ্চাদের সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত করে। এই বিলটি নিয়ে বিতর্কের সময় দুইটি বিষয় সামনে এসেছিল। একদিকে শিশু-সুরক্ষা, অন্যদিকে বাকস্বাধীনতা। সামাজিকমাধ্যম ব্যবহারের অধিকার এভাবে ছিনিয়ে নেওয়া যায় কি না, তা নিয়ে অনেকেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন। কিন্তু শেষপর্যন্ত বলা হয়েছে, শিশুর মানসিক স্বাস্থ্য অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তাই তাকেই সবার আগে গুরুত্ব দিতে হবে।
মোবাইল ব্যবহারে দেশে পুরুষদের পেছনে ফেলেছেন নারীরা
দেশে গত কয়েক দশকে বেড়েছে মোবাইল ও তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার। আর মোবাইল ব্যবহারে দেশে পুরুষদের তুলনায় এগিয়ে আছে নারীরা। দিন দিন পুরুষদের মধ্যে মোবাইল ব্যবহারে আগ্রহ কমছে, অন্যদিকে নারীদের আগ্রহ বাড়ছে।
সম্প্রতি প্রকাশিত বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) এক জরিপ প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।
বিবিএস এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২২ সালে পুরুষ মোবাইল ব্যবহারকারী ছিল ৮৬ দশমিক ৯ শতাংশ, যা ২০২৩ সালে কমে হয়েছে ৮৬ দশমিক ৫ শতাংশ। বছরের ব্যবধানে শূন্য দশমিক ৪ শতাংশ কমেছে মোবাইল ব্যবহারকারী পুরুষ।
অন্যদিকে, ২০২২ সালে নারী মোবাইল ব্যবহারকারীর হার ছিল ৬১ দশমিক ৪ শতাংশ, যা ২০২৩ সালে বেড়ে হয়েছে ৬২ দশমিক ৮ শতাংশ। অর্থাৎ বছরের ব্যবধানে নারী ব্যবহারকারী যেখানে বেড়েছে ১ দশমিক ৪ শতাংশ, সেখানে পুরুষ ব্যবহারকারী কমেছে শূন্য দশমিক ৪ শতাংশ।
এদিকে মোবাইল ফোন ব্যবহারের দিক থেকে গ্রাম ও শহরের মধ্যে ছিল বিস্তর বৈষম্য। তবে দিন দিন সেই বৈষম্য দূর হচ্ছে। বর্তমানে শহরের সঙ্গে তাল মিলিয়ে গ্রামেও বাড়ছে মোবাইল-ইন্টারনেটের ব্যবহার। এমনকি বৃদ্ধির হার শহরের তুলনায় এখন গ্রামে অনেক বেশি। শুধু তাই নয়, বর্তমানে শহরে কমছে মোবাইল ফোন ব্যবহারের হার। যদিও এখনো মোবাইল ফোন ব্যবহারকারী শহরে বেশি।
বিবিএসের প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, বর্তমানে দেশে ১৫ বছরের ঊর্ধ্বে মোবাইল ব্যবহারকারীর হার মোট জনসংখ্যার ৭৪ দশমিক ২ শতাংশ। ২০২২ সালে এই হার ছিল ৭৩ দশমিক ৮ শতাংশ। এই হার শহরে ৮২ দশমিক ৭ শতাংশ এবং গ্রামে ৭১ দশমিক ৬ শতাংশ। এই হিসাবে এখনো শহরে মোবাইলের ব্যবহার বেশি। তবে বৃদ্ধির হার শহরের তুলনায় গ্রামে বেশি।
২০২০ সালে গ্রামে মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীর হার ছিল ৬৯ দশমিক ৭ শতাংশ। ২০২৩ সালে সেটা বেড়ে হয়েছে ৭১ দশমিক ৬ শতাংশ। অর্থাৎ তিন বছরের ব্যবধানে প্রায় দুই শতাংশ বেড়েছে ব্যবহারকারী। আর ২০২২ সালে ছিল ৭১ শতাংশ। বছরের ব্যবধানে বেড়েছে শূন্য দশমিক ৬ শতাংশ।
অন্যদিকে, ২০২২ সালে শহরে মোবাইল ব্যবহারকারীর হার ছিল ৮৩ দশমিক ১ শতাংশ। ২০২৩ সালে কমে হয়েছে ৮২ দশমিক ৭ শতাংশ। বছরের ব্যবধানে কমেছে শূন্য দশমিক ৪ শতাংশ। আর ২০২০ সালে শহরে ৮২ দশমিক ৫ শতাংশ মোবাইল ব্যবহারকারী ছিল। চার বছরে বেড়েছে মাত্র শূন্য দশমিক ২ শতাংশ। অর্থাৎ চার বছরের ব্যবধানে শহরের চেয়ে গ্রামে মোবাইল ফোন ব্যবহারকারী বেড়েছে ১ দশমিক ৭ শতাংশ।
শহরের সঙ্গে গ্রামেও বাড়ছে ইন্টারনেটের ব্যবহার। প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২২ সালে গ্রামে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর হার ছিল ৪১ দশমিক ২ শতাংশ, যা ২০২৩ সালে বেড়ে হয়েছে ৪৬ দশমিক ১ শতাংশ। অর্থাৎ বছরের ব্যবধানে গ্রামে ৫ শতাংশ হারে বেড়েছে ইন্টারনেট ব্যবহারকারী। শহরে এই সময়ে ইন্টারনেটের ব্যবহার বেড়েছে ৩ দশমিক ৫ শতাংশ। অর্থাৎ ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর দিক থেকেও বৃদ্ধির হার শহরের তুলনায় গ্রামে বেশি।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অতিসম্প্রতি মোবাইল ফোন ও ইন্টারনেটের ব্যবহার বাড়ার পেছনে রয়েছে অনলাইন জুয়া ও পর্নোগ্রাফি। অনলাইনে জুয়া খেলার হার সবচেয়ে বেশি। তথ্যপ্রযুক্তির নেতিবাচক ব্যবহার বন্ধে কার্যকর উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তারা।
বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, গ্রামের অনেকে প্রবাসে থাকে, তাদের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য মোবাইলের ব্যবহার বাড়ছে। একই সঙ্গে মানুষের সক্ষমতাও আগের থেকে বেড়েছে। তবে গ্রামে মোবাইল ব্যবহারকারী বাড়ার পেছনে বর্তমানে অন্যতম কারণ অনলাইন জুয়া ও পর্নোগ্রাফি। এ কারণে ইন্টারনেটের ব্যবহারও বেড়েছে।
তিনি বলেন, গ্রামের কিশোর-তরুণরা অনলাইনে জুয়ায় আসক্ত হচ্ছে। এ ছাড়া পর্নোগ্রাফি দেখার প্রবণতাও রয়েছে। পাশাপাশি অনেকে মোবাইলে গেম খেলে। এসব কারণে মোবাইল ও ইন্টারনেট ব্যবহার বাড়ছে। শহরে কমার বিষয়ে তিনি বলেন, তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের বিভিন্ন ডিভাইসের সহজলভ্যতা এবং বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত থাকার কারণে শহরে মোবাইলের ব্যবহার কম।
মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, শহরের সঙ্গে গ্রামেও ব্যবহারকারী বাড়াটা ভালো খবর। তবে গ্রামপর্যায়ে এটার নেতিবাচক প্রভাব বেশি পড়ছে। এখান থেকে উত্তরণে বিটিআরসিকে আমরা বারবার অনুরোধ জানিয়েছিলাম, কিন্তু তেমন কোনো উদ্যোগ দেখা যায় না।
ফেসবুক-ইনস্টাগ্রামের আদলে বাংলাদেশি যুবকের ‘সোশ্যাল জলি’
বর্তমানে ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামে অ্যাকাউন্ট নেই এমন মানুষের সংখ্যা খুবই কম। সোশ্যাল এসব সাইটের মাধ্যমেই এখন পুরো বিশ্বের তথ্য জানা যাচ্ছে। এমন বাস্তবতায় ‘সোশ্যাল জলি’ নামে নতুন একটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম তৈরি করেছেন পাবনার যুবক মিঠু ইসলাম।
অ্যাপটি তৈরি করতে ২০২৩ সালের আগস্টে ভারতের একটি ডেভেলপার কোম্পানির সঙ্গে যোগাযোগ করেন মিঠু। পরে তারাই ‘সোশ্যাল জলি’ নামে অ্যাপটি তৈরি করে দেয়।
গুগল প্লে-স্টোর থেকে অ্যাপটি ইনস্টল করার পর রেজিস্ট্রেশন করে যে কেউ ব্যবহার করতে পারবেন। অ্যাপটিতে টেলিভিশন, চ্যাটজিপিটি, পডকাস্ট, রিলস, ভিডিও, হাইলাইট, কম্পিটিশন, ক্লাব, স্টোরি, শপসহ বিভিন্ন ফিচার রয়েছে।
এ বিষয়ে মিঠু ইসলাম বলেন, এটি কোনো জুয়ার সাইট নয়। এটি একটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম। ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামের মতোই অ্যাপটি ব্যবহার করা যাবে। অ্যাপটি চালু হওয়ার পর এখন পর্যন্ত ভালোই সাড়া পাচ্ছি।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে তিনি আরও বলেন, প্রথমেই অ্যাপটি ভেরিফাইড করতে হবে। এরপর লাইসেন্স নিতে হবে। যখন এটি বড় একটি প্লাটফর্ম হবে, তখন এখানে জনবল নিয়োগ হবে, অনেক যুবকের কর্মসংস্থান ব্যবস্থা হবে।
উল্লেখ্য, পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার দাশুড়িয়া ইউনিয়নের মারজানী গ্রামের কৃষক তক্কেল আলী ও মিনারা খাতুন দম্পতির ছেলে মিঠু ইসলাম। দুই ভাইয়ের মধ্যে মিঠু বড়।
২০১২ সালে এসএসসি পাস করেন মিঠু। এরপর ২০১৬ সালে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং পাস করেন। বর্তমানে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পে রোসাটম কোম্পানিতে কর্মরত আছেন তিনি।
বাংলাদেশের ৭৫ লাখ ৯৯ হাজার ভিডিও সরিয়েছে টিকটক
বাংলাদেশে ২০২৩ সালের চতুর্থ প্রান্তিকে কমিউনিটি গাইডলাইন লঙ্ঘনের জন্য ৭৫ লাখ ৯৯ হাজার ৩৪৯টি ভিডিও অপসারণ করেছে টিকটক। সম্প্রতি কমিউনিটি গাইডলাইনস এনফোর্সমেন্ট প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে টিকটক। ২০২৩ সালের চতুর্থ প্রান্তিকের (অক্টোবর-ডিসেম্বর ২০২৩) সময়ের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে। ভুল তথ্যের প্রচাররোধে এবং অনলাইনে নিরাপত্তা বজায় রাখতে টিকটকের অবস্থান প্রতিবেদনটিতে উঠে আসে।
কমিউনিটি গাইডলাইন লঙ্ঘনের দায়ে টিকটক ২০২৩ সালের চতুর্থ প্রান্তিকে বিশ্বজুড়ে প্ল্যাটফর্মটি থেকে মোট ১৭ কোটি ৬৪ লাখ ৬১ হাজার ৯৬৩টি ভিডিও সরিয়েছে, যা প্ল্যাটফর্মটিতে আপলোড করা সকল ভিডিও’র প্রায় ১.০ শতাংশ। এর মধ্যে ১২ কোটি ৮৩ লাখ ৫৮৪টি ভিডিও স্বয়ংক্রিয়ভাবে অপসারণ করা হয়েছে। অন্যদিকে, ৮০ লাখ ৩৮ হাজার ১০৬টি ভিডিও যাচাই-বাছাই করে প্ল্যাটফর্মে পুনরায় রাখা হয়েছে।
বাংলাদেশে ২০২৩ সালের চতুর্থ প্রান্তিকে কমিউনিটি গাইডলাইন লঙ্ঘনের জন্য ৭৫ লাখ ৯৯ হাজার ৩৪৯টি ভিডিও অপসারণ করেছে টিকটক। কমিউনিটি গাইডলাইন রক্ষা করার পাশাপাশি টিকটক সক্রিয়ভাবে স্প্যাম অ্যাকাউন্ট এবং সংশ্লিষ্ট কনটেন্টগুলোর উপর লক্ষ রাখে। একইসাথে স্বয়ংক্রিয়ভাবে তৈরি হওয়া স্প্যাম অ্যাকাউন্ট বন্ধ করতে পদক্ষেপ নেওয়া হয়।
২০২৩ সালের চতুর্থ প্রান্তিকে বাংলাদেশে যেসব ভিডিও সরানো হয়েছে, তার মধ্যে ৯৫.৩ শতাংশ ভিডিও সরানো হয়েছে কেবল একদিনের মধ্যেই। এই প্রান্তিকে ভিডিও অপসারণের হার ছিল ৯৯.৫ শতাংশ। এ ছাড়া ১৩ বছরের কম বয়সী প্ল্যাটফর্ম ইউজার হওয়ার সন্দেহে এবং তরুণদের নিরাপত্তার জন্য অ্যাকাউন্ট সরিয়েছে টিকটক। বিশ্বজুড়ে এমন অ্যাকাউন্ট সরানো হয়েছে মোট ১ কোটি ৯৮ লাখ ৪৮ হাজার ৮৫৫টি।
প্ল্যাটফর্মের সকল ব্যবহারকারীদের নিরাপদ, অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং অকৃত্রিম অভিজ্ঞতা দেওয়ার উদ্দেশ্যে তৈরি করা হয়েছে টিকটকের কমিউনিটি গাইডলাইনটি। প্রত্যেক প্ল্যাটফর্ম ইউজার এবং প্রতিটি কনটেন্টের জন্য সমানভাবে এই নীতিমালা প্রযোজ্য। এই নীতিগুলো প্রয়োগের ক্ষেত্রে ধারাবাহিকতা নিশ্চিত করার প্রচেষ্টায় থাকে প্ল্যাটফর্মটি।
বিটিসিএল ডোমেইন সার্ভারে ত্রুটি, বহু ওয়েবসাইট বন্ধ!
বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানি লিমিটেড (বিটিসিএল) নিয়ন্ত্রিত তিনটি ডোমেইন সার্ভারে ত্রুটি দেখা দিয়েছে। এর ফলে এসব ডোমেইন সার্ভার নিয়ন্ত্রিত বিভিন্ন ওয়েবসাইটে ব্যবহারকারীরা প্রবেশ করতে পারছে না।
বুধবার (৩ এপ্রিল) সকাল ৮টা ৪০ মিনিট থেকে কারিগরি ত্রুটি দেখা দিয়েছে। তবে ডট বাংলা ডোমেইন সার্ভিস যথারীতি চালু আছে।
এ বিষয়ে বিটিসিএল-এর জেনারেল ম্যানেজার (জনসংযোগ ও প্রকাশনা) মীর মোহাম্মদ মোরশেদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানা গেছে, বিটিসিএল-এর ডটবিডি ডোমেইন সার্ভিস বুধবার সকাল ৮টা ৪০মিনিট থেকে কারিগরি ত্রুটির কারণে বন্ধ আছে। তবে ডট বাংলা ডোমেইন সার্ভিস যথারীতি চালু আছে। ত্রুটি নিরসনের জন্য কারিগরি টিম কাজ করছে। আশা করা যায় সার্ভিসটি খুব দ্রুতই চালু করা সম্ভব হবে।
বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানি লিমিটেডের ডিজিএম (ডোমেইন) আনোয়ার পারভেজ বলেন, ‘হঠাৎ করেই পরিষেবায় বিভ্রাট দেখা দিয়েছে আমরা জলদি বিকল্প ব্যবস্থা তৈরি করছি। প্রস্তুত হলেই পুনরায় সচল হবে সব ওয়েবসাইট।’
দুঃখ প্রকাশ করে তিনি আরও বলেন, কী কারণে এমন হলো এখনও আমরা খুঁজে বের করতে পারিনি। তবে এখন আমরা সমস্যা খোঁজার থেকে বিকল্পভাবে সচল করছি। কেন না, এখন পর্যন্ত আমাদের সব কিছু সচল দেখছি। কোনো সমস্যা খুঁজে পাইনি। মূল সমস্যা খুঁজে পাওয়া সময়সাপেক্ষ। তবু আমরা খুব দ্রুতই সমাধান করে গ্রাহক সেবা দিতে পারব।
ডোমেইন সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো জানিয়েছে, বাংলাদেশের ভার্চুয়াল জাতীয় পরিচয়ের রুট ডোমেইন নেটওয়ার্ক সিস্টেমে (ডিএনএস) ত্রুটি দেখা দিয়েছে। ফলে ডট গভ ডট বিডি, ডট কম ডট বিডি এবং ডট বাংলা এই তিন ডোমেইনে থাকা সরকারি-বেসরকারি ওয়েবসাইটগুলো অনলাইনে ‘আন অ্যাভেইলেবেল’ দেখাচ্ছে। তবে সকাল থেকে পরিস্থিতি কিছুটা শিথিল হতে শুরু করেছে।