মার্কিন নির্বাচনে বিজ্ঞাপনের রেকর্ড গড়তে যাচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়া
মহামারির এই সময়ে নির্বাচনী প্রচার প্রচারণা চালানোর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হচ্ছে বিজ্ঞাপন। টেলিভিশনের পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতেও তাই কোটি কোটি ডলার খরচ করে বিজ্ঞাপন প্রচার করছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং জো বার্ডেন।
প্রাণঘাতি করোনায় আক্রান্ত হওয়ার কারণে সরাসরি মাঠে নেই ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাই বলে থেমে নেই প্রচার প্রচারণা! ‘কিপ আমেরিকা গ্রেট’ স্লো গানে রিপাব্লিকান প্রার্থীর সকল ধরনের বিজ্ঞাপন প্রচার করছেন।
ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রার্থী জো বার্ডেনও শত কোটি টাকা খরচ করে তুলে ধরছেন প্রেসিডেন্টের নানা ব্যর্থতা। দীর্ঘদিন ধরেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রচার প্রচারণার অন্যতম অনুষঙ্গ বিজ্ঞাপন। মহামারি পরিস্থিতিতে শারীরিক দূরত্ব রক্ষার বাধ্যবাধকতার জন্য এবার বিজ্ঞাপনের গুরুত্ব বেড়েছে বহুগুণ। মূলধারার গণমাধ্যম, টেলিভিশনের পাশাপাশি প্রার্থীরা প্রচুর পরিমাণে বিজ্ঞাপন দিচ্ছে গুগল ফেসবুকের মত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
বিরোধী পক্ষের ব্যর্থতা, দুর্বলতা, এমনকি ব্যক্তিগত আক্রমণ কি নেই এইসব বিজ্ঞাপনে। বার্ধক্য স্পষ্ট হওয়ায় ডেমোক্র্যাটিক প্রার্থীকে খোঁচা দিতেও দেখা যাচ্ছে। বাইডেনের বিরুদ্ধে চীন সম্পৃক্ততা অভিবাসন এবং সন্ত্রাসবাদকেও ইস্যু করা হচ্ছে বিজ্ঞাপনে।
আরও পড়ুন :
মধ্যপ্রাচ্যে ভাড়াটে হ্যাকারের প্রভাব বাড়ছে
যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যম বিশেষজ্ঞ এমার পিটার এমারসন জানান, মানুষের আবেগকে পুঁজি করে প্রচারণা চালানো হচ্ছে সবচেয়ে সহজ কাজ। এই কাজটাই করছেন দুই প্রার্থী। মানুষের ভয় আর আতঙ্কে ব্যবহার করছে। আর এক্ষেত্রে নিরাপত্তা, বর্ণবাদ, সংস্কৃতিকে ইস্যু করা হচ্ছে প্রতিনিয়ত।
তবে ট্রাম্প অসুস্থ হওয়ার পর ব্যক্তিগত আক্রমণের বিজ্ঞাপনগুলো বন্ধ রেখেছে বাইডেন শিবির। কিন্তু প্রেসিডেন্টকে ঠেকাতে বিজ্ঞাপনে তাদের মূল অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে বর্ণবাদ, অর্থনৈতিক বৈষম্য, বেকারত্ব, মানবাধিকার পরিস্থিতি এবং স্বাস্থ্যখাতে ব্যর্থতা।
এবারে নির্বাচনে বিজ্ঞাপন ব্যয় ৭০০ কোটি ডলার ছাড়াবে বলে ধারণা করছেন নির্বাচনী পর্যবেক্ষকদল।
জিএ
মন্তব্য করুন