ইরাকের রীতি তোপধ্বনি দিয়ে রমজানের নতুন চাঁদকে স্বাগত জানানো
এবার মাহে রমজানে আরটিভি’র বিশেষ আয়োজন ‘রমজান দেশে দেশে’। আজ থাকছে ইরাকের রমজান সংস্কৃতির কথা।
মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধবিধ্বস্ত ইরাকে আগের মতো জৌলুস না থাকলেও রমজানের প্রস্তুতি শুরু হয় মাসখানেক আগে। আপন ঐতিহ্যে রোজাকে স্বাগত জানান পবিত্র ভূমির বাসিন্দারা। এ সময় তাদের সামাজিকতা চোখে পড়ার মতো।
তুরস্কের উসমানীয় আমল থেকে তোপধ্বনি দিয়ে রমজানের নতুন চাঁদকে স্বাগত জানানোর রীতি ইরাকে। তোপধ্বনিতেই ইফতার ও সেহরি করেন ফোরাত তীরের বাসিন্দারা।
পুরো রমজানজুড়ে বাগদাদের শোরজাহ বাজারে চলে নানা স্বাদের খাবারের বিকিকিনি। আগের মতো প্রাণচাঞ্চল্য না থাকলেও সহিংসতা, আতঙ্ক কাটিয়ে ভিড় জমে সাতশ’ বছরের ঐতিহাসিক মার্কেটটিতে।
দুনিয়াজুড়ে খাবারের জন্য সুখ্যাত দেশটির ইফতারেও আছে নানা বৈচিত্র্য। সেখানে গরু, মহিষ বা ছাগলের দুধে রোজা ভাঙেন বেশির ভাগ মানুষ। এরপর বসরার খেজুরের সঙ্গে খান বিশেষ শরবত।
ঘরে ঘরে মিষ্টি, বিরিয়ানি, কাবাব, মুরগির মাংসের নাওয়াশিফ, থারিড রান্না হলেও, ময়দা-চাল-আলুর কুব্বা বুরগাল, কুব্বা হালাব, পটেটো চাপের পাশাপাশি, মিষ্টি ও নুডলস দিয়ে বানানো ‘হালাওয়াত শারিয়া’খুবই জনপ্রিয় ইফতার টেবিলে।
এছাড়া সবজির দোলমা, মাংস-বেগুনের শেখ মাহশি, বাকলাওয়া জিলাবিয়াও থাকে মেনুতে। তারা রোজার শেষ ১০ দিন খান খেজুর-বাদাম-নারকেল-চিনি-জাফরান মেশানো বিস্কুট ক্লেইচা।
বাড়ির ছাদ বা খোলা আঙিনায় সবাই মিলে ইফতার করা ইরাকিদের ভীষণ পছন্দ। পুরো রোজায় চলে প্রতিবেশীদের সঙ্গে ইফতার বিনিময়।
ইফতারে জম্পেশ খানা-পিনা হলেও সেহরিতে করেন অল্পাহার। মাখন দিয়ে রুটি ও শসার সঙ্গে খান আঙুর, লেবু, খেজুরের শরবত।
ফিকাহে হানাফি’র মাতৃভূমির মসজিদে মসজিদে মসজিদে পুরো মাসজুড়ে থাকে উন্মুক্ত ইফতারের ব্যবস্থা।
আরকে/ সি
মন্তব্য করুন