• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo

পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) আজ

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট

  ১০ নভেম্বর ২০১৯, ০৯:২৭
পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) আজ
পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) আজ

পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) আজ। মানবজাতির শিরোমণি মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) এর জন্ম ও ওফাত দিন। প্রায় ১৪০০ বছর আগে ৫৭০ খ্রিস্টাব্দের ১২ রবিউল আউয়াল ইসলামের শেষ নবী (সা.) আরবের মরু প্রান্তরে মা আমিনার কোল আলো করে জন্মগ্রহণ করেন। আবার ৬৩২ খ্রিস্টাব্দের এই দিনে মাত্র ৬৩ বছর বয়সে তিনি ইন্তেকাল করেন। দিনটিকে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী বা সিরাতুন্নবী (সা.) হিসেবে পালন করেন সারা বিশ্বের মুসলমানরা।
আইয়ামে জাহেলিয়াতের অন্ধকার দূর করে তৌহিদের মহান বাণী নিয়ে এসেছিলেন এই মহামানব। প্রচার করেছেন শান্তির ধর্ম ইসলামের। তাঁর আবির্ভাব এবং ইসলামের শান্তির ললিত বাণীর প্রচার সারাবিশ্বে আলোড়ন সৃষ্টি করে। প্রতিষ্ঠা করেন ন্যায় ও ইনসাফ, মানবতা ও কল্যাণ।
মহানবী (সা.) এর জন্ম ও মৃত্যুর এ দিনটি সারা বিশ্বের মুসলমানদের কাছে মর্যাদা ও তাৎপর্যপূর্ণ। মুসলমানরা এ দিনটি উদযাপন করেন বিশেষ গুরুত্বের সঙ্গে। বরাবরের মতো এবারও সারা দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমান ইবাদত-বন্দেগি, মিলাদ, জসনে জুলুস, আলোচনা ও দোয়া মাহফিলসহ বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিবসটি উদযাপন করবেন।
ইসলাম ধর্মমতে, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব হজরত মুহাম্মদ (স) শেষ নবী। সারা আরব জাহান যখন পৌত্তলিকতার অন্ধকারে ডুবে গিয়েছিল, তখন মহান আল্লাহপাক তাঁর প্রিয়নবী মুহাম্মদকে (স) সমগ্র জগতের জন্য রহমতস্বরূপ প্রেরণ করেন। তিনি ৪০ বছর বয়সে নবুয়ত লাভ করেন। এরপর বিশ্ববাসীকে মুক্তি ও শান্তির পথে আহ্বান জানান। সব ধরনের কুসংস্কার, গোঁড়ামি, অন্যায়, অবিচার ও দাসত্বের শৃঙ্খল ভেঙে মানবসত্তার চিরমুক্তির বার্তা নিয়ে এনেছিলেন তিনি। মহানবী (স) দীর্ঘ ২৩ বছর এ বার্তা প্রচার করে ৬৩ বছর বয়সে ইহলোক ত্যাগ করেন।
আজ সরকারি ছুটির দিন। দৈনিক পত্রিকা অফিসগুলোও আজ বন্ধ থাকবে। তাই সোমবার কোনো পত্রিকা প্রকাশিত হবে না। ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে রাজধানীসহ সারা দেশের বড় বড় মসজিদে আয়োজন করা হয়েছে বিশেষ ইবাদত-বন্দেগি ও ধর্মীয় আলোচনা অনুষ্ঠান। বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের পক্ষ থেকে ব্যাপক কর্মসূচির মাধ্যমে দিবসটি উদযাপিত হবে। রাজধানীতে বের হবে বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের জসনে জুলুস। দিনটির গুরুত্ব তুলে ধরে টিভি ও রেডিও চ্যানেলগুলো বিশেষ অনুষ্ঠান প্রচার করবে।
এ উপলক্ষে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। এ ছাড়া বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে বাণী দিয়েছেন।
দিনটি উপলক্ষে সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান ও সশস্ত্র বাহিনীর সব স্থাপনায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে।
জাতীয় পতাকা ও ‘কালিমা তায়্যিবা’ অঙ্কিত ব্যানার ঢাকা মহানগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক দ্বীপ ও লাইট পোস্টে টাঙানো হবে। রাতে গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোয় আলোকসজ্জা করা হবে।
ইসলামিক ফাউন্ডেশন (ইফা) আজ জাতীয় দৈনিকে বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করেছে। দেশের সব বিভাগ, জেলা, উপজেলা, সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ ও বেসরকারি সংস্থাগুলোয় আলোচনা সভা ও মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে।
বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতার দিবসটির গুরুত্ব তুলে ধরে বিশেষ অনুষ্ঠান প্রচার করছে। দেশের সব হাসপাতাল, কারাগার, সরকারি শিশু সদন, বৃদ্ধনিবাস ও মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রে আজ উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হবে।
বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস ও মিশনগুলোয় যথাযথভাবে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) পালন করা হবে। দিনটি উদযাপনে বিভিন্ন ধর্মীয় ও সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনও নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
সি/

মন্তব্য করুন

daraz
  • ধর্ম এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh