কুরবানির গোশত অন্য ধর্মাবলম্বীকে দেওয়া জায়েজ
কুরবানির গোশত বন্টন
মাসআলা: শরিকে কুরবানি করলে ওজন করে গোশত বন্টন করতে হবে। অনুমান করে ভাগ করা জায়েজ নয়।(আদ্দুররুল মুখতার ৬/৩১৭;কাযীখান ৩/৩৫১)
মাসআলা: কুরবানির গোশতের এক তৃতীয়াংশ গরীব-মিসকিনকে এবং এক তৃতীয়াংশ আত্মীয়-স্বজন ও পাড়া-প্রতিবেশীকে দেওয়া উত্তম।(ফাতওয়ায়ে আলমগীরী ৫/৩০০)
পশুর শরীরের কোনো অংশ বিক্রি করা
মাসআলা: কুরবানির গোশত, চর্বি ও চামড়া ইত্যাদি বিক্রি করা জায়েজ নয়। বিক্রি করলে পূর্ণমূল্য সদকা করে দিতে হবে।(ফাতওয়ায়ে আলমগীরী ৫/৩০১)
জবাইকারী বা কসাইকে গোশত দেওয়া
মাসআলা: জবাইকারী, কসাই বা কাজে সহযোগিতাকারীকে চামড়া, গোশত বা কুরবানির পশুর কোনো কিছু পারিশ্রমিক হিসেবে দেওয়া জায়েজ হবে না। অবশ্য পূর্ণ পারিশ্রমিক দেওয়ার পর পূর্বচুক্তি ছাড়া হাদিয়া হিসেবে গোশত বা অন্য কিছু দেওয়া যাবে।(ফাতওয়ায়ে আলমগীরী)
জবাই করার নিয়ম
মাসআলা: ধারালো অস্ত্র দিয়ে জবাই করা উত্তম এবং জবাইয়ের পর পশু নিস্তেজ হওয়ার আগে চামড়া খসানো বা অন্য কোনো অঙ্গ কাটা মাকরুহ। (বাদায়েউস সানায়ে ৪/২২৩)
কুরবানির গোশত বিধর্মীকে দেওয়া
মাসআলা: কুরবানির গোশত হিন্দু বা অন্য ধর্মাবলম্বীকে দেওয়া জায়েজ। (ফাতওয়ায়ে আলমগীরী ৫/৩০০)
-------------------------------------------------------
আরও পড়ুন : কুরবানি যোগ্য ও অযোগ্য পশু চিনবেন যেভাবে
-------------------------------------------------------
নিজের কুরবানির গোশত খাওয়া
মাসআলা: কুরবানিদাতার নিজ কুরবানির গোশত খাওয়া মুস্তাহাব।(সুরা হজ্ব,আয়াত:২৮;মুসনাদে আহমদ,হাদিস:৯০৭৮)
ঋণ করে কুরবানি করা
মাসআলা: কুরবানি ওয়াজিব এমন ব্যক্তি যদি ঋণ করে কুরবানি করে, তাহলে তার ওয়াজিব আদায় হয়ে যাবে। তবে সুদের উপর ঋণ নিয়ে কুরবানি করা যাবে না। (ফাতওয়ায়ে আলমগীরী)
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পক্ষে কুরবানি করা
মাসআলা: সামর্থ্যবান ব্যক্তির নবী কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পক্ষ থেকে কুরবারি করা উত্তম। এটি বড় সৌভাগ্যের বিষয়ও বটে। নবী কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হজরত আলী (রা.) কে তার পক্ষ থেকে কুরবানি করার ওসিয়্যত করেছিলেন। তাই তিনি প্রতি বছর নবী কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পক্ষ থেকেও কুরবানি দিতেন। (আবু দাউদ শরীফ ২/২৯; তিরমিজি শরীফ ১/২৭৫; মিশকাত শরীফ ৩/৩০৯)
কুরবানির গোশত দিয়ে খানা শুরু করা
মাসআলা: ঈদুল আজহার দিন সর্বপ্রথম নিজ কুরবানির গোশত দিয়ে খানা খাওয়া সুন্নত। অর্থাৎ সকাল থেকে কিছু না খেয়ে প্রথমে কুরবানির গোশত খাওয়া। এই সুন্নত শুধু ১০ জিলহজের জন্য। ১১ বা ১২ তারিখের গোশত দিয়ে খানা শুরু করা সুন্নত নয়। (তিরমিজি শরীফ ১/১২০)
জবাইকারীকে পারিশ্রমিক দেওয়া
মাসআলা: কুরবানির পশু জবাই করে পারিশ্রমিক দেওয়া-নেওয়া জায়েজ। তবে কুরবানির পশুর কোনো কিছু পারিশ্রমিক হিসাবে দেওয়া যাবে না।(কিফায়াতুল মুফতী ৮/২৬৫)
আরও পড়ুন :
এমকে
মন্তব্য করুন