• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo

অসতর্কতার জন্য হজে যে ভুলগুলো হয়ে থাকে

হাফেজ মাওলানা মো. নাসির উদ্দিন

  ০৮ আগস্ট ২০১৮, ১৫:২৩

হজই একমাত্র ইবাদত, যার নিয়ত করার সময়ই আল্লাহ তাআলার কাছে কবুলের দোয়া করা হয়। অন্যান্য ইবাদত থেকে হজের আমলটি যে কঠিন তা এ থেকেই স্পষ্ট। হজের সঠিক মাসআলার জ্ঞান যেমন জরুরি, তেমনি তা আদায়ের কৌশল এবং পূর্ব অভিজ্ঞতার আলোকে করণীয় বিষয়গুলোর প্রতি পূর্ণ খেয়াল রাখাও জরুরি। হজে যে সকল ভুল হতে দেখা যায় তা সাধারণত উদাসীনতার কারণেই হয়ে থাকে। তাই সাধারণত ঘটে থাকে এমন কিছু ভুল উল্লেখ করা হচ্ছে।

১. ইহরামের দুই রাকাত নামাজের জন্য ইহরাম বিলম্বিত করা

ইহরাম বাঁধার আগে দুই রাকাত নামাজা আদায় করার নিয়ম আছে। তাই অনেককে দেখা যায়, এই দুই রাকাত নামাজের সুযোগ না পাওয়ার কারণে ইহরাম বিলম্বিত করতে থাকে। এমনকি এ নামাজ পড়তে না পারার কারণে কেউ কেউ ইহরাম ছাড়াই মিকাতের ভেতর পর্যন্ত চলে যায় অথচ ইহরাম ছাড়া মিকাত অতিক্রম করা জায়েজ নয়। তারা যেহেতু ইহরামের আগে দুই রাকাত নামাজ আদায়কে জরুরি মনে করে তাই এমনটি করে থাকে। অথচ ইহরামের আগে নামাজ পড়া সকল মাজহাবেই মুস্তাহাব, জরুরি কিছু নয়। পক্ষান্তরে ইহরাম ছাড়া মিকাত অতিক্রম করা নাজায়েজ। সুতরাং ইহরামের আগে নামাজের সুযোগ পেলে তো তা আদায় করা চাই, কিন্তু সুযোগ না পেলে সে কারণে ইহরাম বাঁধাকে বিলম্ব করবে না।(মুসলিম শরীফ,১/৩৭৬; মুসান্নাফে ইবনে আবী শায়বা,হাদিস:১২৯০০)

২. ইহরাম বাঁধার নিয়ম নিয়ে ভুলগুলো

অনেকে মনে করে থাকেন যে, ইহরামের কাপড় পরে নামাজ পড়ার পর নিয়ত করলেই ইহরাম সম্পন্ন হয়ে যায়। এ ধারণা ভুল। এগুলো দ্বারা ইহরাম সম্পন্ন হয় না। নিয়ত আরবিতে করা হোক বা বাংলায়, স্বশব্দে করা হোক বা মনে মনে করা হোক এর দ্বারা ইহরাম সম্পন্ন হয় না, বরং নিয়তের পর তালবিয়া পড়লে ইহরাম পূর্ণ হয়। অতএব বোঝা গেল, ইহরাম সম্পন্ন হয় দুই বস্তুর সমন্বয়ে, এক. হজ বা উমরার নিয়ত করা। দুই. তালবিয়া পড়া।(তিরমিজি শরীফ ১/১০২)

৩. মক্কাগামীদের জন্য জেদ্দায় ইহরাম বাঁধা

কেউ কেউ আগে থেকেই ইহরাম বাঁধা ঝামেলা মনে করে এবং ভাবে যে, ইহরাম বেঁধে নিলেই তো ইহরামের নিষেধজ্ঞা আরোপিত হয়ে যাবে। বিমান যেহেতু জেদ্দায় অবতরণ করবে তাই জেদ্দায় ইহরাম বাঁধার ইচ্ছায় ইহরামকে বিলম্বিত করে। অথচ মিকাতের বাইরের হাজিদের জন্য ইহরাম ব্যতীত মিকাত অতিক্রম করা জায়েজ নেই।

৪. উপমহাদেশ থেকে গমনকারী হাজিদের জন্য মিকাত হল কারনুল-মানাযিল ও যাতু ইরাক। যা অতিক্রম করেই জেদ্দায় যেতে হয়। যদি কেউ বিনা ইহরামে মিকাত অতিক্রম করে তবে তার জন্য পুনরায় মিকাতে ফিরে এসে ইহরাম বেঁধে যাওয়া জরুরি। যদি তা না করে তবে দম ওয়াজিব হবে। যেহেতু বিমানে থাকা অবস্থায় মিকাতের জায়গা নির্ধারণ করা কঠিন বা ঐ সময় ঘুমিয়ে পড়া, অন্যমনষ্ক থাকা ইত্যাদি হতে পারে। তাই বিমানে চড়ার আগে কিংবা বিমানে উঠেই ইহরাম বেঁধে নেওয়ার কথা বলা হয়। (মুসান্নাফে ইবনে আবী শায়বা,হাদিস:১৫৭০২; ফাতওয়ায়ে আলমগীরী ১/২২১)

আরও পড়ুন :

এমকে

মন্তব্য করুন

daraz
  • ধর্ম এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
মহান আল্লাহ যাদের দোয়া ফিরিয়ে দেন না
গোসল ফরজ হলে কি সেহরি খাওয়া যাবে
মাগফিরাতের ১০ দিন যে আমল গুরুত্বপূর্ণ
যে ব্যক্তির রোজা আল্লাহর কাছে মূল্যহীন
X
Fresh