• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo

দৃঢ় মনোবল দুনিয়া ও আখেরাতে সফলকাম করে

হাফেজ মাওলানা মো. নাসির উদ্দিন

  ২৫ জুলাই ২০১৮, ২১:৩৭

দৃঢ় মনোবল মানুষের ইহকালীন ও পরকালীন যে কোনো উন্নতির মূল চাবিকাঠি।দৃঢ় মনোবল ছাড়া উন্নতি অসম্ভব। অল্পতেই হতাশ হয়ে পড়া, উন্নতির ক্ষেত্রে লক্ষ্য ছোট, দীর্ঘ সাধনা না করা এগুলো সবই হীনম্মন্যতার পরিচায়ক। মনোবল যার আছে, সাহস যার আছে, সে ভয় পায় না। ঝুঁকি নিয়ে হলেও সামনে এগিয়ে যায়।লক্ষ্য পূরণে অবিরাম সাধনা যিনি করেছেন তিনিই আপন লক্ষ্যে পৌঁছে গেছেন। ইতিহাসে উন্নতি করা মনীষীদের জীবনে তাই দেখা যায়।

সাহাবি-তাবেয়িদের প্রায় সবাই ছিলেন দৃঢ় মনোবলের অধিকারী। ইতিহাসের পাতা উল্টালেই এর অসংখ্য প্রমাণ চোখে পড়ে। হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, নবী কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ওফাতের (ইন্তেকালের) পর আমি এক আনসারী সাহাবিকে বললাম, চলুন আমরা বড় বড় সাহাবিদের কাছে জিজ্ঞেস করে ইলম বা জ্ঞান অর্জন করি। এখন তাদের সংখ্যা অনেক, একদিন তারা থাকবেন না। আমাদের কাছে তখন লোকজন জানতে আসবে।

তিনি বললেন, এত বড় গুণী সাহাবিগণ থাকতে তোমাকে কে জিজ্ঞাস করতে আসবে?

আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, তার কথা শুনে আমি তাকে বাদ দিয়ে নিজেই চেষ্টা চালিয়ে যেতে লাগলাম। কোনো হাদিস শুনলেই বর্ণনাকারীর দরজায় গিয়ে চাদর বিছিয়ে পড়ে থাকতাম। তার কষ্ট হবে ভেবে আওয়াজ দিতাম না। যখন তিনি বের হতেন, আমাকে দেখে হতবাক হয়ে বলতেন, আল্লাহর রাসূলের ভাতিজা! কী মনে করে? খবর পাঠালেই তো আমি যেতে পারতাম। আমি বলতাম, আমার আসাই বেশি যুক্তিযুক্ত। তারপর আমি তাকে সে হাদিস সম্পর্কে জিজ্ঞেস করতাম। তিনি বললেন, এ তরুণ আমার চেয়ে বেশি বুদ্ধিমান ছিল।

দৃঢ় মনোবলের ফলে কোথায় পৌঁছে ছিলেন তিনি। হতাশা ও দৃঢ় মনোবল না থাকায় মানসিকভাবে আমরা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছি। তাই সাহারি-তাবেয়ি ও মনীষীদের জীবন থেকে আমাদের শিক্ষা নিতে হবে। ভয়-ভীতি ঝেড়ে ফেলতে হবে। ভুলে যেতে হবে অতীত ব্যর্থতা।

এমকে

মন্তব্য করুন

daraz
  • ধর্ম এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh