• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo

রোজা সারা বছরের তাকওয়া সঞ্চয়ের মাস

হাফেজ মাওলানা মো. নাসির উদ্দিন

  ২১ মে ২০১৮, ২১:৫২

রমজান মাস মুমিনের জন্য গোটা বৎসরের একটা তাপকেন্দ্র। এ মাস থেকেই মুমিন বান্দারা গোটা বৎসরের তাকওয়া সঞ্চয় করে। সারা বৎসরের ইমানি প্রস্তুতি এ মাস থেকেই গ্রহণ করে। নবী কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, মুসলমানদের জন্য এর চেয়ে উত্তম মাস আর নেই এবং মুনাফিকদের জন্য এর চেয়ে ক্ষতির মাস আর নেই। মুসলমান এ মাসে (গোটা বৎসরের জন্য) ইবাদতের শক্তি ও পাথেয় সঞ্চয় করে। আল্লাহর রাসুল আরও বলেছেন, এ মাস মুমিনের জন্য গণিমত এবং মুনাফিকের জন্য ক্ষতির কারণ।

(মুসনাদে আহমদ ২/৩৩০; মাজমাউয যাওয়ায়েদ ৩/১৪০; এবং ইবনে খুযাইমাতেও এই হাদিসটি আছে, হাদিস-১৮৮৪)

এ মাস রহমত, বরকত, মাগফিরাত ও জান্নাত লাভের মাস। তাই বেশি বেশি আল্লাহ তাআলার শরণাপন্ন হয়ে কান্নাকাটি করে দোয়া করা একান্ত কাম্য। হাদিস শরিফে আছে রোজাদারের দোয়া কবুল হয়। নবী কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তিন ব্যক্তির দোয়া ফেরত দেওয়া হয় না। (১) রোজাদার ব্যক্তির ইফতারের পূর্ব মুহূর্তের দোয়া (২) ন্যায় পরায়ণ শাসকের দোয়া (৩) মজলুমের দোয়া। এই তিন ব্যক্তির দোয়া আল্লাহ তাআলা মেঘমালার উপরে উঠিয়ে নেন এবং এর জন্য আসমানের দরজাসমূহ খুলে দেওয়া হয়।

তখন আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, আমার ইজ্জত ও মহাসম্মানের কসম! বিলম্বে হলেও আমি অবশ্যই তোমাকে সাহায্য করব।

(সহি ইবনে হিব্বান, ৩৪২৮)

রোজাদারের জীবনের সকল গুনাহ মাফ হয়ে যায়। এ সর্ম্পকে নবী কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি পূর্ণ বিশ্বাস সহকারে সওয়াবের উদ্দেশ্যে রমজানের রোজা রাখে, আল্লাহ তাআলা তার জীবনের সকল গুনাহ ক্ষমা করে দিবেন।

(বুখারী শরীফ, হাদিস-১৯০১)

রোজা কিয়ামতের দিন রোজকারীর জন্য সুপারিশ করবে। এসর্ম্পকে নবী কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, রোজা ও কুরআন মাজিদ কিয়ামতের দিন বান্দার জন্য সুপারিশ করবে। রোজা বলবে, হে মহান আল্লাহ! আমি তাকে দিনের বেলায় পানাহার ও যৌনসম্ভোগ থেকে বিরত রেখেছি। কাজেই তাকে ক্ষমা করে দিন এবং পুরস্কৃত করুন এবং তার ব্যাপারে আমার সুপারিশ কবুল করুন। আর কুরআন বলবে, আমি তাকে রাতে নিদ্রা থেকে বিরত রেখেছি। কাজেই তার ব্যাপারে আমার সুপারিশ কবুল করুন। অতপর তাদের সুপারিশ গ্রহণ করা হবে। (মুসনাদে আহমদ, হাদিস-৬৫৮৯)

নবী কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, রোজা জাহান্নামের আগুন থেকে পরিত্রাণের জন্য একটি ঢাল এবং দূর্গ।

(মুসনাদে আহমদ, হাদিস-৮৯৭২)

এসম্পর্কে নবী কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরও বলেছেন, রোজাদার ব্যক্তির আনন্দ উপভোগের দুটি বিশেষ মুর্হূত রয়েছে। একটি ইফতারের সময়। অপরটি স্বীয় প্রভূর সাথে সাক্ষাতের সময়। (বুখারী শরীফ,১৯০৪ ও মুসলিম শরীফ,১১৫১/১৬৪)

আল্লাহ তাআলা আমাদের সকলকে এই মাসের পরিপূর্ণ রহমত ও বরকত দ্বারা ধন্য করুক এবং আমাদের ইবাদতগুলো কবুল করুন। (আমিন)

এমকে

মন্তব্য করুন

daraz
  • ধর্ম এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
মুমিনুলের প্রতিরোধ ব্যর্থ, ৩২৮ রানে হারল বাংলাদেশ
মহান আল্লাহ যাদের দোয়া ফিরিয়ে দেন না
গোসল ফরজ হলে কি সেহরি খাওয়া যাবে
মাগফিরাতের ১০ দিন যে আমল গুরুত্বপূর্ণ
X
Fresh