• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo

ইসলাম সময়কে অধিক গুরুত্ব দিয়েছে

হাফেজ মাওলানা মো. নাসির উদ্দিন

  ১৬ মার্চ ২০১৮, ১৯:৩৮

জীবন হল সময়ের কতগুলো মিনিট ও সেকেন্ডরই সমষ্টি। এজন্যই বলা হয়ে থাকে ‘সময়টাই জীবন’ অথবা সময় জীবনের মূলধন। আল্লাহ তায়ালা শরীয়তের যাবতীয় বিধি বিধানকে সময়ের সাথে সম্পৃক্ত করে দিয়েছেন। যেমন নামাজ, রোজা, হজ, জাকাত, কুরবানি, ফেতরা, সফর, তায়াম্মুন, মায়ের দুধ পান, আকিকা ইত্যাদি।

এমনকি রাত-দিন, চন্দ্র-সূর্য সবকিছুর নিয়ন্ত্রণ আল্লাহই করেন। সুতরাং সময়ের নিয়ন্ত্রকও তিনি। আল্লাহ তায়ালা বলেন, তিনিই তোমাদের নিয়ন্ত্রক । তোমাদের জন্য সূর্য, চন্দ্র ও তারাসমূহ তারই বিধানের কর্মে নিয়োজিত রয়েছে। নিশ্চয়ই এতে জ্ঞানীদের জন্য রয়েছে নির্দশনাবলী। (সুরা নাহল আয়াতঃ ১২)।

অন্য জায়গায় আল্লাহ তায়ালা বলেন, সূর্য তার নির্দিষ্ট অবস্থানে আবর্তন করে। এটা পরাক্রমশালী, সর্বজ্ঞ আল্লাহর নিয়ন্ত্রণ এবং চন্দ্রের জন্য আমি বিভিন্ন মনজিল নির্ধারিত করছি। সূর্য নাগাল পেতে পারে না চন্দ্রের এবং রাত্রি অগে চলে না দিনের। প্রত্যেকেই আপন আপন কক্ষ পথে চলে। (সুরা ইয়াসিন, আয়াতঃ ৩৮-৪০)।

আল্লাহ তায়ালা আরও বলেন, যিনি সৃষ্টি করেছেন জীবন ও মরণ। যাতে তোমাদেরকে পরীক্ষা করেন কে তোমাদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ? তিনি পরাক্রমশালী ক্ষমাময়। (সুরা মুলক , আয়াতঃ ২)।

হাদিসে কুদতিতে আছে, আদম সন্তান সময়কে গালি দিয়ে আমাকে কষ্ট দেয়, অথচ আমিই সময়ের নিয়ন্ত্রণকারী। রাত্র দিনকে আমিই পরিবর্তন করি। (বুখারি শরিফ)।

সময়ের সাথে মানুষের জীবনের কতগুলো অবস্থার সম্পর্ক রয়েছে। নবী কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক ব্যক্তিকে পাঁচ অবস্থাকে গনিমত মনে করার উপদেশ দেন। ১. যৌবন কালকে বৃদ্ধকাল আসার আগে। ২.সুস্থতাকে অসুস্থাতার আগে। ৩. অভাব অনটন আসার আগে সম্পদকে। ৪. অবসর সময়কে ব্যস্ততার আগে।৫. হায়াতকে মরনের আগে। অর্থাৎ সময় কাজে লাগাও। (ইবনে হিবান)।

হজরত হাসান বসরি (রহ.) বলেছেন, হে আদম সন্তান, তুমি তো কতগুলো দিন মাত্র । যদি একদিন চলে গেল, তোমার একটি অংশই চলে গেল। সুতরাং নিজ হতে নিজের কল্যাণ কিছু করে নাও।

তিনি আরও বলেন, সাহাবায়ে কেরাম সময়কে সোনা রূপা হতে অধিক মূল্য দিতেন।

আল্লাহ আমাদের সকলকে কবুল করুন। (আমিন)

এমকে

মন্তব্য করুন

daraz
  • ধর্ম এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh