• ঢাকা মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo

আজ পবিত্র হজ

অনলাইন ডেস্ক
  ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৬, ০৯:০০

আজ পবিত্র হজ। ‘লাব্বাইকা আল্লাহুম্মা লাব্বাইক, লাব্বাইকা লা শারিকা লাকা লাব্বাইক, ইন্নাল হাম্‌দা, ওয়ান্‌নি’মাতা লাকা ওয়াল্‌মুল্‌ক্‌, লা শারিকা লাকা’ অর্থাৎ (আমি হাজির, হে আল্লাহ আমি হাজির, তোমার কোনো শরিক নেই, সব প্রশংসা ও নিয়ামত শুধু তোমারই, সব সাম্রাজ্যও তোমার)।

আরবি জিলহজ মাসের ৯ তারিখ অনুষ্ঠিত হয় পবিত্র হজের মূল আনুষ্ঠানিকতা। সে হিসেবে আজ হজের দিন। আজ রোববার সকালেই মিনাসহ নানা প্রান্ত থেকে বিশ্ব মুসলিম একত্রিত হবে আরাফার ময়দানে। সবাই সুবিধাজনক জায়গায় বসে ইবাদত করবেন।

আর্থিক ও শারীরিকভাবে সমর্থ পুরুষ ও নারীর জন্য হজ ফরজ। এবার যাঁরা হজে এসেছেন তাঁরা সূর্যাস্তের পূর্ব পর্যন্ত আরাফাতের ময়দানে অবস্থান করে আল্লাহর জিকিরে মশগুল থাকবেন। হজের দিনে সারাক্ষণ আরাফাতে অবস্থান করা ফরজ।

হাদিসের বিধান অনুযায়ী, শনিবার জোহরের পূর্বেই মিনায় এসে অবস্থান করা সুন্নাত এবং তথায় পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় মুস্তাহাব, যা পালনে অধিকাংশ হাজি শনিবারই মিনায় এসে পৌঁছেছেন। তাঁরাই আজ (১১ সেপ্টেম্বর) হজ পালনের জন্য ফজরের নামাজ আদায় করেই কেউ আরাফাতের উদ্দেশে যাত্রা করেছেন, আবার কেউ প্রস্তুতি নিচ্ছেন, কেউ কিছুক্ষণের মধ্যেই রওনা হবেন। কারণ, আজ তাদের হজ আদায়ের মূল কার্যক্রম সম্পন্ন হবে।

সৌদি আরবের বিভিন্ন গণমাধ্যমের তথ্যমতে, বিশ্বের ১৭২টি দেশের প্রায় ২৫ লাখ মুসলমান হজের আনুষ্ঠানিকতা পালনের উদ্দেশে শুক্রবার জুমআর নামাজের পর থেকে শনিবার পর্যন্ত পবিত্র মক্কা নগরী থেকে মিনায় স্থাপিত হাজার হাজার তাঁবুতে এসে অবস্থান নেবেন।

লাখো হজযাত্রীর মিছিলে বাংলাদেশ থেকেও হজ মন্ত্রণালয়ের ব্যবস্থাপনায় অংশগ্রহণ করেছেন ১ লাখ ১ হাজার ৮২৯ জন।

আজ (রোববার) আরাফাতের ময়দানে খুতবার পর জোহর ও আসরের নামাজ আদায় করবেন মুসল্লিরা। তাঁরা সূর্যাস্ত পর্যন্ত সেখানে অবস্থান করে মুজদালিফায় গিয়ে মাগরিব ও এশার নামাজ আদায় করবেন। রাতে সেখানে অবস্থান করবেন খোলা মাঠে। শয়তানের প্রতিকৃতিতে পাথর নিক্ষেপের জন্য প্রয়োজনীয় পাথর (৭০টি) সংগ্রহ করবেন সেখান থেকে।

মুজদালিফায় ফজরের নামাজ আদায় করে হাজিরা কেউ ট্রেনে, কেউ গাড়িতে, কেউ হেঁটে মিনায় যাবেন এবং নিজ নিজ তাঁবুতে ফিরবেন। মিনায় বড় শয়তানকে সাতটি পাথর মারার পর পশু কোরবানি দিয়ে মাথার চুল ছেঁটে (ন্যাড়া করে) গোসল করবেন। সেলাইবিহীন দুই টুকরা কাপড় বদল করবেন। এরপর স্বাভাবিক পোশাক পরে মিনা থেকে মক্কায় গিয়ে পবিত্র কাবা শরিফ সাতবার তাওয়াফ করবেন।

কাবার সামনের দুই পাহাড় সাফা ও মারওয়ায় ‘সাঈ’ (সাতবার দৌড়াবেন) করবেন। সেখান থেকে তাঁরা আবার মিনায় যাবেন। মিনায় যত দিন থাকবেন, তত দিন তিনটি শয়তানকে ২১টি পাথর মারবেন। আবার মক্কায় বিদায়ী তাওয়াফ করার পর নিজ দেশে ফিরবেন।

মন্তব্য করুন

daraz
  • ধর্ম এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh