• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo

কোরবানির পশুর চামড়া নিয়ে যা বলেছেন মহানবী (সা.)

ইসলামি ডেস্ক

  ১৬ জুলাই ২০২১, ১৫:০৬
কোরবানির পশুর চামড়া

কদিন পরই পবিত্র ঈদুল আজহা। এ ঈদে সামর্থ্যবান মুসলিমরা মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের আশায় পছন্দের পশু কোরবানি করেন। কোরবানি দেয়া পশুর চামড়া দিয়ে উপকার করা হয়। তবে এসব চামড়া বিনিময় বা বিক্রি করা শুদ্ধ নয়।

হযরত আলী (রা.) থেকে হাদিসে বর্ণিত রয়েছে যে, হযরত মুহাম্মদ (সা.) আমাকে তার কোরবানির পশু জবাই করার জন্য, পশুর গোশত, চামড়া ও নাড়িভুঁড়ি সদকা করতে নির্দেশ দিয়েছেন। এসবের কোনো কিছু কসাইকে দেয়ার জন্য নিষেধ করেছেন। (বুখারি, হাদিস : ১৭১৭; মুসলিম, হাদিস : ১৩১৭)

পশুর চামড়া কী করবেন? : চামড়ার মূল্যে বা বিনিময়ে কোনো উপকৃত হওয়া যাবে না। এটা স্পষ্ট যে, যিনি কোরবানি করবেন, তিনি পশুর চামড়ার বা গোশত বিক্রির মাধ্যমে এর মূল্য নিজে নিতে পারবেন না এবং চামড়া বা গোশত দিয়ে কসাইয়ের পারিশ্রমিকও শোধ করতে পারবেন না। (ফাতাওয়া হিন্দিয়া : ৫/৩০১)

শরিয়ত মোতাবেক, কোরবানি দেয়া পশুর চামড়া দান করা হচ্ছে উত্তম। তবে কোনো কোরবানিদাতা চামড়া ব্যবহার করতে চাইলে তা পারবেন। এক্ষেত্রে কোনো নিষেধ নেই। যদি দান বা বিক্রি করে তাহলে গরিব, এতিম ও অসহায়দের দিতে হবে। কোরবানি দাতা নিজে চামড়া বিক্রি করার অর্থ খরচ করতে পারবেন না। (ফাতাওয়া কাজিখান : ৩/৩৫৪)

পশুর চামড়া বিক্রির অর্থ সদকা করা : কেউ পশুর চামড়া নিজে ব্যবহার না করে যদি বিক্রি করে তাহলে বিক্রির পুরো অর্থ সদকা করা জরুরি। (ফাতাওয়া হিন্দিয়া : ৫/৩০১)

কোরবানির পশুর চামড়া বিক্রি করলে সেই অর্থ অবশ্যই সদকা করার নিয়তে বিক্রি করতে হবে। সদকা করার নিয়ত না করে যদি কেউ নিজের খরচের নিয়ত করে তাহলে তা গুনাহ ও নাজায়েজ হবে। চামড়ার পুরো মূল্য সদকা করাই জরুরি। (ফাতাওয়া হিন্দিয়া : ৫/৩০১; কাজিখান : ৩/৩৫৪)


এসআর/

মন্তব্য করুন

daraz
  • ধর্ম এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
তীব্র গরমে মহানবী (সা.) যে দোয়া পড়তেন
কোরবানির ঈদের সম্ভাব্য তারিখ
ব্রাজিল থেকে কোরবানির পশু আনতে চায় সরকার
নেশনস কাপে মিশরের সৌভাগ্যের আশায় গরু কোরবানি
X
Fresh