• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo

বিশ্বনবি ঈদের দিন যে কাজগুলো করতেন

আরটিভি নিউজ

  ১৪ মে ২০২১, ০৯:৫৭
বিশ্বনবি ঈদের দিন যে কাজগুলো করতেন
ফাইল ছবি

ঈদের দিনে অনেক গুরুত্বপূর্ণ আমল রয়েছে। যা আমাদের জন্য পালন করা আবশ্যক-

ঈদের দিনের আনন্দই হবে ফজরের নামাজ জামাতের সঙ্গে আদায় করার মাধ্যমে। হাদিসে এসেছে, হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যদি তারা ইশা ও ফজর নামাজের মধ্যে কী আছে তা জানতো তবে হামাগুড়ি দিয়ে হলেও এ দুটি নামাজের জামায়াতে উপস্থিত হতো। (বুখারি ও মুসলিম)

ঈদের দিন সকালে ঈদের নামাজ পড়ার জন্য গোসল করা। হজরত ইবনে ওমর রাদিয়ালাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি ঈদ-উল-ফিতরের দিনে ঈদগাহে যাওয়ার আগে গোসল করতেন।

ঈদের জামাতে যাওয়ার আগে সর্বোত্তম পোশাক পরিধান করা। হজরত ইবনে ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি দুই ঈদের দিনে সর্বোত্তম পোশাক পরিধান করতেন। (বায়হাকি)

ঈদের দিন মানুষ ঈদগাহে একত্রিত হয়, তাই মুসলিমের উচিত আল্লাহর নিয়ামত এবং তার শুকরিয়া আদায় স্বরূপ নিজেকে সর্বোত্তম সাজে সজ্জিত করা। হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘আল্লাহ তাআলা তার বান্দার উপর প্রদত্ত নিয়ামতের প্রকাশ দেখতে পছন্দ করেন।’

ঈদগাহে যাওয়ার আগে সাদকায়ে ফিতর আদায় করা সুন্নত। যাতে গরিব-দুঃখী মানুষও হাসি-খুশি মনে ঈদগাহে সবার সঙ্গে একত্রিত হতে পারে।

ঈদগাহে পায়ে হেঁটে যাওয়া। যদি ওজর থাকে তা সেটি আলাদা ব্যাপার। কারণ ঈদের নামাজ আদায়ের জন্য ঈদগাহে পায়ে হেঁটে যাওয়া সুন্নত। ঈদগাহে এক পথে গিয়ে অন্য পথে ফিরে আসা সুন্নত। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ঈদের দিনে পথ বিপরীত করতেন। (বুখারি) অর্থাৎ যে পথে ঈদগাহে যেতেন সে পথে ফিরে না এসে অন্য পথে বাড়ি ফিরে আসতেন।

ঈদগাহে যাওয়া থেকে শুরু করে ঈদের নামাজ শেষ হওয়া পর্যন্ত তাকবির দেয়া। আল্লাহ বলেন, আল্লাহ তোমাদের সহজ চান, কঠিন চান না, আর যাতে তোমরা সংখ্যা পূরণ করতে পারো এবং তিনি তোমাদের যে হিদায়ত দিয়েছেন তার জন্য আল্লাহর বড়ত্ব প্রকাশ কর (তাকবির) এবং যাতে তোমরা শোকর কর। (সুরা বাকারা : আয়াত ১৮৫)

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ঈদ-উল-ফিতরের দিন ঘর থেকে বের হয়ে ঈদগাহে পৌঁছা পর্যন্ত তাকবির পাঠ করতেন। ঈদের নামাজ শেষ হওয়া পর্যন্ত তাকবির পাঠ করতেন।

ঈদের নামাজ আদায় করার জন্য ঈদগাহে যাওয়া এবং ঈদের মাঠে ইমামের সঙ্গে জামাআতের সহিত ঈদের নামাজ আদায় করা। ঈদের নামাজ জামাআতে আদায়ের পর খুতবা শুনা সাওয়াবের কাজ। হাদিসে এসেছে, হজরত আব্দুল্লাহ বিন সায়েব রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করলাম। যখন তিনি ঈদের নামাজ শেষ করলেন, তখন বললেন, আমরা এখন খুতবা দেব। যার ভালো লাগে সে যেন বসে আর যে চলে যেতে চায় সে যেতে পারে। (আবু দাউদ)

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ঈদুল ফিতরের দিন কিছু খেজুর না খেয়ে বের হতেন না। কোনও কোনও বর্ণনা এসেছে তিনি বিজোড় সংখ্যায় খেজুর খেতেন। সুতরাং ঈদুল ফিতরের দিনে নামাজ আদায় করতে যাওয়ার আগে খেজুর, মিষ্টান্ন বা খাবার গ্রহণ করা।

এসএস

মন্তব্য করুন

daraz
  • ধর্ম এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
ঈদযাত্রায় সড়কে ঝরল ৪০৭ প্রাণ
‘বোরকা পরে গেলেও মানুষ চিনে ফেলে’
ঈদের সপ্তম দিন আরটিভিতে যা দেখবেন
লঞ্চ-ট্রেন-বাসে যাত্রী চাপের মধ্যেই রাজধানীতে ফিরছে মানুষ
X
Fresh