• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo

রোজাদারকে ইফতার করানোর সওয়াব ও তাৎপর্য

ধর্ম ডেস্ক, আরটিভি নিউজ

  ২১ এপ্রিল ২০২১, ১৬:২৩
রোজাদারকে ইফতার করানোর সওয়াব ও তাৎপর্য
রোজাদারকে ইফতার করানোর সওয়াব ও তাৎপর্য

রমজান মাস হচ্ছে মুসলমানদের সংযম ও আত্ম-পরিশোধের মাস। রোজা হচ্ছে একটি ফরজ ইবাদত। এ মাসে ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা সেহরিতে হালাল খাবার খেয়ে সূর্যাস্তের পর ইফতার পর্যন্ত উপবাস থাকে। রমজানে সেহরি ও ইফতার দুটোই গুরুত্বপূর্ণ কাজ। সেহরি যেমন বরকত ও কল্যাণের কাজ ঠিক তেমনই আবার ইফতারও ফজিলতপূর্ণ সওয়াবের কাজ।

এছাড়াও কেউ কাউকে ইফতার করালে তার জন্য রয়েছে অতিরিক্ত সওয়াব ও তাৎপর্য। এতে ইফতার গ্রহণকারী ও ইফতারের আয়োজনকারী কারোরই সওয়াব কমে না।

হযরত মুহাম্মদ (সা.) রোজাদার ব্যক্তিকে ইফতার করানোকে সওয়াব বৃদ্ধি ও গোনাহ মাফের আমল হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। এ বিষয়ে হযরত যায়েদ ইবনে জুহানি রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেছেন, ‘যে ব্যক্তি রোজাদারকে ইফতার করালো তারও রোজাদারের ন্যায় সাওয়াব হবে; তাতে রোজাদারের সওয়াব বা নেকি বিন্দুমাত্র কমানো হবে না। (তিরমিজি, ইবনে মাজাহ, নাসাঈ)

নবী (সা.) এরশাদ করেছেন, ‘যে রোজাদারকে ইফতার করালো, তাকে পানাহার করাল, তাকেও রোজাদারের সমান সওয়াব দেয়া হবে; তাতে তার (রোজাদারের) নেকি বিন্দুমাত্র হ্রাস করা হবে না। (তাবরানি, মুসান্নেফে আব্দুর রাজ্জাক)

এছাড়া রমজান মাসে অনেকে রোজাদার ব্যক্তিকে ইফতারের জন্য দাওয়াত করে থাকেন। এটি অনেক ভালো গুণ। ইফতারের জন্য দাওয়াত করা হলে সেই দাওয়াত গ্রহণ করার মধ্যে কল্যাণ রয়েছে। দাওয়াত গ্রহণের বিষয়ে হযরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু- নিজ ভাষায় একটি বর্ণনা তুলে ধরেন। বলেন, তাঁকে এক মহিলা ইফতারের জন্য দাওয়াত করল, তিনি তাতে সাড়া দিলেন এবং বললেন, ‘আমি তোমাকে (মহিলাকে) বলছি, যে গৃহবাসী কোনো রোজাদারকে ইফতার করাবে, তাদের জন্য তার অনুরূপ সাওয়াব হবে। মহিলা বলল, ‘আমি চাই আপনি ইফতারের জন্য আমার কাছে কিছুক্ষণ অবস্থান করুন, বা এ জাতীয় কিছু বলেছে। তিনি বললেন, ‘আমি চাই এ নেকি আমার পরিবার অর্জন করুক। (মুসান্নেফে ইবনে আব্দুর রাজ্জাক)

এদিকে রমজানে ইবাদত সম্পর্কে হযরত আবু হুরাইরাহ (রা.) থেকে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, প্রত্যেক আদম সন্তান ভালো কাজের প্রতিদান দশ থেকে সাতশ’ গুণ বেশি পাবে। রোজা আল্লাহর জন্য। আল্লাহ নিজেই এর প্রতিদান দেবেন। (মুসলিম–২৭০৭)

এসআর/

মন্তব্য করুন

daraz
  • ধর্ম এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
রোজা রেখে যেসব কাজ করা সুন্নত
ফিতরা প্রদানের গুরুত্ব ও ফজিলত
ঢাবির বটতলায় কোরআন তেলাওয়াতের আসর
রমজানে মেসওয়াকের গুরুত্ব ও ফজিলত
X
Fresh