৪০০ বছরের রহস্যে ঘেরা তুরস্কের ঐতিহ্যবাহী নীল মসজিদ (ভিডিও)
তুরস্কের ঐতিহাসিক ‘নীল মসজিদ’। এই মসজিদটি ৪০০ বছর পরও এখনো সৌন্দর্যের আলো ছড়াচ্ছে। এর সৌন্দর্যের দিকে অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে পর্যটকরা। পৃথিবীর ঐতিহ্যবাহী একটি মসজিদ এই ‘নীল মসজিদ’। সুলতান আহমেদ (দ্বিতীয় সুলতান) যুদ্ধ থেকে পরাজিত হওয়ার পর নির্মাণ করেছিলেন মসজিদটি।
কেন রহস্যে ঘেরা এই ‘নীল মসজিদ’- পাঠকদের জন্য এবার তা বর্ণনা করা হলো। ‘নীল মসজিদ’টি নির্মাণে মিমার সিনান প্রকৌশলী হিসেবে কাজ করেছেন। পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ প্রকৌশলীর মধ্যে তিনি একজন। মসজিদটির ইতিহাস মুসলমানদের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত এই কারণে যে, সুলতান আহমেদ যখন যুদ্ধে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছিলেন তখন সিদ্ধান্ত নেন যে আল্লাহ’র ঘর মসজিদ নির্মাণ করবেন। যারা আল্লাহ’র উপর বিশ্বাস স্থাপন করে তাদের অন্যতম কাজ হচ্ছে মসজিদ নির্মাণ করা।
১৬০৯ থেকে ১৬১৬-এর শেষ পর্যন্ত মসজিদটি নির্মাণের কাজ চলেছে এবং ১৬১৭ সালে মুসলিমদের নামাজের জন্য মসজিদটি খুলে দিয়েছিলেন সুলতান আহমেদ।
অটোমান সাম্রাজ্যের শাসকরা মিশরে ছড়িয়ে পড়ার পর মিশরেও শাসন করেছেন তারা। যে কারণে মিশরের সংস্কৃতি, মসজিদ ও বাড়ি-ঘরের গঠনপ্রণালীতে তুরস্কের সঙ্গে মিল রয়েছে। এমনকি খাদ্য, কথা-বার্তা ইত্যাদি বিষয়ে তুরস্কের সঙ্গে মিল রয়েছে মিশরের। এসব কারণে মিশর ও তুরস্কের মসজিদগুলোয় মিল পাওয়া যায়।
ইউরোপীয় খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীর মানুষরাও শ্রদ্ধাভরে সম্মান করে এই মসজিদকে। তারা এখানে প্রার্থনাও করে। পোপ ফ্রান্সিস ও তার বাবা, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাসহ অনেকে এসে এখানকার গ্র্যান্ড মসজিদের পাশে দাঁড়িয়ে নিজেদের ধর্মের প্রার্থনা করেছেন।
এসআর/
মন্তব্য করুন