• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
logo

মাথা গরমে তালাক নয়, মানতে হবে সঠিক নিয়ম (ভিডিও)

আরটিভি নিউজ

  ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ২১:২৭
ফাইল ছবি

বিয়ে শুধু সামাজিক একটি প্রথা বা রীতিনীতিই নয়, বরং এটি একটি মহৎ ইবাদত। ইসলামের অন্য বিধানের মতো বিয়েও ইসলামের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিধান।

তালাক অত্যন্ত স্পর্শকাতর একটি বিষয়। কেউ এর অপব্যবহার করলে কিংবা ভুল পন্থায় তা প্রয়োগ করলে গুনাহগার হবে। তাই প্রত্যেক বিবেচক স্বামীর দায়িত্ব হলো তালাকের শব্দ কিংবা এর সমার্থক কোনও শব্দ মুখে উচ্চারণ করা থেকে সতর্কতার সঙ্গে বিরত থাকা।

অতি প্রয়োজন ছাড়া স্বামীর জন্য যেমন তালাক দেওয়া জায়েজ নয়, তেমনি স্ত্রীর জন্যও। কিন্তু বর্তমান সমাজে অনেকেই বুঝে, না বুঝেই তালাক দিয়ে দেন। অথচ তালাক হচ্ছে ইসলামে হালাল কোনো বিষয়ের মাঝে নিকৃষ্টতম কোনো বিষয়। তাই তালাক দেয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন ও ইসলামের সঠিক নিয়মেই দিতে হবে।

এ সম্পর্কে জামিয়া আম্বরশাহ আল ইসলামিয়া মাদরাসার সিনিয়র মুহাদ্দিস মুফতি তায়্যিব আহমদ বলেন, বৈবাহিক সম্পর্ক ছিন্ন করার প্রক্রিয়ার নামই তালাক। শরিয়ত পুরুষকে তালাকের ক্ষমতা দিয়েছে। তবে স্বামী যদি স্ত্রীকে সেই ক্ষমতা দিয়ে থাকে তাহলে স্ত্রীও তালাকা দিতে পারবেন। বর্তমান কাবিননামায় সেই ক্ষমতা দেয়ার একটি ধারা রয়েছে।

তিনি বলেন, যদি স্বামী স্ত্রীর মাঝে সম্পর্ক এমন পরিস্থিতিতে পৌঁছে যায় যে মীমাংসার সব চেষ্টা ব্যর্থ হয়, তখনই ইসলামী শরিয়ত তালাকের কথা বলেছে। হাদিস শরিফে রয়েছে, ‘আল্লাহর কাছে বৈধ কাজগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ঘৃণিত কাজ হলো তালাক। ’ (আবু দাউদ : হাদিস : ২১৭৮)

তালাক দেওয়ার ক্ষেত্রে অনেকেই সঠিক নিময় মনে না বা শরিয়তের বিধান না জেনেই তালাক দিয়ে দেন।

এ সম্পর্কে মুফতি তায়্যিব আহমদ বলেন, প্রথমেই তিন তালাক নয়। স্বামী সুস্পষ্ট শব্দে এক তালাক দেবে। এরপর স্বামী যদি স্ত্রীকে ইদ্দত চলা অবস্থায় ফিরিয়ে নেয় তাহলে ভালো। পুনরায় স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক স্বাভাবিক হয়ে যাবে। নতুন করে বিবাহের প্রয়োজন হবে না। আর যদি ইদ্দত চলাকালে স্বামী স্ত্রীকে ফিরিয়ে না নেয়, তাহলে ইদ্দত (তিন ঋতুস্রাব বা তিন মাস) শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বৈবাহিক সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে। স্ত্রী স্বামী থেকে সম্পূর্ণ পৃথক হয়ে যাবে।

যদি ইসলামের নির্দেশনা অনুযায়ী এক তালাক দেওয়া হয় এবং উভয়ে এক সঙ্গে বসবাসের আগ্রহ প্রকাশ করে তাহলে তারা বিয়ে ছাড়াই নতুন জীবন শুরু করতে পারবে। কিন্তু এক তালাকের পরও যদি উভয়ে আগের সিদ্ধান্তে নমনীয় না হয় তাহলে দ্বিতীয় তালাক এবং পরবর্তীতে তৃতীয় তালাক দিবে। আর তৃতীয় তালাকের পর যদি এই স্ত্রীকে গ্রহণ করতে হয় তা হলে তার দ্বিতীয় বিয়ে এবং সেই স্বামী পরিত্যাগ না করলে গ্রহণ করতে পারবে না।

ইসলাম একসঙ্গে তিন তালাক দিতে নিষেধ করেছে। তাই হায়েজের পর প্রত্যেক পবিত্রতার সময় এক তালাক করে তিন তালাক দেবে। এভাবে তিন তালাকের মাধ্যমে তারা সম্পূর্ণ পৃথক হয়ে যাবে।

এমকে

মন্তব্য করুন

daraz
  • ধর্ম এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh