• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo

করোনায় নিউইয়র্কে আরও ৫ বাংলাদেশির মৃত্যু, আইন না মানাকে দুষলেন প্রবাসীরা

নাজমুস সাকিব, যুক্তরাষ্ট্র প্রতিনিধি

  ০৬ এপ্রিল ২০২০, ০৯:৫১
5 more Bangladeshi dies of Corona in New York
সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রে প্রবাসী বাংলাদেশিরা প্রচণ্ড উদ্বেগ এবং উৎকণ্ঠায় দিন কাটাচ্ছেন করোনাভাইরাসে দীর্ঘ মৃত্যুর মিছিলের সাক্ষী হয়ে। গত ২৪ ঘন্টায় নিউইয়র্কে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৫ জন বাংলাদেশি। এ নিয়ে নিউইয়র্কে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন ৬৫ জন। পুরো যুক্তরাষ্ট্রে এখন পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ৭০ জন।

নিউইয়র্কে করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের পাশে দাঁড়াতে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশ অনুযায়ী এক হাজার বাড়তি সেনাসদস্য শুধু নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যে আজ থেকে পাঠানো শুরু হয়েছে অতিরিক্ত চাপ সামলানোর জন্য। এই এক হাজার জনের মধ্যে রয়েছেন সেনা চিকিৎসক, নার্স, শ্বাসতন্ত্র বিশেষজ্ঞ।

এদিকে নিউইয়র্কের বাতাসে বোবা কান্না এবং হতাশার মাঝে আশার আলো হয়ে এসেছে গভর্নর অ্যান্ড্রো কুমোর আজকের সাংবাদিক সম্মেলনটি। আজ সকালে তিনি জানিয়েছেন যে, গত কয়েকদিনের তুলনায় হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যা তুলনামূলকভাবে বেশ কম। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখলে এবং সবাই মিলে এভাবে সম্মিলিত প্রয়াস অব্যাহত রাখলে ধীরে ধীরে আক্রান্ত এবং মৃতের সংখ্যা এভাবেই কমে আসবে।

যদিও বিশ্লেষকরা বলছেন, নিউইয়র্ক তার চূড়ান্ত ভয়াবহ পরিণতি থেকে এখনও আরও ৫ থেকে ৭ দিন দূরে আছে। ধারণা করা হচ্ছে নিউইয়র্কের বিভিন্ন হাসপাতালগুলোতে যে পরিমান পিপিই এবং ভেন্টিলেটর মজুদ আছে, সেগুলা আর অল্প কিছুদিনের মধ্যেই ব্যবহৃত হয়ে যাবে এবং পর্যাপ্ত মেডিকেল সরঞ্জামের একটি ঘাটতি খুব শিগগিরই এখানে দেখা যেতে পারে। অনেক রোগী তখন বিনা চিকিৎসায় মারা যাবেন বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হচ্ছে। এ পরিস্থিতি এড়াতে গভর্নর অ্যান্ড্রো কুমো ট্রাম্প প্রশাসনের কাছে ফেডারেল সহায়তা চেয়েছেন।

অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া অধিকাংশ বাংলাদেশিই নিউইয়র্কের কুইন্স এলাকা থাকতেন। সেখানে আক্রান্ত বাংলাদেশির সংখ্যাও বেশি। নিউইয়র্কের কুইন্স খুবই ঘনবসতিপূর্ণ একটি এলাকা যেখানে প্রচুর বাংলাদেশী বসবাস করেন। আরটিভি অনলাইন এর পক্ষ থেকে বেশ কিছু কুইন্সের প্রবাসী বাংলাদেশির সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। নাম প্রকাশ না করার শর্তে তারা জানান, এখানে বেশির ভাগ বাংলাদেশি ছোট ছোট অ্যাপার্টমেন্টে গাদাগাদি করে থাকেন।

নিউজার্সিতে একটি কেমিক্যাল কারখানায় কর্মরত একজন প্রবাসী বাংলাদেশি নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, অনেকেই ঘণ্টা চুক্তিতে কাজ করেন। এছাড়া করোনায় আক্রান্ত হবার ভয়ে অনেকেই বাংলাদেশি গ্রোসারি দোকানগুলোতে ভিড় করেছিলেন বাড়তি পণ্য দিয়ে ঘর মজুদ করে রাখতে। কিন্তু এভাবে সামাজিক দূরত্বের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে গাদাগাদি করে গ্রোসারি দোকানে ভিড় করে অনেকেই করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, তাছাড়া ঘণ্টা চুক্তিতে যারা কাজ করেন তাদের অনেকেই ঘরে না থেকে কাজে যোগ দিয়ে আক্রান্ত হন ভাইরাসে। আরও বেশি সচেতন হলে এত বাংলাদেশি মানুষ আক্রান্ত হতো না বলে তিনি মনে করেন।

মন্তব্য করুন

daraz
  • প্রবাস এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
পর্তুগালে বাংলাদেশি স্থপতি মেরিনা তাবাসসুমের স্থাপত্য প্রদর্শনী
বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার (১৯ এপ্রিল)
বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার (১৮ এপ্রিল)
মালয়েশিয়ায় ২৩ বাংলাদেশিসহ ২৬ জন আটক
X
Fresh