• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo

দুবাই এক্সপোতে প্রদর্শিত হবে অপ্রতিরোধ্য বাংলাদেশ

মাহাবুব হাসান হৃদয়, সংযুক্ত আরব আমিরাত

  ১৮ আগস্ট ২০২১, ১৫:৫৬
দুবাই এক্সপোতে প্রদর্শিত হবে অপ্রতিরোধ্য বাংলাদেশ
দুবাই এক্সপোতে প্রদর্শিত হবে অপ্রতিরোধ্য বাংলাদেশ

বিশ্বের সর্ববৃহৎ বাণিজ্য মেলা দুবাই এক্সপোতে প্রদর্শিত বঙ্গবন্ধু ও ‘বাংলাদেশের অগ্রগতি অপ্রতিরোধ্য বাংলাদেশ’ আগামী ১ অক্টোবর থেকে ৩১ মার্চ ২০২২ পর্যন্ত দীর্ঘ ৬ মাস জুড়ে বিশ্ববিখ্যাত দুবাই এক্সপো ২০২০ তে দেশের সামগ্রিক অগ্রগতির তুলে ধরা হবে।

বিশ্ববিখ্যাত এই আয়োজনটি গত বছর হওয়ার কথা থাকলেও বৈশ্বিক করোনা মহামারীর প্রাদুর্ভাবের কারণে এই আয়োজনকে চলতি বছরে নিয়ে আসা হয়। বর্তমানে দুবাই এক্সপোকে ঘিরে আয়োজকদের প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন। আয়োজক দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাত প্রত্যাশা করছেন ১৯২টি দেশের অংশগ্রহণে ২০০ এর মতো প্যাভেলিয়নে প্রায় ২৫ মিলিয়ন দর্শনার্থী উপস্থিত হবে। মূল আয়োজনকে ঘিরে প্রতিদিন হবে ৬০টির মতো শো, ২০০টির মতো রেস্টুরেন্ট।

এই বাণিজ্যমেলায় বিশ্ব দেখবে এক অপ্রতিরোধ্য বাংলাদেশকে, যার মূল থিমে রয়েছে‘টেকসই উন্নয়নের পথে অপ্রতিরোধ্য বাংলাদেশ’। অবকাঠামো নির্মাণ ও নিজেদের প্যাভিলিয়নসহ এই কাজে ধরা হয়েছে প্রায় ২২ কোটি টাকা। বাংলাদেশ প্যাভিলিয়নের বাইরের দৃশ্য রয়েছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি ছাড়াও বাংলাদেশের বৈচিত্র্যময় সৌন্দর্যের ছবি দিয়ে সাজানো হয়েছে। এদিকে বাংলাদেশের অংশগ্রহণকে ঘিরে প্রবাসীদের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখা দিয়েছে।

বিশেষ সূত্রে জানা যায়, বৃহত্তর এই প্রদর্শনীতে অংশ নিয়ে বাংলাদেশর নিজেদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, মানবসম্পদ উন্নয়ন, বাণিজ্য ও বিনিয়োগের সুযোগ, প্রতিযোগিতামূলক ও দক্ষ জনশক্তির প্রাপ্যতা, নারীর ক্ষমতায়ন, জলবায়ু স্থিতিস্থাপকতা, সাফল্যের গল্প, ডেল্টা প্ল্যান, ভিশন-২০২১, ভিশন-২০৪১, সাংস্কৃতিক, পর্যটন সম্ভাবনা, প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান, যোগাযোগ ও জীববৈচিত্র্য ইত্যাদি প্রদর্শন করবে। এছাড়া জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিক উদযাপন বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দিতে থাকবে নানা বিশেষ আয়োজন।

এই প্রদর্শনীর জন্য ইতোমধ্যে দুবাইয়ের জেবল আলীর এক্সপো অঞ্চলে বাংলাদেশের দ্বিতল প্যাভিলিয়নে ডিসপ্লে সেন্টার নির্মাণ করা হয়েছে। নিচতলায় ৪৩৬ বর্গমিটার জায়গায় ডিজিটাল প্রদর্শনী ছাড়াও থাকবে অফিস, কনফারেন্স রুম, বি টু বি মিটিং হল। প্যাভিলিয়নের দ্বিতীয়তলায় জায়গা বরাদ্দ রয়েছে ৩৮২ বর্গমিটার।

দুবাই ও উত্তর আমিরাত বাংলাদেশ কনস্যুলেটের কনসাল জেনারেল বিএম জামাল হোসেন বলেন, বাংলাদেশের বাণিজ্য বৃদ্ধিতে যে ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া দরকার এবারের এক্সপোতে সেই ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। বেজা, হাইটেক পার্ক অথরিটি, পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ অথরিটির মতো যে সমস্ত সংস্থা বাংলাদেশে বিনিয়োগ নিয়ে কাজ করে, সেসব সংস্থা এখানে অংশগ্রহণ করবে। তারা তাদের কর্মকাণ্ড তুলে ধরবে। এছাড়া ভিন্ন ভিন্ন কোম্পানি আলাদাভাবে অংশগ্রহণের সুযোগ না থাকলেও ব্যবসায়িক সংগঠন এফবিসিসিআই, গার্মেন্টস অ্যাসোসিয়েশন, ইলেকট্রনিক ও প্লাস্টিক প্রোডাক্টের অ্যাসোসিয়েশনগুলোকে মেলায় অংশ নিতে আমরা বেশি উৎসাহিত করছি।

জামাল হোসেন আরও বলেন, ছয় মাসব্যাপী মেলায় সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় ও শিল্পকলা একাডেমি অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ে একটি পরিকল্পনা তৈরি করেছে। যার মাধ্যমে বিভিন্ন দিবস ও বিশেষ দিনগুলোতে বাংলাদেশি শিল্পীদের দিয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে।

আরব আমিরাতে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত মো. আবু জাফর আরটিভি নিউজকে বলেন, আমরা সারাদেশে ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপন করেছি। এমনকি মহামারির সময়ও আমরা আমাদের রপ্তানিতে ক্রমবর্ধমান বৃদ্ধির হার ধরে রেখেছি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের টেকসই শিল্পনীতির সুফল পাচ্ছি। বাংলাদেশ এখন সারাবিশ্বে যে মর্যাদার আসন অধিকার করছে, সুপ্রতিষ্ঠিত হয়েছে সেটি এই মেলার মাধ্যমে সারা পৃথিবীকে দেখানো যাবে। তাই বাংলাদেশের অধিকাংশ মন্ত্রণালয় এই মেলায় অংশ নেবে।

উল্লেখ্য, মেলায় প্রবেশ টিকিটের একক মূল্য ধরা হয়েছে ৯৫ দেরহাম এবং ছয় মাসের পাসের জন্য মূল্য হবে ৪৯৫ দেরহামসহ বেশ কয়েকটি শ্রেণিতে টিকেট বিক্রি হচ্ছে।
পি

মন্তব্য করুন

daraz
  • প্রবাস এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh