• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo

কুয়েতে পাপুলের বিচার শেষ, রায় ২৮ জানুয়ারি

কুয়েত সিটি, আরটিভি নিউজ

  ২৭ নভেম্বর ২০২০, ০৮:১৪
শহিদ ইসলাম পাপুল।
শহিদ ইসলাম পাপুল।

২৬ নভেম্বর বৃহস্পতিবার জামিন হয়নি কুয়েতে গ্রেপ্তারকৃত বাংলাদেশের সংসদ সদস্য (এমপি) শহিদ ইসলাম পাপুলের। আগামী ২৮ জানুয়ারি ২০২১ এ পূর্ণাঙ্গ রায়ের দিন ধার্য করেছেন বিচারক।

এদিকে কুয়েত সোলায়বীয়া কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে এদিন সকাল ৯ টায় কুয়েত সিটির মালিয়া কোর্টে নিয়ে আসে এমপি পাপুলকে। দুপুর ২ টায় ৪তলায় বিচারক আব্দুল্লাহ ওসমান এর এজলাসে হাজির করা হয়। বিচার কার্য চলে কুয়েত সময় রাত প্রায় ৭টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত। এই সময় তার আইনজীবীরা জামিন চাইলে বিচারক তা বাতিল করে আগামী বছরের ২৮ জানুয়ারি রায়ের তারিখ নির্ধারণ করে যুক্তি তর্ক শেষ ঘোষণা করেন বিচারক। প্রায় দুই মাস পাপুলকে কারাগারে থাকতে হবে এবং রায় ঘোষণার জন্য অপেক্ষায় করতে হবে জেলখানায়।

এদিকে গেলো ১৫ জুন কারাগারে পাঠানোর পর ২৫জুন ও ৯ জুলাই, ১৯ জুলাই, ২৭ জুলাই, ৯ আগস্ট, ২৩ আগস্ট, ১৭ সেপ্টম্বর, ২২ অক্টোম্বর, ৫ নভেম্বর, ১২ নভেম্বর, ১৯ নভেম্বর এবং ২৬ নভেম্বর বৃহস্পতিবার পাপুলকে মহামান্য বিচারকের সামনে হাজির করা হয়। এই নিয়ে মোট ১২ বার পাপুলকে আদালতে হাজির করা হয়েছে।

মানব পাচার ও মানি লন্ডারিং মামলায় এমপি পাপুলের সঙ্গে অভিযুক্ত স্থানীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাবেক উপসচিব শেখ মাজন আল-জাররাহ সাবাহ, জনশক্তি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা নওয়াফ আল-মুতাইরি, এবং কর্মী বাহিনীর নেতা হাসান আল-খাদের প্রত্যেককে ২০ দিনার জামিনে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আদালত। পাপুল, রাশেদুল ও মাহবুবসহ ৫জন আসামিকে জামিন না দিয়ে জেলে পাঠিয়েছে বিচারক। এরা সবাই মারফি কোম্পানির বাংলাদেশি স্টাফ, এর মধ্যে একজন সিরিয়ান নাগরিক রয়েছেন।

আদালতে পাপুলকে বেশ বিমূর্ষ দেখা গিয়েছে। পাপুলকে হেন্ডকাপ পড়ানো ও একই সঙ্গে পাপুলকে এক কালারের জেলখানার পোশাক পরিহিত দেখা যায়। পাপুলের মামলা নং ৯২৪১/২০২০।

লক্ষ্মীপুর-২ আসন থেকে নির্বাচিত স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য কাজী শহিদ ইসলাম পাপুল কুয়েতের রেসিডেন্ট পারমিটধারী একজন ব্যবসায়ীও। তার অবৈধ ব্যবসা এবং জাল-জালিয়াতির অভিযোগ ওঠে গত ফেব্রুয়ারিতে। তখন তাকে আটকের জন্য কুয়েত সিআইডি অভিযানও চালিয়েছিল। সে সময় তার দুই সহযোগী গোয়েন্দা জালে আটকা পড়লে তিনি ঢাকায় পালিয়ে নিজেকে রক্ষা করেন। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। পরবর্তীতে তিনি কুয়েত সিটিতে গেলে (গত ৬ জুন) সিআইডি টিম তাকে তাদের হেফাজতে নেয়। একটানা ১০দিন রিমান্ডে থাকার পর জামিন না দিয়ে ১৪ জুন তাকে আদালতে উপস্থাপন করলে বিচারক তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠায়। সেই থেকে তিনি কারাগারেই আছেন। দীর্ঘ সময় তিনি রিমাণ্ডে থাকাকালীন সময় তার সহযোগী দেশি-বিদেশি রাগব-বোয়ালদের বিষয়ে বিস্ফোরক তথ্য দিয়েছেন।

এম

মন্তব্য করুন

daraz
  • প্রবাস এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh