ভৌতিক প্রচারসংখ্যা যুগের পর যুগ চলতে পারে না: তথ্যমন্ত্রী
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, কিছু কিছু পত্রিকা নিয়মিত প্রকাশ করা হয় না, ক্রোড়পত্র পেলে হঠাৎ হঠাৎ প্রকাশ করা হয়। এসব পত্রিকার যিনি রিপোর্টার তিনিই সম্পাদক ও প্রকাশক। তাদের একটা ব্রিফকেস আছে। পত্রিকাও ব্রিফকেস-বন্দি। ব্রিফকেসে করে অফিস অফিসে বিলি করে বেড়ায়। এভাবে পত্রিকায় ভৌতিক প্রচারসংখ্যা যুগের পর যুগ চলতে পারে না।
বুধবার (০৬ অক্টোবর) সচিবালয়ে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টস' ফোরাম (বিএসআরএফ) সংলাপে এসব কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী।
পত্রিকা প্রচার সংখ্যা নিয়ে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ডিএফপিতে যে পত্র পত্রিকা প্রকাশ করা হয়, সেটার সঙ্গে বাস্তবের কোনো মিল নেই। যাদের এক লাখ প্রচার সংখ্যা বলা আছে অথচ ছাপায় পাঁচ হাজার। এরকম প্রচুর আছে। আমরা সেখানেও শৃঙ্খলা আনার উদ্যোগ নিয়েছি।
তিনি বলেন, প্রথমে টেলিভিশনের শৃঙ্খলা পুরোপুরি প্রতিষ্ঠিত হোক। তারপর পত্রিকায়ও শৃঙ্খলা বাস্তবতার কাছাকাছি আনতে হবে। এরকম অবাস্তব, ভৌতিক প্রচার সংখ্যা যুগের পর যুগ চলতে পারে না। সেখানে একটা শৃঙ্খলা আনার চেষ্টা করছি আশা করছি সেটা করতে পারব।
মন্ত্রী বলেন, আমরা ব্রিফকেস-বন্দি পত্রিকাগুলো বন্ধ করার উদ্যোগ নিয়েছি। এমন ২১০টি পত্রিকার বিষয়ে সব ডিসিদের কাছে নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে। সেগুলো বন্ধ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আরও ২০০টির বেশি রয়েছে এরকম পত্রিকা। সেগুলো চিহ্নিত করা হচ্ছে ধীরে ধীরে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমি সব সময় বলে থাকি সাংবাদিকরা হচ্ছে সমাজের দর্পণ। আর এই দর্পনের পেছনে যারা কাজ করেন তারা হচ্ছেন সাংবাদিক। আমরা ছোট বেলায় দেখেছি পত্রিকায় কোনো কিছু লিখলে সেটিই সত্য। সেটা কখনো মিথ্যা হতে পারে না। কিন্তু বিশ্বাসযোগ্যতা এখন আর সে জায়গায় নেই। কেন নেই সেটা ভাবার বিষয়৷
পত্রিকার বিশ্বাসযোগ্যতা আগে যে জায়গায় ছিল এখন আর সেখানে নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, এটিই বাস্তবতা। সেটি কিন্তু দেশের জন্য, সামাজের জন্য ভালো নয়। গণমাধ্যম যদি সঠিকভাবে কাজ করে তাহলে সঠিক ন্যায়ভিত্তিক সমাজ, রাষ্ট্র গঠন, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
সংলাপ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিএসআরএফ সভাপতি তপন বিশ্বাস, সহ-সভাপতি মোতাহার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হক প্রমুখ।
এফএ
মন্তব্য করুন