আরটিভির অনুষ্ঠান বিভাগের প্রধান দেওয়ান শামসুর রকিবের মায়ের মৃত্যুতে শোক
আরটিভির অনুষ্ঠান প্রধান দেওয়ান শামসুর রকিবের মাতা মোসাম্মাৎ সুরাইয়া জাবিন করোনায় আক্রান্ত হয়ে বেলা ১২টায় স্থানীয় একটি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তাঁর মৃত্যুতে আরটিভি পরিবার গভীরভাবে শোকাহত।
এম
মন্তব্য করুন
ডিআইইউ’র ১০ শিক্ষার্থী বহিষ্কার / ইউজিসিতে অবস্থান নেওয়ার ঘোষণা ডিইউজের
ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ১০ শিক্ষার্থীর সাময়িক বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনে (ইউজিসি) অবস্থান নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে)।
বুধবার (২০ মার্চ) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি সাংবাদিক সমিতি আয়োজিত এক মানববন্ধনে এই ঘোষণা দেওয়া হয়।
মানববন্ধনে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) সভাপতি ওমর ফারুক বলেন, সাংবাদিকতা করার দায়ে শিক্ষার্থীদের সাময়িক বহিষ্কার করে যে অবিচার করা হয়েছে সে বিষয়ে আমি একটু আগে ভিসিকে কল করেছিলাম। তিনি কল রিসিভ করেননি। এই ধরনের অপরাধ কিছুতেই সহ্য করা যায় না। প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে সংবাদদাতা রয়েছে। সাংবাদিকতা করায় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কারের ঘটনা আমি কখনোই এর আগে শুনিনি। বিশ্ববিদ্যালয়ের এই ধরনের অন্যায় কিছুতেই সহ্য করা হবে না।
ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি সোহেল হায়দার চৌধুরী বলেন, ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি নিকৃষ্ট কাজ করেছে। শামীম হায়দার পাটোয়ারী আপনি টকশোতে মিষ্টি মিষ্টি কথা বলেন, আপনাকে সতর্ক করে দিতে চাই। আপনাকে অবিলম্বে বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করতে হবে। ভিসি মহোদয়, আপনি বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে নিন। নতুবা আপনাদের দুজনের অফিস নয়, বাড়িও ঘেরাও করা হবে।
ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসেন বলেন, ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে অবশ্যই অনিয়ম হচ্ছে। এজন্য সাংবাদিকদের সাংবাদিকতা করতে দিচ্ছে না। ছাত্রদের বহিষ্কারাদেশ অবশ্যই প্রত্যাহার করতে হবে। একইসঙ্গে তাদের সাংবাদিকতা করার সুযোগ দিতে হবে।
ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটির সভাপতি শুকুর আলী শুভ বলেন, ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি যদি ভেবে থাকে যে সাংবাদিকদের কণ্ঠরোধ করবে, সেটা হবে ভুল ধারণা। কোনো বিশ্ববিদ্যালয় তা করতে পারেনি, পারবেও না। একটা বিশ্ববিদ্যালয় নিজের নিয়মে চলবে না, দেশের আইনে চলবে। আমি সাবধান করে দিতে চাই, অবিলম্বে এ বহিষ্কার আদেশ প্রত্যাহার করে তাদের পূর্ণাঙ্গভাবে সাংবাদিকতা করার সুযোগ করে দিতে হবে।
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম মুজতবা ধ্রুব, কোষাধ্যক্ষ সোহেলী চৌধুরী, কার্যনির্বাহী সদস্য সাজেদা হক, সাবেক সহসভাপতি মানিক লাল ঘোষ, ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটির সভাপতি শুকুর আলী শুভ, সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন আহমেদ, এডুকেশন রিপোর্টাস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অভিজিৎ ভট্টাচার্য, সাধারণ সম্পাদক আকতারুজ্জামান প্রমুখ।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি সাংবাদিকতা করায় ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ১০ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। একইসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে সাংবাদিক সমিতির কার্যক্রম অবৈধ ঘোষণা করা হয়।
ভোলায় সাংবাদিকের নামে মিথ্যা মামলা
ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলায় জমিজমা বিরোধের জেরে ঢাকায় কর্মরত শেয়ার নিউজ২৪ -এর স্টাফ রিপোর্টার মো. মোর্শেদ আলম নামের এক সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার অভিযোগ উঠেছে।
জানা গেছে, ওই উপজেলার শম্ভুপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের খাসেরহাট এলাকায় জমিজমা নিয়ে মোর্শেদের বাবা মো. নুরুল আমিন ও স্থানীয় মো. হুমায়ুন কবিরের সঙ্গে দীর্ঘদিন বিরোধ চলে আসছিল। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে হুমায়ুন বাদী হয়ে নুরুল আমিন, মো. সোহান, মো. মোর্শেদ আ: সালাম, মো. জামালকে আসামি করে আদালতে মারামারির একটি মামলা দায়ের করে।
ওই মামলায় বলা হয়, শুক্রবার (১৫ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে জমিজমা বিরোধকে কেন্দ্র করে হুমায়ুন কবির, মোতাহার উদ্দিন, মনসুরা বেগমকে মামলায় উল্লিখিত আসামিরা মারধর করেছে। ওই মামলায় মো. মোর্শেদ আলমকে ৪ নম্বর আসামি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে মোর্শেদ আলম বলেন, হুমায়ুন কবিরের পরিবারের সঙ্গে আমাদের পরিবারের জমিজমা বিরোধ নিয়ে বাড়িতে দুই পক্ষের মারামারির ঘটনা ঘটে। প্রথমে তারা হামলা করলেও পরে ভোলা আদালতে মামলা করে। সেখানে আমাকে ৪ নম্বর আসামি করা হয়েছে। অথচ মামলায় যে দিন-তারিখ উল্লেখ করা হয়েছে সেদিন আমি ঢাকায় ছিলাম। আমাকে বাড়ি থেকে ফোন করে মামলার বিষয়ে জানানো হয়েছে। আমি ঢাকায় থেকে কীভাবে তাকে মারধর করেছি সেটি আমার প্রশ্ন। আমার বিরুদ্ধে হয়রানি ও উদ্দেশ্যমূলক এই মিথ্যা মামলা করায় আমি হতবাক হয়েছি। বিষয়টি আমি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিকে জানিয়েছি।
এ ব্যাপারে মামলা বাদী হুমায়ুন কবিরের সঙ্গে একাধিকবার তার মুঠোফোনে যোগাযোগ করেও পাওয়া যায়নি।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মঞ্জু হাওলাদার বলেন, দুই পক্ষের মধ্যে মারামারি ঘটনাটি আমি শুনতে পেয়েছি। ওই মামলায় সাংবাদিক মোর্শেদকে আসামি করা হয়েছে। কিন্তু মোর্শেদ দীর্ঘদিন ধরে ঢাকায় রয়েছে। ঘটনার দিন সে এলাকায় ছিল না।
তজুমদ্দিন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনোয়ারুল হক বলেন, এই ঘটনায় আদালতে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। বিজ্ঞ আদালত মামলার তদন্তের জন্য নির্দেশ দিয়েছে। এখনও মামলা রেকর্ড হয়নি, রেকর্ড হওয়ার পর তদন্ত সাপেক্ষে প্রকৃত ঘটনা উদ্ঘাটন করা হবে।
২৫ মার্চকে আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস হিসেবে স্বীকৃতির দাবি
জাতীয় প্রেস ক্লাবের উদ্যোগে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় ২৫ মার্চ জাতীয় গণহত্যা দিবস দিনটিকে ‘আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস’ স্বীকৃতি প্রদানের দাবি জানিয়েছেন বক্তারা।
সোমবার (২৫ মার্চ) অনুষ্ঠিত এ আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তানী সামরিক বাহিনী তাদের দেশীয় দোসরদের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় ‘অপারেশন সার্র্চলাইট’ নামে যে গণহত্যা চালিয়েছিল তা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের সরাসরি লংঘন। এ নৃশংস গণহত্যার চিত্র দেশীয় ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে প্রকাশিত ও প্রচারিত হয়েছিল। এছাড়া নানা দালিলিক প্রমাণ দ্বারা এ গণহত্যা প্রমাণিত। কিন্তু স্বাধীনতার অর্ধশতাব্দীর বেশি পার হয়ে গেলেও আনুষ্ঠানিকভাবে একাত্তরের সেই ভয়াল গণহত্যার স্বীকৃতি মেলেনি, যা আন্তর্জাতিক আইন ও মানবাধিকারের প্রতি বিশ্ব সম্প্রদায়ের অবজ্ঞা হিসেবে চিহ্নিত করেন বক্তারা।
‘১৯৭১ এর গণহত্যা ও বিশ্ব স্বীকৃতি’ শীর্ষক এ গোলটেবিল আলোচনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতির মন্ডলীর সদস্য ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহজাহান খান এমপি এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আআমস আরেফিন সিদ্দিক।
জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন এমপি’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত গোলটেবিল বৈঠকে আরো বক্তব্য রাখেন জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, বিএফইউজের সাবেক সভাপতি মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, দৈনিক যুগান্তরের সম্পাদক সাইফুল আলম, বিএফইউজের সভাপতি ওমর ফারুক, সাবেক মহাসচিব আবদুল জলিল ভূইয়া, ডিইউজের সাবেক সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদসহ ক্লাবের সিনিয়র নেতৃবৃন্দ। স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন জাতীয় প্রেস ক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক আইয়ুব ভুঁইয়া এবং অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সেমিনার, মিট দ্য প্রেস ও আন্তর্জাতিক লিয়াঁজো উপ-কমিটির আহবায়ক জুলহাস আলম।
প্রধান অতিথি শাহজাহান খান বলেন, ২৫ মার্চের গণহত্যা জাতীয় স্বীকৃতি পেতে ৪৭ বছর লেগেছে, যা অত্যন্ত দু:খজনক। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পরে দীর্ঘদিন যেসব সরকার ক্ষমতায় ছিল তারা বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে মুছে ফেলার চেষ্টা করেছে। তারা সুপরিকল্পিতভাবে ২৫ মার্চের কালরাতে সংঘটিত হওয়া গণহত্যার ইতিহাসকেও মুছে ফেলতে চেয়েছে। তিনি বলেন, গণহত্যার জাতীয় স্বীকৃতি মিললেও আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি মেলেনি। সেজন্য দেশের সাংবাদিক সমাজকে মুক্তিযুদ্ধের সময়ের গণহত্যার ইতিহাসকে আরো বেশি করে তুলে ধরতে হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আরেফিন সিদ্দিক বলেন, ২৫ মার্চের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ের জন্য তথ্য উপাত্তসহ নতুন প্রজন্মের কাছে জোরালোভাবে তুলে ধরতে হবে। তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সারাদেশে যে সব বধ্যভ‚মি রয়েছে সেগুলোর তথ্য উপাত্তসহ আন্তর্জাতিক মহলের কাছে রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে উপস্থাপন করতে হবে।
সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন এমপি বলেন, ২৫ মার্চের গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ে জাতীয় প্রেস ক্লাব প্রতি বছর এ ধরণের আয়োজন করে আসছে। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিকভাবে গণহত্যাকে যেভাবে সংজ্ঞায়িত করা হয় তার প্রতিটি মানদÐে ২৫ মার্চের গণহত্যা আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির দাবি রাখে। এ দাবির সঙ্গে সাংবাদিক সমাজ একাত্মতা প্রকাশ করছে।
সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত বলেন, দেশের বধ্যভ‚মিগুলোর করুণ অবস্থা এবং রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে এখনও কোনো জেনোসাইড মিউজিয়াম স্থাপন করা যায়নি, যা অত্যন্ত দু:খজনক। তিনি আরো বলেন, আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ের জন্য জাতীয় পর্যায়ে আরো বেশি করে উদ্যোগ নিতে হবে। আরও বক্তব্য রাখেন প্রেস ক্লাব সদস্য চপল বাশার, মাহফুজা জেসমিন প্রমুখ।
আলোচনায় আরও উপস্থিত ছিলেন প্রেস ক্লাব ব্যবস্থাপনা কমিটির যুগ্ম সম্পাদক মো: আশরাফ আলী, কোষাধ্যক্ষ শাহেদ চৌধুরী, সদস্য কাজী রওনাক হোসেন ও কল্যাণ সাহা।
সৎ ও সাহসী সাংবাদিক ছিলেন ইহসানুল করিম
মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সঙ্গে কখনো আপস করেননি সাংবাদিক বীর মুক্তিযোদ্ধা ইহসানুল করিম। ৫২ বছরের সাংবাদিকতায় তিনি সৎ ও সাহসী সাংবাদিকতা করে গেছেন। চরম দুঃসময়েও নৈতিকতার সঙ্গে আপস করেননি। তার মৃত্যুতে সাংবাদিক জগতে অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে।
সোমবার (২৫ মার্চ) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে ইন্ডিয়ান ইন্সটিটিউট অব ম্যাস কমিউনিকেশন (আইআইএমসি) অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ (ইমকাবিডি) আয়োজিত এক স্মরণসভায় এসব কথা বলেন জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক ও সাংবাদিক নেতারা। ইহসানুল করিম ছিলেন এই সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। ১৯৭৯ সালে ভারতের নয়াদিল্লিতে অবস্থিত আইআইএমসিতে বাংলাদেশ থেকে বৃত্তি নিয়ে যাওয়া প্রথম শিক্ষার্থী ছিলেন তিনি।
ইহসানুল করিম গত ১০ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। মৃত্যুর সময় তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রেস সচিব ছিলেন।
ইমকাবিডির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আজিজুল ইসলাম ভুইয়ার সভাপতিত্বে স্মরণসভায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি সংসদ সদস্য ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, তার সাংবাদিকতার পথচলায় সাহস ও অনুপ্রেরণা দিয়েছেন ইহসানুল করিম। বন্ধুসুলভ আচরণ দিয়ে তিনি ছোট–বড় সব সাংবাদিকদের আপন করে নিতেন। তার মৃত্যুতে সাংবাদিকতা জগতে অপূরণীয় ক্ষতি হলো।
ইহসানুল করিম স্মরণে জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত একটি স্মারকগ্রন্থ করার প্রস্তাব করেন। তিনি বলেন, প্রাতিষ্ঠানিক কিছু করার মাধ্যমে ইহসানুল করিমের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানানো হবে।
বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ বলেন, ভালো সাংবাদিকতার পাশাপাশি মানুষ হিসেবেও ভালো মানুষ ছিলেন ইহসানুল করিম।
স্মরণসভায় ইহসানুল করিমের ছেলে মঈন করিম বলেন, তিনি সাংবাদিক হিসেবে যেমন বিপদে–আপদে সাংবাদিকদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। তেমনি পরিবারের প্রতিও ছিলেন যত্নশীল। তার বাবা সব সময় বলতেন, মানুষের জীবন এক রকম যায় না। যেকোনো পরিস্থিতি হাসিমুখে মেনে নিতে হয়। কখনো সততার সঙ্গে সমঝোতা না করার পরামর্শ দিতেন পরিবারের সদস্যদের।
ইমকাবিডির জ্যেষ্ঠ সদস্য ফরিদ হোসেন বলেন, একজন সাংবাদিকের মধ্যে যে ধরণের গুণাবলী থাকা প্রয়োজন তা ছিল ইহসানুল করিমের মধ্যে।
স্বাগত বক্তব্যে ইমকাবিডির সাধারণ সম্পাদক জাহিদ নেওয়াজ খান বলেন, ইহসানুল করিম বীর মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সঙ্গে তিনি কখনো আপস করেননি। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও সততা হৃদয়ে ধারণ করে সাংবাদিকতা করলে তাঁর প্রতি যথাযোগ্য সম্মান প্রদর্শন করা হবে।
স্মরণসভায় ইহসানুল করিমকে স্মরণ করে আরও বক্তব্য দেন ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি সোহেল হায়দার চৌধুরী, কূটনৈতিক রিপোর্টারদের সংগঠন ডিকাবের সভাপতি নুরুল ইসলাম হাসিব, বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সুভাষ চন্দ (বাদল), বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সভাপতি ওমর ফারুক, বাসসের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক আনিসুর রহমান, বাসসের প্রধান বার্তা সম্পাদক সমীর কান্তি দে, বাসসের সাবেক ব্যবস্থাপনা সম্পাদক মনোজ কান্তি রায় এবং ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটির (ডিআরইউ) সাবেক সভাপতি মো. শফিকুল করিম। ইহসানুল করিমের পরিবারের সদস্যেদর মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন তার চাচাতো বোন কঙ্কা করিম।
স্মরণসভায় কেন্দ্রীয় অ্যালামনাইয়ের শোকবার্তা পাঠ করেন ইমকাবিডির কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্য নজরুল ইসলাম। সভা সঞ্চালনা করেন এটিএন নিউজের জ্যেষ্ঠ বার্তা সম্পাদক ও ইমকাবিডির সদস্য গনী আদম। সভায় জ্যেষ্ঠ সাংবাদিকসহ ইমকাবিডির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এপেক্স ইন্টারন্যাশনাল জার্নালিস্ট কাউন্সিলের বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের কমিটি গঠন
আন্তর্জাতিক সাংবাদিক সংগঠন ‘এপেক্স ইন্টারন্যাশনাল জার্নালিস্ট কাউন্সিল’ এর বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিতে সভাপতি পদে ‘দ্য এশিয়ান এইজে’র সম্পাদক সেলিম ওমরাও খান ও সাধারণ সম্পাদক পদে নিউজ ২১বিডি.নেট এর সম্পাদক একেএম শরিফুল ইসলাম খান নির্বাচিত হয়েছেন।
রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ‘দ্য এশিয়ান এইজে’র অফিসে গত ২৭ মার্চ আয়োজিত এক বিশেষ সভায় সংগঠনটির বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের ১১ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়।
কমিটির অন্যান্যরা হলেন- সহসভাপতি মীর আব্দুল আলিম ও কামাল হোসেন, যুগ্ম সম্পাদক নূরে আলম খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক হুমায়ুন চিস্তি, কোষাধ্যক্ষ সোহেলী চৌধুরী, দপ্তর সম্পাদক আবু নাঈম খান।
এ ছাড়া কমিটিতে সদস্য পদে রয়েছেন- শ্যামল কুমার সান্যাল, রাশেদুল হাসান বুলবুল এবং নাসির উদ্দিন বুলবুল।
সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক রাষ্ট্রদূত অধ্যাপক নিম নিমচন্দ্র ভৌমিক। এ ছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন এম শোয়েব চৌধুরী, সৈয়দ হোসাইন সৈকত।
সংগঠনটির মাধ্যমে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে সাংবাদিকদের শক্ত অবস্থানের পাশাপাশি অবাধ তথ্য প্রবাহ তৈরি হবে বলে আশা প্রকাশ করেন আলোচকরা।
‘নড়াইল জেলা সাংবাদিক ইউনিটি-ঢাকা’র নতুন কমিটি গঠন
নড়াইল জেলা সাংবাদিক ইউনিটি-ঢাকার নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে। নতুন কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন দৈনিক নয়াদিগন্তের সিনিয়র রিপোর্টার মনিরুল ইসলাম রোহান এবং সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন রাইজিংবিডির সিনিয়র রিপোর্টার এস কে রেজা পারভেজ।
শনিবার (৩০ মার্চ) রাজধানীর তোপখানা রোডের ধানসিঁড়ি রেস্টুরেন্টে সংগঠনের ইফতার মাহফিল ও সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই অনুষ্ঠানে নতুন কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ ১১ সদস্যের কার্যনির্বাহি সংসদ নির্বাচিত হন। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী নতুন কমিটির মেয়াদ ২ বছর।
নতুন কমিটির সহ সভাপতি হাসান শাফিঈ (নয়া শতাব্দী), যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নূর আলম শেখ ( সকালের সময়), কোষাধ্যক্ষ আকাশ মনি (শুভ দিন), সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম বদরুল আলম (সবুজ বিপ্লব), দপ্তর সম্পাদক রেজাউল করিম (বাংলা ভিশন) ও প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মো: মহিদুল ইসলাম বৈশাখী টিভি) নির্বাচিত হয়েছেন।
কার্যনির্বাহি সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন ৩ জন। তারা হলেন সিনিয়র সাংবাদিক শরিফুল ইসলাম বিলু , আমিনুর রহমান (এস এ টিভি) ও তৌহিদুল ইসলাম মিন্টু (দ্যা রিপোর্ট টোয়েন্টিফোর ডটকম)।
এ ছাড়াও সংগঠনের ৪ জন উপদেষ্টা মনোনীত হয়েছেন। তারা হলেন সৈয়দ জাফর (দিনকাল), মশিউর নেরু (করতোয়া), এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন (ফাইন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেস) ও বশির আহমেদ (আমার দেশ)।
নোয়াখালী জার্নালিস্ট ফোরামের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত
নোয়াখালী জার্নালিস্ট ফোরামের (এনজেএফ) ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (৩০ মার্চ ) রাজধানীর বাংলামোটরে একটি অভিজাত রেস্তোরাঁয় এই ইফতার মাহফিল আয়োজন করা হয়।
এনজেএফ-ঢাকার সভাপতি শাহাদৎ হোসেন নিজামের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক এস এম ফয়েজের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- সাবেক সংসদ সদস্য ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য কানন আরা বেগম,খিলগাঁও জোনের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আবদুল্লাহ আল মামুন লিয়ন, নারায়ণগঞ্জ ফতুল্লার সহকারী ভূমি কমিশিনার শাহাদাৎ হোসেন, নোয়াখালী ক্লাব ঢাকা লিমিডেটের সাধারণ সম্পাদক, আবদুল হাই।
উপস্থিত ছিলেন এনজেএফ সহ সভাপতি শফিক বাবু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এসকে সৌরভ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলমগীর, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ মোঃ শহিদুল, ক্রীড়া সম্পাদক, ইসমাইল হোসেন টিটু, দপ্তর সম্পাদক, এফ আই মাসুদ,সংস্কৃতি সম্পাদক ইমরানু্ল আজিম ইমু, স্বাস্থ্য বিষয় সম্পাদক, সাদ্দাম হোসাইন, কার্যনির্বাহী সদস্য সাইফ আহমাদসহ প্রমুখ।
আরও উপস্থিত ছিলেন- নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগ নেতা লুৎফুর হায়দার লেনিন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক উপ কমিটির সদস্য মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন জিটু, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক গোলাম মাওলা হিরণ, এজেআর গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শামসুদ্দিন আহমেদ রিয়াদ, শহবাগ থানা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক, মোশাররফ হোসেন।
অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথিরা এনজেএফের সুন্দর এ আয়োজনের প্রশংসা করে বলেন, এমন আয়োজন একে-অপরের সঙ্গে সৌহার্দপূর্ণ সম্পর্ক তৈরি করবে। নোয়াখালীর মানুষ ও ঐতিহ্যকে তুলে ধরতে কাজ করবে এই ফোরাম।
ইফতার পরবর্তী আড্ডায় বিশিষ্টজনরা পারস্পরিক কুশল বিনিময় ছাড়াও নোয়াখালীর উন্নয়নে জাতীয় পর্যায়ে নেতৃত্বদানকারী রাজনীতিবিদ ও বিশিষ্ট ব্যক্তিদের ভূমিকা পালনের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন। এসময় এনজেএফকে সবসময় সহযোগিতার আশ্বাস দেন তারা। পাশাপাশি সংগঠনকে আরও গতিশীল করতে ফোরামের সদস্যদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেন।