• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo

সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে মন্ত্রণালয়ের যেসব অ'ভিযোগ

আরটিভি নিউজ

  ১৮ মে ২০২১, ১০:২৮
সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে মন্ত্রণালয়ের যেসব অভিযোগ
দৈনিক প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রোজিনা ইসলামে

দৈনিক প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় ‘অফিশিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট’-এ মামলা করেছে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ। গতকাল সোমবার (১৭ মে) রাতে তার বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় মামলা হয়। মঙ্গলবার (১৮ মে) সকালে তাকে আদালতে নেওয়া হয়।

সোমবার মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের উপসচিব মো. শিব্বির আহমেদ ওসমানী শাহবাগ থানায় তার বিরুদ্ধে মন্ত্রণালয়ের পক্ষে এ অভিযোগ দায়ের করেন। পরে অভিযোগটি মামলা আকারে নিয়েছে পুলিশ।

অভিযোগে যা বলা হয়েছে, সম্মান প্রদর্শন পূর্বক নিবেদন এই যে, সোমবার (১৭ মে) বিকেলে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মহোদয়ের একান্ত সচিব এর দপ্তরে রোজিনা ইসলাম, পিতা-মৃত মুসলিম মিয়া, মাতা-তাসলিমা বেগম, স্বামী-সফিকুল ইসলাম, বাসা- ৯৭২, ৫ম তলা, থানা- শাহজাহানপুর, ঢাকা, মোবাইল নম্বর- ০১৭১২-১২০৫৫২ নামীয় একজন নারী প্রবেশ করেন। এসময় একান্ত সচিব দাপ্তরিক কাজে সচিব মহোদয়ের কক্ষে অবস্থান করছিলেন। উক্ত নারী দাপ্তরিক গুরুত্বপূর্ণ কাগজ-পত্র শরীরের বিভিন্ন স্থানে লুকান এবং মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ছবি তোলেন। এ সময় সচিব মহোদয়ের দপ্তরে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্য মিজানুর রহমান খান (কং নং ৩৩২৬১, সচিবালয়, ডিএমপি, ঢাকা) দেখতে পান এবং তাকে বাধা প্রদান করেন এবং তিনি নির্ধারিত কর্মকর্তার অনুপস্থিতিতে কক্ষে কি করছেন মর্মে জানতে চান।

এ সময় তিনি নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় প্রদান করেন। পরবর্তীকালে অতিরিক্ত সচিব কাজী জেবুন্নেছা বেগম, উপসচিব জাকিয়া পারভীন, সিনিয়র সহকারী সচিব শারমীন সুলতানা, সচিবের একান্ত সচিব সাইফুল ইসলাম ভূঞা, সিনিয়র সহকারী সচিব মোসাদ্দেক মেহদী ইমাম, অফিস সহায়ক মাহফুজুল ইসলাম, সোহরাব হোসেনসহ অন্যান্য কর্মকর্তা ও স্টাফগণ ঘটনাস্থলে আসেন এবং অতিরিক্ত সচিব কাজী জেবুন্নেছা বেগম তল্লাশি করে তার কাছ থেকে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র এবং ডকুমেন্টসের ছবি সম্বলিত মোবাইল উদ্ধার করেন। এতে প্রতীয়মান হয় যে, ডকুমেন্টসগুলো তিনি চুরি করে নিয়ে যাচ্ছিলেন। এ সময় সচিবালয়ের নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনারের নেতৃত্বে শাহবাগ থানার মহিলা পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে তাকে জিম্মায় নেন।।

উল্লেখ্য, বর্তমানে বিভিন্ন দেশের সাথে বাংলাদেশের ভ্যাকসিন ক্রয়/সংগ্রহ সংক্রান্ত নেগোসিয়েশন চলমান রয়েছে এবং খসড়া সমঝোতা স্মারক ও নন-ডিসক্লোজার এগ্রিমেন্ট প্রণয়ন কাজ চলমান রয়েছে। সমঝোতা স্মারক নিয়ে পক্ষদ্বয়ের মাঝে প্রতিনিয়ত পত্র এবং ই-মেইলের মাধ্যমে যোগাযোগ হচ্ছে, যেখানে রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সন্নিবেশিত রয়েছে। উক্ত নারী যেসকল নথিপত্রের ছবি তুলছিলেন তার মধ্যে উল্লিখিত গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্রও ছিলো। এসকল তথ্য জনসমক্ষে প্রচার হলে সংশ্লিষ্ট দেশসমূহের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

উল্লিখিত কাগজপত্রসমূহ গুরুত্বপূর্ণ বিধায় মন্ত্রণালয়ে সংরক্ষিত আছে, যা পরবর্তীতে বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী প্রদর্শন করা হবে। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে অভিযোগ দায়ের করতে বিলম্বিত হলো। অতএব, এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য অনুরোধ করা হলো।

এমআই/পি

আরটিভি’র সর্বশেষ নিউজ পেতে ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে সঙ্গে থাকুন...

https://www.facebook.com/rtvnews247

মন্তব্য করুন

daraz
  • মিডিয়া এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
আট বিভাগে ১ হাজার ২৮৫ অবৈধ স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠান
X
Fresh