• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
logo

নোয়াবের বিবৃতি সংবাদপত্রশিল্পে গভীর চক্রান্তের বহিঃপ্রকাশ: বিএফইউজ-ডিউজে

আরটিভি নিউজ

  ২২ আগস্ট ২০২০, ১৯:০৭
Newspaper Owners Association
ফাইল ছবি

নিউজপেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (নোয়াব) গতকাল শুক্রবার যে বিবৃতি দিয়েছে, তাতে বিস্ময় প্রকাশ করে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে) বলেছে, নোয়াবের এই বিবৃতি সংবাদপত্রশিল্পে চরম নৈরাজ্য সৃষ্টির গভীর চক্রান্তের বহিঃপ্রকাশ।

বিএফইউজে সভাপতি মোল্লা জালাল, মহাসচিব শাবান মাহমুদ এবং ডিইউজে সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদ ও সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম খান তপু আজ শনিবার (২২ আগস্ট) এক যুক্ত বিবৃতিতে এ কথা বলেন।

সাংবাদিকদের সংগঠন দুটি বলেছে, বিবৃতির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত নোয়াব যেসব বক্তব্য উপস্থাপন করেছে তা মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন ও সত্যের অপলাপ মাত্র। বরং দেশে একটা নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টির মাধ্যমে ঘোলাপানিতে মাছ শিকারের উদ্দেশ্য প্রতীয়মান।

আগস্ট বাংলাদেশে একটি চক্রান্তের মাস। দেশ ও জাতির বিরুদ্ধে এ মাসেই চক্রান্তকারীরা বেশি তৎপর হয় উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়, ভয়াবহ ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার বিষয়ে বিএনপি নেতারা যে ভাষায় কথা বলেছেন, নোয়াবের বিবৃতিতে তার গন্ধ পাওয়া যায়। নোয়াব সংবাদপত্রশিল্প রক্ষার জন্য সরকারে কাছে বেশকিছু দাবি উত্থাপন করেছে। এসব দাবির যৌক্তিতা বোঝাতে গিয়ে তারা বলেন, ওয়েজবোর্ড রোয়েদাদ অযৌক্তিক। শুধু নবম ওয়েজ বোর্ড নয়, এ পর্যন্ত যত ওয়েজবোর্ড রোয়েদাদ হয়েছে, তার সবই অবান্তর ও অযৌক্তিক।

নোয়াবের এই বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিএফইউজে-ডিইউজে নেতারা বলেন, নোয়াব প্রতিষ্ঠার বহু আগে থেকেই সংবাদপত্রের সাংবাদিক-শ্রমিক-কর্মচারীদের জন্য ওয়েজবোর্ড রোয়েদাদ কার্যকর রয়েছে। নোয়াব পরিবারের একাধিক সদস্য একসময় এই ওয়েজবোর্ড রোয়েদাদের আওতায় চাকরি করে জীবিকা নির্বাহ করেছেন। আজকে তাদের অনেকেই নোয়াবের সদস্য।

তারা ধিক্কার জানিয়ে বলেন, কোনো মানুষেরই এত দ্রুত তার অতীত ভুলে যাওয়া উচিত নয়। নোয়াবের মনে রাখা দরকার ওয়েজবোর্ড রোয়েদাদ রাষ্ট্রের আইন। সংবাদপত্রকেও রাষ্ট্রের আইন মেনে চলতে হয়। রাষ্ট্রের আইন মানতে না চাইলে তার পরিণতির কথাও বিবেচনায় রাখতে হবে। নোয়াবের জন্মের পর থেকেই মূলত ওয়েজবোর্ড রোয়েদাদ আইন ভঙ্গ করার প্রবণতা শুরু হয়। তারা নানা কৌশলে নিয়োগপত্রবিহীন সাংবাদিক, কম বেতন, থোক বেতন ও সংবাদকর্মীদের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের প্রয়াস শুরু করে। নোয়াব কোনোকালেই কোনো ওয়েজবোর্ড পূর্ণাঙ্গভাবে বাস্তবায়ন করেনি। কিন্তু সরকারের প্রদত্ত সব সুযোগ-সুবিধা ঠিকই নিয়েছে।

বিএফইউজে ও ডিইউজে নেতারা বিবৃতিতে আরও বলেন, সরকার মনে করলে নোয়াবকে সরকারি খাজনা উজাড় করে দিতে পারে। কিন্তু এই দেওয়া-নেওয়ার সাথে সাংবাদিক-শ্রমিক-কর্মচারীদের ন্যায্য অধিকারের কোনো সম্পর্ক নেই। সংবাদপত্রশিল্পের মালিককে দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী সাংবাদিক-শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা দিতে হবে। এর কোনো বিকল্প নেই। কেউ যদি মনে করেন, প্রচলিত আইন মেনে তার পক্ষে প্রতিষ্ঠান চালানো সম্ভব নয়, তবে তিনি প্রচলিত আইন অনুসরণ করতে পারেন। কিন্তু কোনো ধরনের বাহানা দেখিয়ে বেতন না দিয়ে, বেতন কমিয়ে, ছাঁটাই করে সংবাদকর্মীদের দাস হিসেবে ব্যবহার করা যাবে না। স্বেচ্ছাচারী হয়ে মর্জিমাফিক প্রতিষ্ঠান চালানোর কোনো সুযোগ নেই। বিএফইউজে ও ডিইউজে প্রয়োজনে ফেডারেশনের সব সদস্য সংগঠনসহ সারাদেশের সংবাদকর্মীদের নিয়ে এ ধরনের স্বেচ্ছাচারিতার বিরুদ্ধে কঠোর আন্দোলন গড়ে তুলবে।

এসজে

মন্তব্য করুন

daraz
  • মিডিয়া এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
ফের নোয়াবের সভাপতি এ কে আজাদ
X
Fresh