বাঁচার তাগিদেই ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করছে অনেক শিশু
১২ বছরের নীচে সব শিশুশ্রম নিষিদ্ধ থাকলেও বেঁচে থাকার তাগিদে কাজ করতে বাধ্য হচ্ছে দেশের অনেক শিশু। রাজধানী ও তার আশপাশের বিভিন্ন অঞ্চলে এমন অমানবিক দৃশ্য চোখে পড়ে প্রতিনিয়ত।
যে বয়সে বাবা-মায়ের স্নেহ-মমতা আর ভালবাসায় সিক্ত হয়ে বই-খাতা হাতে স্কুলে যাওয়ার কথা, সেই বয়সেই এসব শিশু হাতে তুলে নিয়েছে হাতুড়ি ও ইট।
রাজধানীর পাশের নারায়ণগঞ্জের পাগলায় ইট-বালির ব্যবসার যাঁতাকলে পিষ্ট হচ্ছে শিশুদের কোমল হাত। সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত এসব শিশুর কচি হাত ব্যস্ত থাকে ইট ভাঙ্গার মতো কঠোর পরিশ্রমে।
সমাজ ও রাষ্ট্রের উদাসীনতায় মানবাধিকার বঞ্চিত এমন অনেক শিশু জীবন বাঁচানোর তাগিদে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে নানা ধরনের কঠোর পরিশ্রমের কাজ করতে বাধ্য হচ্ছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো পরিচালিত ‘জাতীয় শিশু শ্রম জরিপ-২০১৩ এর তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে প্রায় ৩৪ লাখ ৫০ হাজার শিশু কোনো না কোনো শ্রমে নিয়োজিত। এদের মধ্যে ১২ লাখ ৮০ হাজার শিশুই বিভিন্ন ধরনের ঝুঁকিপূর্ণ কাজে জড়িত রয়েছে। শুধু তা-ই নয় ২ লাখ ৬০ হাজার শিশু অপেক্ষাকৃত বেশি ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করছে।
অবশ্য মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মহিলা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কাজী রওশন আক্তার জানান, শিশুশ্রম বন্ধ করতে বেশ কিছু উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এছাড়া শিশুশ্রম নিরুৎসাহিত করতেও নানা রকম উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মহিলা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কাজী রওশন আক্তার জানান, শিশুদের অধিকার রক্ষায় সরকারি-বেসরকারি সমন্বিত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হলে এসব উদ্যোগ বেশী কার্যকর হবে। এছাড়া শিশুশ্রম বন্ধ করে শিশুদের স্বাভাবিক জীবন দেয়ারও তাগিদ দিয়েছেন তিনি।
আরকে/জেএইচ
মন্তব্য করুন