• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo

করোনা ভ্যাকসিন: সোমবার সুখবর পাচ্ছে বিশ্ব?

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, আরটিভি নিউজ

  ১৮ জুলাই ২০২০, ১১:১০
coronavirus, oxford vaccine
ছবি-সংগৃহীত

বিশ্বে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ১ কোটি ৪১ লাখ ৯৪ হাজার ছাড়িয়েছে। এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৫ লাখ ৯৯ হাজারের বেশি মানুষের। এমন পরিস্থিতিতে সোমবার অক্সফোর্ডের তৈরি করোনা ভ্যাকসিন মানবদেহে প্রয়োগের ফলাফল ঘোষণা করা হবে।

অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের তৈরি প্রতিষেধকের হিউম্যান ট্রায়ালের পর প্রাথমিক রিপোর্টে তারা মনে করছেন, এই ভ্যাকসিন করোনার বিরুদ্ধে মানব দেহকে দ্বিগুণ সুরক্ষা দিতে সক্ষম।

টেলিগ্রাফ জানাচ্ছে, যে স্বেচ্ছাসেবকদের উপরে এই ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হয়েছে, তাদের রক্তের নমুনা পরীক্ষা করার পর এমনই দাবি করা হচ্ছে।

এই ভ্যাকসিন প্রয়োগের পর স্বেচ্ছাসেবকদের শরীরে অ্যান্টিবডির পাশাপাশি ‘কিলার টি-সেল’ তৈরি হচ্ছে। গবেষকদের দাবি, অ্যান্টিবডির ক্ষমতা কয়েকমাসের মধ্যে হ্রাস পেলেও টি-সেল বেশ কয়েক বছর সক্রিয় থাকে৷

একই সঙ্গে সতর্ক করে বলা হয়েছে, প্রাথমিকভাবে এই ভ্যাকসিনের ফলাফল অত্যন্ত আশা জাগালেও এই ভ্যাকসিন যে দীর্ঘমেয়াদী ভিত্তিতে করোনার বিরুদ্ধে সুরক্ষা জোগাবে, তা এখনও নিশ্চিত করে বলার মতো সময় আসেনি।

বিশ্বের নানা প্রান্তে অন্তত ১৫৫টি করোনার প্রতিষেধক নিয়ে গবেষণা চলছে। এর মধ্যে ২৩টি কার্যকর প্রতিষেধকের হিউম্যান ট্রায়াল চলছে। এগুলোর কার্যকর প্রতিষেধকের মধ্যে তিনটির চূড়ান্ত পর্যায়ের হিউম্যান ট্রায়াল চলছে। এর মধ্যে অন্যতম হলো অক্সফোর্ডের বিজ্ঞানীদের তৈরি করোনা প্রতিষেধক (ChAdOx1 nCoV-19/AZD1222)।

অ্যান্টিবডি এবং টি- সেলের এই জোড়া ফলাই করোনার বিরুদ্ধে শরীরকে দ্বিগুণ সুরক্ষা দিতে সক্ষম৷ মেডিক্যাল জার্নাল ‘দ্য ল্যানসেট’ জানিয়েছে, অক্সফোর্ডের তৈরি এই ভ্যাকসিন মানবদেহে প্রয়োগের যে প্রাথমিক ফলাফল পাওয়া গেছে, তা তারা আগামী সোমবার প্রকাশ করবে।

এই ভ্যাকসিন মানবদেহে প্রয়োগের বিষয়টি অনুমোদন দিয়েছে বার্কশায়ার রিসার্চ এথিকস কমিটি। কমিটির চেয়ারম্যান ডেভিড কার্পেন্টার জানিয়েছেন, এই ভ্যাকসিনটি সঠিক পথে এগোচ্ছে।

তিনি বলেন, কবে এই ভ্যাকসিন আসবে তা এখনও নিশ্চিত নয়। এখনও অনেক কিছুই হতে পারে, কিন্তু একটি বড় ওষুধ সংস্থার সঙ্গে কাজ করার সুবিধা হলো, এই ভ্যাকসিন সেপ্টেম্বর নাগাদই সহজলভ্য হবে বলে আশা করা যায়। আমরা এই লক্ষ্যেই এগিয়ে যাচ্ছি।

অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনের ইনিস্টিটিউটে এই ভ্যাকসিন তৈরি হলেও ব্রিটেন সরকার এবং অ্যাস্ট্রাজেনেকা এই ভ্যাকসিন তৈরিতে সাহায্য করছে।

আরও পড়ুন:

ওয়াই/এ

মন্তব্য করুন

daraz
  • করোনাভাইরাস এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh