• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo

মাস্ক পরলে করোনায় আক্রান্তের সম্ভাবনা কম : মার্কিন গবেষণা

আরটিভি নিউজ

  ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২১, ২১:৫০
মার্কিন গবেষণা: মাস্ক পরলে করোনায় আক্রান্তের সম্ভবনা কম
ছবি: সংগৃহীত

মাস্ক পরলে করোনায় আক্রান্তের সম্ভাবনা ৩৪ শতাংশ পর্যন্ত কমে যায় বলে নতুন এক গবেষণার ফলাফলে এ তথ্য উঠে এসেছে। গবেষণাটি পরিচালনা করেছে স্ট্যানফোর্ড মেডিসিন স্কুল ও ইয়েল ইউনিভার্সিটির গবেষকরা।

গত ১ সেপ্টেম্বর ইনোভেশনস ফর পোভার্টি অ্যাকশনের ওয়েবসাইটে গবেষণার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। স্থানীয় এনজিও গ্রিনভয়েস এবং ইনোভেশনস ফর পোভার্টি অ্যাকশন বাংলাদেশ এ গবেষণার অংশীদার ছিল।

গবেষণাটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘দ্য ইমপ্যাক্ট অব কমিউনিটি মাস্কিং অন কোভিড-১৯: এ ক্লাস্টার-র‌্যান্ডমাইজড ট্রায়াল।’ ২০২০ সালের নভেম্বর থেকে ২০২১ সালের এপ্রিলের মধ্যে গবেষণাটি করা হয়।

সম্প্রতি দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের সাড়ে তিন লাখ মানুষের ওপর পরিচালিত এক গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে। গবেষণায় আরও দেখা গেছে, সচেতনতামূলক প্রচার অভিযানের কারণে মাস্কের ব্যবহার তিন গুণ পর্যন্ত বাড়তে পারে। দেশের ৬০০টি গ্রামের প্রায় সাড়ে তিন লাখ মানুষের ওপর দৈবচয়ন পদ্ধতিতে পরিচালিত এ গবেষণায় দেখা গেছে, সংক্রমণ রোধে কাপড়ের মাস্কের চেয়ে সার্জিক্যাল মাস্ক বেশি কার্যকর।

এমন একটি সময় গবেষণার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে, যখন বেশিরভাগ মানুষ মাস্ক পরা ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার বিষয়টিতে পাত্তা দিচ্ছেন না।

গবেষকদের প্রধান আহমেদ মুশফিক মোবারক বলেন, ‘সঠিকভাবে মাস্ক পরলে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকা ৬০ বছর ও তার বেশি বয়সীদের মধ্যে উপসর্গযুক্ত সংক্রমণের হার ৩৪ শতাংশ কমে যায়।’

বিশ্বে এ ধরনের যতগুলো গবেষণা হয়েছে, সেগুলোর মধ্যে এটি সবচেয়ে বড় বলেও জানান তিনি।

গবেষণার ফলাফলে বলা হয়েছে, ‘আমরা স্পষ্ট প্রমাণ পেয়েছি, সার্জিক্যাল মাস্ক করোনার উপসর্গযুক্ত সেরোপ্রিভেল্যান্স কমাতে কার্যকর।’ সেরোপ্রিভেল্যান্স সংক্রামক রোগের বিরুদ্ধে অ্যান্টিবডির মাত্রা সম্পর্কে ধারণা দেয়। অতীতের সংক্রমণ বা টিকা দেওয়ার কারণে তৈরি হওয়া মানুষের ইমিউনিটি পরিমাপের গোল্ড স্যান্ডার্ড হিসেবে বিবেচিত হয় এটি।

স্থানীয় নেতাদের মাস্ক পরা, মাস্ক বিতরণ ও অন্যান্য প্রচারমূলক কার্যক্রম মানুষের মধ্যে মাস্ক পরা এবং শারীরিক দূরত্ব বাড়াতে সাহায্য করে।

গবেষণার সহলেখক ও ইনোভেশনস ফর পোভার্টি অ্যাকশন বাংলাদেশের সিনিয়র অপারেশন ম্যানেজার আলমগীর কবির বলেন, ‘গবেষকরা কোভিড-১৯ প্রতিরোধে কাপড়ের মাস্কের চেয়ে সার্জিক্যাল মাস্ক বেশি ফলপ্রসূ বলে জোরালো প্রমাণ পেয়েছেন। আমরা যদি স্থানীয় প্রশাসন, রাজনৈতিক দল ও ধর্মীয় গোষ্ঠীর লোকজনকে নিয়ে গ্রামীণ এলাকায় গণসচেতনতা অভিযান শুরু করতাম, তাহলে বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের তীব্রতা এড়ানো যেত।’

তিনি আরও বলেন, গবেষকরা কোভিড-১৯ প্রতিরোধে কাপড়ের মাস্কের চেয়ে সার্জিক্যাল মাস্ক বেশি ফলপ্রসূ বলে জোরালো প্রমাণ পেয়েছেন। ব্যাপক প্রচারের মাধ্যমে মানুষকে সচেতন করা হলে করোনার বিস্তার নিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারে।

জেএইচ/পি

মন্তব্য করুন

daraz
  • করোনাভাইরাস এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
শিক্ষা-সেবা-গবেষণায় প্রাধান্য দেবে বিএসএমএমইউ : নতুন উপাচার্য
খাদ্য নিরাপত্তা টেকসই করতে গবেষণায় জোর দেওয়ার আহ্বান কৃষিমন্ত্রীর
নোবিপ্রবিতে তৃতীয়বারের মতো গবেষণায় হাতেখড়ি অনুষ্ঠিত
২৪ ঘণ্টায় ৪২ জনের করোনা শনাক্ত
X
Fresh