টিসিবির পণ্য কিনতে করোনা আক্রান্তের ঝুঁকি
করোনাভাইরাস সংক্রমণরোধে সারাদেশে চলমান কঠোর লকডাউনে বাজারে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম চড়া। কঠোর লকডাউনে আরেকদফা পণ্যের দাম বাড়িয়েছে ব্যবসায়ীরা। এতে নিম্ন ও নিম্ন-মধ্যবিত্তরা সংসার চালাতে দিশেহারা। এমতাস্থায় টিসিবির ট্রাক সেল নিম্ন আয়ের মানুষের কাছে অনেকটাই ভরসা হয়ে দেখা দিয়েছে। কিন্তু তাতেও ভোগান্তি। ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে অনেকে পণ্য না পেয়ে খালি হাতে বাড়ি ফিরছেন। আবার টিসিবির ট্রাকের সামনে গাদাগাদি করে মানুষ লাইনে দাঁড়িয়েছেন।
বুধবার (০৭ জুলাই) রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, টিসিবির ট্রাক সেলের সামনে গাদাগাদি করে মানুষ দাঁড়িয়েছেন। ঘণ্টার পর ঘণ্টা রোদের মধ্যে দাঁড়িয়ে থেকে মুখে মাস্ক থাকলেও বারবার খুলছেন মানুষ।
পরিবারের সামান্য প্রয়োজনীয় পণ্যটি কিনতে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়াতে হচ্ছে এসব নিম্ন আয়ের মানুষকে। অনেকে স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা করছেন না। সামাজিক দূরত্ব বজায় না রেখেই লাইনে দাঁড়িয়ে পণ্য কিনছেন সাধারণ মানুষ।
বুধবার দুপুরে রাজধানীর শনিরআখড়া, নিউমার্কেট, মুগদা মেডিকেল সংলগ্ন টিসিবির পণ্য কিনতে দীর্ঘ লাইন দেখা গেছে। লাইনে দাঁড়িয়ে পণ্য নিচ্ছেন সাধারণ মানুষ। কিন্তু সামাজিক দূরুত্ব বলতে কিছুই নেই। গাদাগাদি করে লাইন দাঁড়িয়ে আছেন ক্রেতারা।
নিউমার্কেটে টিসিবির পণ্য বিক্রেতা জানান, তাদের প্রতিদিন মাত্র ২০০ জনের পণ্য দেয়া হয়ে থাকে। কিন্তু কমপক্ষে তিনগুণ অর্থাৎ ৬০০ জনের চাহিদা রয়েছে। ফলে যারা সিরিয়ালে আগে থাকেন তাদেরকেই তারা পণ্য দিয়ে থাকেন।
এসব ট্রাক থেকে ক্রেতারা চিনি কেজিপ্রতি ৫৫ টাকা (একজন সর্বোচ্চ চার কেজি ), প্রতিকেজি মসুর ডাল ৫৫ টাকা (সর্বোচ্চ দুই কেজি ) এবং সয়াবিন তেল ১০০ টাকা লিটারে (দুই থেকে সর্বোচ্চ ৫লিটার) কিনতে পারছেন।
টিসিবির ট্রাকের দুই পাশে নারী ও পুরুষের দীর্ঘ লাইনে স্বাস্থ্যবিধি মোটেই মানা হচ্ছে না। ক্রেতাদের অনেকেই বলছেন, টিসিবির পণ্য কিনতে এসে কাছাকাছি দাঁড়িয়ে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার আরও বেশি ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে। সকাল থেকে পণ্য বিক্রি শুরু হলে এতটা ভিড় ও ভোগান্তি হতো না বলে তারা জানান।
এফএ
মন্তব্য করুন