আইসিইউ ও জেনারেল বেড অর্ধেকের বেশি খালি
করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা দিতে হাসপাতালে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ) নিয়ে কয়েকদিন আগেও হাহাকার ছিল। বেডের অভাবে অ্যাম্বুলেন্সের ভেতরে রোগীর মৃত্যু হয়েছে। আবার আইসিইউ বেড পেতে এক হাসপাতাল থেকে অন্য হাসপাতালে রোগীকে নিয়ে স্বজনদের দৌঁড়াদৌড়ি ছিল সাধারণ চিত্র। এখন সেই দৃশ্য পাল্টে গেছে। দেশের হাসপাতালগুলোর আইসিইউ বেডের অর্ধেকের বেশি এবং জেনারেল বেড ৭৯ শতাংশ খালি পড়ে আছে।
জানা গেছে, করোনা সংক্রমণরোধে সরকারের ঘোষিত লকডাউনে গণপরিবহন ও মার্কেট-শপিংমল বন্ধ রাখায় করোনা আক্রান্ত কমে এসেছে। বর্তমানে করোনা রোগীদের হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যা কমছে, আইসিইউ বেড খালি পড়ে আছে।
গত সপ্তাহ থেকে করোনা শনাক্ত ২৪ ঘণ্টায় দুই হাজারের নিচে এবং মৃত্যু কমবেশি ৪০ থেকে ৬০ জন। যার ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে হাসপাতালগুলোতে। এখন প্রায় ৭৯ শতাংশ জেনারেল বেড ও প্রায় ৫৯ শতাংশ আইসিইউ খালি পড়ে আছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাব অনুযায়ী, করোনা রোগীদের চিকিৎসার জন্য দেশে সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল মিলে ১২ হাজার ৪৮টি জেনারেল বেড। এর মধ্যে গতকাল রোগী ভর্তি ছিল ২ হাজার ৬৫০ জন। খালি জেনারেল বেডের সংখ্যা ৯ হাজার ৩৯৮টি। অন্যদিকে এখন মোট আইসিউ বেডের সংখ্যা ১০ হাজার ৭২টি। এর মধ্যে রোগী আছে ৪৪৩ বেডে, বাকি ৬২৯টি খালি।
কঠোর লকডাউনে যানবাহন ও মানুষের চলাচল নিয়ন্ত্রণে থাকলেও ঈদের আগমুহূর্তে শহর থেকে গ্রামের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন। এতে জেলাপর্যায়ে বাস, প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস ও ফেরিতে মানুষ ভিড় জমিয়েছেন। এতে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ঈদের পর ফের করোনা সংক্রমণ বেপরোয়া হয়ে উঠতে পারে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডাক্তার নাসিমা সুলতানা বলেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণ কমে যাওয়ায় হাসপাতালগুলোতে রোগীর চাপ কমেছে, ফলে বেড খালি হওয়া স্বাভাবিক। সংক্রমণ যত দ্রুত কমবে, মৃত্যুও তত দ্রুত কমে আসবে। এ জন্য সরকারের পক্ষ থেকে যেসব নির্দেশনা মানতে বলা হচ্ছে, সেগুলো সবাইকে মেনে চলা জরুরি।
এফএ/পি
মন্তব্য করুন