অসুস্থ খালেদার বিদেশ যাত্রার সিদ্ধান্ত আজ নয়, দ্রুতই জানানো হবে
করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ঢাকায় বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত আজ হচ্ছে না। তবে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে তা দ্রুতই জানিয়ে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
আজ বৃহস্পতিবার (৬ মে) বিকেলে এ তথ্য জানান আইনমন্ত্রী।
এর আগে আজ দুপুরে আইনমন্ত্রী তার গুলশানের বাসভবনে সাংবাদিকদের বলেন, বেগম খালেদা জিয়াকে নির্বাহী আদেশে মুক্তি দেয়া হয়েছিল এবং দুটি শর্তের ভিত্তিতে। এতোদিন তিনি ওই শর্ত মেনেই চলেছেন। ফৌজদারী কার্যবিধির ৪০১ ধারার দুটি শর্ত হচ্ছে, তিনি দেশের ভেতরে এবং বাড়িতে থেকে চিকিৎসা নেবেন। এখন যেহেতু বিদেশে চিকিৎসার বিষয়ে আবেদন করা হয়েছে তাই ৪০১ ধারা নিয়ে পর্যালোচনা করা হবে।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার চিকিৎসার বিষয়ে প্রথম থেকেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানবিক দৃষ্টিতেই দেখছেন। আর সেজন্যই তাকে বাড়িতে চিকিৎসার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
আইনমন্ত্রী আরও বলেন, খালেদা জিয়াকে যে আইনে মুক্তি দেয়া হয়েছে সেখানে বলা আছে এ ধরনের মুক্তি শর্তযুক্তও হতে পারে আবার শর্ত ছাড়াও হতে পারে। তাকে মুক্তি দিতে দুটি শর্ত দেয়া হয়েছিল। দেশের ভেতরে থেকে চিকিৎসা নেবেন। আর নিজ বাড়িতে চিকিৎসা নেবেন। এখন যেহেতু বিদেশে চিকিৎসার আবেদন করা হয়েছে তাই ৪০১ ধারা নিয়ে পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
এর আগে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জানান, বেগম খালেদা জিয়ার পরিবারের আবেদনসংক্রান্ত ফাইলটি বুধবার (৫ মে) রাত ১১টায় আইন মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের সচিবের কাছে এসেছে। এখন যথাযথ প্রক্রিয়া শেষ করে সেটি তার (মন্ত্রী) কাছে আসবে। এর পর সেটি দেখে এ বিষয়ে মতামত দেবেন। কিন্তু এখনো তার হাতে ফাইলটি আসেনি।
এদিকে আজ সকালে এক অনুষ্ঠানে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, খালেদা জিয়ার পোস্ট কোভিড নানা জটিলতা সৃষ্টি হওয়ায় ‘মানবিক’ কারণে বিদেশে উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা নিন।
এভারকেয়ার হাসপাতালে হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ শাহাবুদ্দিন তালুকদারের তত্ত্বাবধানে ১০ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড গত মঙ্গলবার দুপুরে খালেদা জিয়ার পরীক্ষা-নিরীক্ষাগুলো পর্যালোচনা করেন। গত ২৭ এপ্রিল গুলশানের ওই হাসপাতালে ভর্তির পরদিনই এই মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরার পর গত ১১ এপ্রিল থেকে গুলশানের ভাড়া বাসা ‘ফিরোজা’য় থেকে ব্যক্তিগত চিকিৎসক টিমের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন খালেদা জিয়া। ১৪ দিন পর আবার পরীক্ষা করা হলে তখনো তার করোনাভাইরাস ‘পজিটিভ’ আসে। এরপর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ২৭ এপ্রিল রাতে তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। চেস্টের সিটি স্ক্যান ও কয়েকটি পরীক্ষার পর সেই রাতেই তাকে হাসপাতালে ভর্তি করে নেয়া হয়।
কেএফ
- আরও পড়ুন
- বিদেশ যেতে ঢাকায় করোনা টেস্ট করাতে এসে খুন হলো যুবক!
- খালেদা জিয়াকে বিদেশে নিতে ‘মৌখিক অনুমতি
- রোগীদের বাঁচা মরার সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন যে ডাক্তার
কেএফ
মন্তব্য করুন