লকডাউনে আপনার করণীয় কী?
করোনাভাইরাস সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় সোমবার (৫ এপ্রিল) থেকে এক সপ্তাহের জন্য সারা দেশে লকডাউন। এসময় দেশের অধিকাংশ অফিস-আদালত ও ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থা এই সময় দিনমজুর ও সাধারণ মানুষদের বিভিন্নভাবে সহায়তা করবেন। লকডাউনের সময় অন্তত কোনো মানুষের যেন মানবেতর জীবন কাটাতে না হয় সে জন্য সরকারের প্রচেষ্টার কমতি থাকবে না।
তারপরও কিছু বিষয় বা দিক সমাজের সচেতন মানুষদের চোখে পড়বে। অনেকে কাজ করার সুযোগ পাবে না লকডাউনে। এই সময় অর্থকষ্ট থেকে শুরু করে অনেকে আমাদের অগোচরেই খাবার জোগাতে হিমশিম খাবেন। আশপাশের এসব মানুষদের জন্য সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে পারেন আপনি। এখন করোনার লকডাউনে আপনার করণীয় কী তা তুলে ধরা হলো-
- সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে প্রতিবেশীর খাঁজ-খবর নিন। কোনো বয়স্ক, অভাবী লোক থাকলে অর্থ ও খাবার দিয়ে সহায়তা করতে পারেন। বাড়ির কেউ অসুস্থ থাকলে ওষুধ সরবরাহ করতে পারেন। জরুরি প্রয়োজনে চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে পারেন।
- ফোনে আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবদের খবর নিন। তাদের পরিবারে লকডাউনে কোনো সমস্যা হচ্ছে কিনা তা জানার চেষ্টা করুন।
- সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সক্রিয় থাকলে করোনায় ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা করতে গ্রুপ খুলতে পারেন।
- বন্ধুদের নিয়ে ফুড ব্যাংক খুলতে পারেন। পরিচিত-অপরিচিতদের সহায়তা করার জন্য তহবিলও গঠন করে সকলের পাশে থাকতে পারেন।
- অনেকে ইতোমধ্যে হয়তো দরিদ্রদের সহায়তা করার জন্য বিনামূল্যে জীবাণুনাশক, স্বাস্থ্যকর খাবার ও সচেতনমূলক কাজ করছেন। আপনিও সেখানে অংশ নিন। আর্থিকভাবে সহায়তা করা সম্ভব না হলে পরিপূর্ণভাবে লকডাউন পালনের জন্য স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে যোগ দিয়েও সহায়তা করতে পারেন।
এসআর/
মন্তব্য করুন
আরও ১৫ জনের করোনা শনাক্ত
সারাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে কারও মৃত্যু হয়নি। তবে এ সময় নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন আরও ১৫ জন। সব মিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ৪৯ হাজার ৪৯৯ জন।
শনিবার (৩০ মার্চ) স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনা বিষয়ক এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, সারাদেশে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৮৮৫টি ল্যাবে ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ২৭১টি। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে এক কোটি ৫৬ লাখ ৭৯ হাজার ৫৪৮টি।
ঢাকা সিটিসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ও বাড়িতে উপসর্গ বিহীন রোগীসহ গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৩ জন সুস্থ হয়েছেন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ২০ লাখ ১৬ হাজার ৮১৯ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার পাঁচ দশমিক ৫৪ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ০৭ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৮ দশমিক ৪১ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার এক দশমিক ৪৪ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় কেউ আইসোলেশনে আসেনি এবং আইসোলেশন থেকে কেউ ছাড়পত্র পায়নি। এ পর্যন্ত মোট আইসোলেশনে এসেছেন চার লাখ ৫২ হাজার ৯৫৫ জন এবং আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন চার লাখ ২৩ হাজার ৭০৬ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ২৯ হাজার ২৪৯ জন।
দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মোট মৃত্যু হয়েছে ২৯ হাজার ৪৯৩ জনের।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম ৩ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর দেশে প্রথম একজনের করোনায় মৃত্যু হয়।
২৪ ঘণ্টায় ১৬ জনের করোনা শনাক্ত
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ১৬ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে মোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ৪৯ হাজার ৬১১ জনে। এ সময়ে করোনায় আক্রান্ত হয়ে কারো মৃত্যু হয়নি। ফলে মোট মৃত্যুর সংখ্যা ২৯ হাজার ৪৯৩ জনে অবস্থান করছে।
শুক্রবার (৫ এপ্রিল) স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনা বিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ২৫ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ২০ লাখ ১৭ হাজার ৯ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় পরীক্ষা করা হয় ৩০৮ জনের নমুনা। পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ৫ দশমিক ১৯ শতাংশ। মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ০৭ শতাংশ।
২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম ৩ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ওই বছরের ১৮ মার্চ দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। ২০২১ সালের ৫ ও ১০ আগস্ট দু-দিন করোনায় সর্বাধিক ২৬৪ জন করে মারা যান।
২৪ ঘণ্টায় করোনায় একজনের মৃত্যু, শনাক্ত ১৬
দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ পর্যন্ত দেশে করোনাভাইরাসে মোট মৃত্যু হয়েছে ২৯ হাজার ৪৯৪ জনের। এদিন নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ১৬ জন। সব মিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ৪৯ হাজার ৮০০ জন।
বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনাবিষয়ক এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
সারাদেশে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৮৮৫টি ল্যাবে ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৩৮৬টি। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে এক কোটি ৫৬ লাখ ৮৬ হাজার ২৫৫টি।
এতে বলা হয়, ঢাকা সিটিসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ও বাড়িতে উপসর্গবিহীন রোগীসহ গত ২৪ ঘণ্টায় ২৮ জন সুস্থ হয়েছেন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ২০ লাখ ১৭ হাজার ২৬৯ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার চার দশমিক ১৫ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ০৭ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৮ দশমিক ৪১ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার এক দশমিক ৪৪ শতাংশ। এ সময়ে একজন আইসোলেশনে এসেছেন এবং আইসোলেশন থেকে কেউ ছাড়পত্র পাননি। এ পর্যন্ত মোট আইসোলেশনে এসেছেন চার লাখ ৫২ হাজার ৯৬৬ জন এবং আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন চার লাখ ২৩ হাজার ৭১৫ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ২৯ হাজার ২৫১ জন।
২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে করোনাভাইরাসের প্রথম রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।
২৪ ঘণ্টায় ১৬ জনের করোনা শনাক্ত
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ১৬ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে মোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ৪৯ হাজার ৮১৬ জনে। এ সময়ে করোনায় আক্রান্ত হয়ে কারও মৃত্যু হয়নি। ফলে মোট মৃত্যুর সংখ্যা ২৯ হাজার ৪৯৪ জনে অবস্থান করছে।
শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ২৫ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ২০ লাখ ১৭ হাজার ২৯৪ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় পরীক্ষা করা হয় ৩৮৮ জনের নমুনা। পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ৪ দশমিক ১২ শতাংশ। মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ০৭ শতাংশ।
২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম ৩ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ওই বছরের ১৮ মার্চ দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। ২০২১ সালের ৫ ও ১০ আগস্ট দু-দিন করোনায় সর্বাধিক ২৬৪ জন করে মারা যান।