লকডাউন শিথিল করায় বাড়ছে সংক্রমণ ও মৃত্যু
লকডাউন শিথিল করে দেয়ায় সারা দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ও মৃত্যু বাড়ছে বলে জানালেন, ‘রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান’ আইইডিসিআর’র সাবেক প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডাক্তার মুশতাক হোসেন। তিনি বলেন, এখনই কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ হবে। লাগাম টেনে ধরতে তাই দ্রুত এলাকাভিত্তিক লকডাউন করে মানুষের চলাচল নিয়ন্ত্রণ ও উপসর্গযুক্তদের পরীক্ষায় আওতায় আনার পরামর্শ দেন তিনি।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য মতে, দেশে এ পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ৮৪ হাজার মানুষের মধ্যে খোদ রাজধানীতে আক্রান্ত ২৩ হাজারের বেশি। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি মিরপুরে। এরপর মোহাম্মদপুর, মহাখালী, মুগদা, যাত্রাবাড়ী ও ধানমন্ডি এলাকা। অথচ এসব এলাকাকে এখনো রেড জোন ঘোষণা করে লকডাউন করা হয়নি। পরীক্ষামূলকভাবে করা হয়েছে কেবল পূর্ব রাজাবাজারকে।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে গত ২৬ মার্চ থেকে শুরু হওয়া সাধারণ ছুটি ছয় দফা বাড়িয়ে ৩০ মে শেষ হয়। এরপর ১৫ জুন পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে সব কিছু খোলার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। কিন্তু এরপর থেকে করোনাভাইরাসে মৃত্যু ও সংক্রমণ দুটোই পাল্লা দিয়ে বাড়ছে। ১২ জুন সর্বোচ্চ ৪৬ জনের মৃত্যু ও প্রায় সাড়ে তিন হাজার মানুষকে করোনা পজেটিভ হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে। আক্রান্তের বিবেচনায় বাংলাদেশ এখন চীনকেও ছাড়িয়ে গেছে।
আইইডিসিআরের সাবেক এই প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তার মতে, আরো আগেই জোনভিত্তিক লকডাউন করা দরকার ছিলো। এখন জোনভিত্তিক লকডাউন করা হলেও, ফল পেতে এক থেকে দুই সপ্তাহ সময় লাগবে।
ডাক্তার মুশতাক হোসেন বলেন, লকডাউন যতো ভালোভাবে বাস্তবায়ন করা যাবে, করোনাভাইরাসে মৃত্যু ও সংক্রমণ ততো কমবে। সেই সঙ্গে মানুষকেও সচেতন ও দায়িত্বশীল হতে হবে।
পি
মন্তব্য করুন