• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo

জীবন বাঁচায় মাস্ক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, আরটিভি অনলাইন

  ০৭ এপ্রিল ২০২০, ২১:৪৯
face mask saves life
সংগৃহীত

মাস্ক পরার অভ্যস্ততার দিক দিয়ে পশ্চিমা দেশগুলোর চেয়ে অনেকটাই এগিয়ে এশিয়ার দেশগুলো। আর এ কারণে এশিয়ার দেশগুলোর তুলনায় পশ্চিমা দেশগুলোতে কভিড-19 এ আক্রান্তের হার অনেক বেশি। যেহেতু এখনও করোনাভাইরাসের কোনও ওষুধ নেই, তাই প্রতিরোধই সর্বোত্তম ব্যবস্থা। এর অন্যতম উপায় হচ্ছে মাস্ক। আর বিশ্বজুড়ে করোনার সংক্রমণ কমিয়ে রাখার জন্য আমাদের মাস্ক পরা প্রয়োজন।

এখন আনুষ্ঠানিকভাবে মাস্ক পরার ওপর জোর দেয়া হচ্ছে

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার পর যুক্তরাষ্ট্রের সার্জন জেনারেল ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছিল যে, কভিড-19 এর সংক্রমণ রোধ করার ক্ষেত্রে মাস্ক কার্যকর নয়। তবে সম্প্রতি তারা মাস্ক পরা নিয়ে তাদের অবস্থান পরিবর্তন করেছে। কভিড-19 ছড়িয়ে পড়া রোধে যেকোনো প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থার প্রতি এখন জোর দিচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ।

মাস্ক কীভাবে কভিড-19 এ মৃত্যুর হার কমায়?

তিনভাবে সংক্রমণ কমাতে সাহায্য করে মাস্ক। সেগুলো-

* আক্রান্ত ব্যক্তি থেকে ভাইরাসের বিস্তার কমায়। ভাইরাসের কণাগুলো মাস্কের মধ্যে আটকে থাকে, এর ফলে সেগুলো বায়ুবাহিত হতে বাধা দেয়। এভাবে অন্যরা সুরক্ষিত থাকে।

* অনাক্রান্ত ব্যক্তি থেকে নতুন সংক্রমণ কমায়। মাস্কের কারণে বাইরে থেকে বায়ুবাহিত ভাইরাসের কণা নিশ্বাসের সঙ্গে প্রবেশ আটকায়। অনাক্রান্ত ব্যক্তিকে সুরক্ষিত রাখে।

* মাস্কের কারণে মুখে হাত দেয়াটা সীমিত হয়ে আসে। মাস্কের কারণে সম্ভাব্য দূষিত হাত ও শ্বাসতন্ত্রের মধ্যে একটা দেয়াল তৈরি হয়।

কভিড-19 এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে মাস্ক পরার উৎসাহ দিতে হবে, যাতে সংক্রমণ কমানো যায়।

বিশ্বের যেকোনো দেশের তুলনায় জাপানে মাস্ক পরার সংস্কৃতি খুব জোরালো। তাই সেখানে করোনার সংক্রমণের হারও কম। যদিও জাপানের একটা বড় অংশ বয়োবৃদ্ধ এবং এই মহামারির শুরুর দিকে সংক্রমণ ধরা পড়েছে; তারপরও সেখানে মৃত্যুর হার বিশ্বের যেকোনো দেশের চেয়ে কম। এর সবচেয়ে বড় কারণ হচ্ছে দেশটিতে খুব জোরালোভাবে মাস্ক পরার সংস্কৃতি অনুসরণ করা হয়। দেশটিতে এখন পর্যন্ত তিন হাজার ৯০৬ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। আর মৃত্যু হয়েছে ৯২ জনের।

গত ১৮ মার্চ থেকে চেক প্রজাতন্ত্র দেশটিতে জনসম্মুখে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করে দিয়েছে। দেশটিতে এখন পর্যন্ত চার হাজার ৮২৮ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে এবং মারা গেছে ৮০ জন। ইউরোপে করোনায় সবচেয়ে কম মৃত্যু হওয়া দেশগুলোর একটি হচ্ছে চেক প্রজাতন্ত্র। মাস্ক পরার কারণে সংখ্যাগত কোনও প্রভাব পড়েছে কিনা সেটা দেখতে ভবিষ্যতে প্রতিবেশী দেশগুলোর চেক প্রজাতন্ত্রের সংক্রমণের সংখ্যার ওপর গভীর নজর রাখতে হবে।

করোনার সংক্রমণ কমাতে মাস্ক পরার সংস্কৃতি প্রচার করতে হবে

যেকোনো কিছু যা অ্যারোসোলাইজড ভাইরাসকে মানুষ থেকে মানুষে ছড়াতে বাধা দেয় তা কভিড-19 এর সংক্রমণের হার হ্রাস করবে।

* বাসা থেকে বের হওয়ার আগে অ্যারোসোলাইজড ভাইরাসে ড্রপলেট এড়াতে মাস্ক পরতে হবে।

* N95 মাস্ক সার্জিকাল মাস্কের চেয়ে ভালো, তবে যেকোনো কিছু ভাইরাসের আর্দ্র কণা শ্বাস-প্রশ্বাসের সঙ্গে প্রবেশ রোধ করবে তা এটির বিরুদ্ধে সহায়তা করবে।

* মাস্ক পরার সঙ্গে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ কমার সম্পর্ক নিয়ে কোনও শক্ত উপাত্ত এখনও নেই। আমাদের কাছে এই মুহূর্তে অ্যানেকডোটাল রিসার্চ রয়েছে।

* এমন মহামারিতে মাস্ক ছাড়া বাইরে বের হওয়া অনেকটা হেলমেটবিহীন মোটরসাইকেলে চড়ার মতো। আপনাকে কুল লাগবে না। মানুষজন আপনাকে দেখবে এবং মনে করবে যে আপনার কাছে নিজের জীবনের কোনও মূল্য নেই।

* মাস্ক পরার সুবিধা রয়েছে এমন গবেষণা প্রচার করুন।

* স্থানীয় পর্যায়ে সর্বজনীন মাস্ক পরার প্রচার শুরু করুন। আপনার প্রতিবেশী, অ্যাপার্টমেন্ট বিল্ডিং এবং শহরের কর্তৃপক্ষকে মাস্ক পরতে উত্সাহিত করুন।

* আপনি নিজে মাস্ক তৈরি করুন। গবেষণায় দেখা গেছে, যে ঘরে তৈরি মাস্ক ভাইরাস থেকে রক্ষা করতে খুব কার্যকর হতে পারে।

মন্তব্য করুন

daraz
  • স্বাস্থ্য এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
মস্তিষ্কে চিপ বসিয়ে ডিভাইস নিয়ন্ত্রণের প্রবণতা
করোনায় আরও একজনের মৃত্যু
বেজোস-ইলন মাস্ক এখন বিশ্বের দ্বিতীয়-তৃতীয় ধনী, শীর্ষে কে?
আরও ৩৫ জনের করোনা শনাক্ত
X
Fresh