আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট
০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১৩:৪৬
আপডেট : ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ২২:২২
আপডেট : ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ২২:২২
‘করোনাভাইরাস ঠেকাতে সব দেশের যাত্রীদের পরীক্ষা করা হবে’ (ভিডিও)

ছবি: সংগৃহীত
আমরা অতিরিক্ত সতর্কতা হিসেবে এটা চালু করেছি। এটা সব দেশের ফ্লাইটের ক্ষেত্রেই শুরু হয়েছে। তবে এটা নিয়ে ভীত হওয়ার কিছু নেই, এটা বাড়তি সতর্কতা। বাংলাদেশের সবগুলো বন্দরে আসা যাত্রীদের স্ক্রিনিং করার সক্ষমতা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের আছে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে ফ্লোরা বলেন, বিভিন্ন এয়ারলাইন্স, বন্দর কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সহযোগিতায় এ কাজটি করা হচ্ছে। আমরা এয়ারলাইন্সগুলোর সহযোগিতা নিচ্ছি। ফ্লাইটের মধ্যে যে ডিক্লেয়ারেশন ফর্ম দেয়া হয়, তাতে এয়ারলাইন্সগুলো সহায়তা করে। আমরা সম্মিলিতভাবেই করছি। এখানে এয়ারলাইন্সগুলোর সহযোগিতা খুবই জরুরি। যে বন্দরে থার্মাল স্ক্যানার নেই, সেখানে আমরা হ্যান্ডহেল্ড স্ক্যানার দিয়েছি। থার্মাল স্ক্যানার এবং হাত দিয়ে যেটা করা হয়- দুটোর কার্যক্রম একই। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, শনিবার সকাল পর্যন্ত ৮ হাজার ৪৮৪ জনকে স্ক্রিনিং করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত ৫৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করলেও কারও দেহে এন করোনাভাইরাস পাওয়া যায়নি। চীনের উহান থেকে আসা ৩১২ বাংলাদেশির মধ্যে আশকোনা হজক্যাম্পে থাকা ৩০১ জনের সবাই সুস্থ আছেন। সিএমএইচে থাকা ১১ জনের অবস্থাও ভালো বলে জানান অধ্যাপক ফ্লোরা। সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, গেল ২৪ ঘণ্টায় তিনজন রোগীর করোনা পরীক্ষা করা হয়। এছাড়াও ইতোমধ্যে পরীক্ষা করা বাদবাকি ৫২ জনের শরীরেও করোনা সংক্রামনের কোনও খবর পাওয়া যায়নি। বিমান বন্দরে এখনও পযন্ত প্রায় সাড়ে ৮ হাজার মানুষকে স্ক্রিনিং করা হয়েছে বলে জানানো হয় । করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে চীনে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭২২ জনে। চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন বলছে, শনিবার পর্যন্ত নতুন করে ৮৬ জন মারা গেছেন, যাদের ৮১ জনেই হুবেই প্রদেশের। সেইসঙ্গে নতুন করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করা হয়েছে ৩ হাজার ৩৯৯ জন। এনিয়ে চীনজুড়ে আক্রান্তের সংখ্যা ৩৪ হাজার ৫৪৬ জনে দাঁড়ালো। এসএস