• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo

চাঁদা না দেওয়ায় কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ

নাটোর প্রতিনিধি

  ০৯ নভেম্বর ২০১৯, ১৭:২৮
চাঁদা কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ
প্রায় পাঁচ মাস ধরে বন্ধ নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার মৃধাকচুয়া কমিউনিটি ক্লিনিক (সিসি), ছবি: আরটিভি অনলাইন

নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার মৃধাকচুয়া কমিউনিটি ক্লিনিক (সিসি) প্রায় পাঁচ মাস ধরে বন্ধ। স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত গর্ভবতী মা ও শিশুসহ হাজারো মানুষ।

শনিবার জেলার গোপালপুর ইউনিয়নের মৃধাকচুয়া গ্রামে কমিউনিটি ক্লিনিকে সরেজমিনে গেলে ক্লিনিকটি তালাবদ্ধ দেখা যায়। এলাকাবাসী জানায়, দীর্ঘ চার থেকে পাঁচ মাস যাবত ক্লিনিকটি বন্ধ রয়েছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ ক্লিনিকে একজন সিএইচসিপি রয়েছেন। তিনি অনিয়মিত কর্মস্থলে আসায় ও জনগণ ওষুধ না পাওয়ায় গ্রামের কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি প্রায় পাঁচ মাস আগে কমিউনিটি ক্লিনিকটি তালা লাগিয়ে বন্ধ করে দেয়। পরবর্তীতে সিসির সভাপতি লুৎফর রহমানসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তি ভুল বোঝাবুঝির অবসান ঘটায় ও ৪ অক্টোবর থেকে সিসি খোলা হয়।

গত ১৯ অক্টোবর সকালে সিসির সভাপতি ও স্থানীয় ইউপি সদস্য লুৎফর রহমান তার দলবল নিয়ে ক্লিনিকে এসে ভিতরে ঢুকে সিএইচসিপি মেহেদী হাসানকে এলোপাতাড়িভাবে মারপিট করে তার কাছ থেকে তালাচাবি কেড়ে নিয়ে ঘর থেকে বের করে দিয়ে দরজায় তালা লাগিয়ে দেয়। খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন ঘটনাস্থলে এসে তাকে উদ্ধার করে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে।

মেহেদী হাসানের মা শরিফা খাতুন বলেন, উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নে ইউপি সদস্য হিসেবে আমার স্বামী (মৃত আব্দুল জলিল মোল্লা) প্রায় ১৫ বছর ও আমি মহিলা সংরক্ষিত আসনে ইউপি সদস্য হিসেবে দীর্ঘ নয় বছর সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করে এসেছি। এছাড়া আমার স্বামী ছিলেন একজন মুক্তিযোদ্ধা। আমার ছেলে প্রায় নয় বছর কমিউনিটি ক্লিনিকে সিএইচসিপি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে। কিন্তু প্রভাবশালী কুচক্রিমহল আমার ছেলের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদ দিচ্ছে। আমার ছেলের কাছে তারা বড় অঙ্কের চাঁদা দাবি করছে। আমার ছেলে চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় নির্মমভাবে পিটিয়ে আহত করে চাবি কেড়ে নিয়ে ক্লিনিকে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে। আমরা মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্য। আমি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি, যত দ্রুত সম্ভব অপরাধীদের আটক করে আইনের আওতায় আনা হোক।

---------------------------------------------------------------
আরো পড়ুন: বারডেম হাসপাতালে টেলিভিশন বিস্ফোরণ
---------------------------------------------------------------

ক্লিনিকের সাবেক সভাপতি আবু সাইদ জানান, ক্লিনিকটি নিয়মিতই খুলতো। কিন্তু কিছুদিন যাবৎ ক্লিনিকটি বন্ধ রয়েছে।

এলাকার জামসেদ আলীসহ কয়েকজন জানিয়েছেন, ক্লিনিকটি দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় বিশেষ করে গর্ভবতী মা ও শিশুরা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এলাকার আশেপাশে কোনো সরকারি বা বেসরকারি চিকিৎসা কেন্দ্র নেই। এছাড়া আমাদের এলাকার অধিকাংশই রাস্তা কাঁচা থাকার কারণে ইচ্ছা করলেই দূরে কোথাও রোগী নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয় না। এ রাস্তায় গাড়ি, রিকশা-ভ্যান চলাচল করে না। তাই জনগণের স্বার্থে সরকারের কাছে জোর দাবি অতি জরুরিভাবে এই কমিউনিটি ক্লিনিকটি খুলে দিয়ে জনসেবা নিশ্চিত করতে হবে।

ক্লিনিকে দায়িত্বরত সিএইচসিপি মেহেদি হাসান বলেন, আমি দীর্ঘ প্রায় নয় বছর নিয়মিত ক্লিনিকে দায়িত্ব পালন করে আসছি। কিন্তু এলাকার প্রভাবশালী লুৎফর রহমান, আতিয়ার, মোস্তাক, কাউসারসহ আরো কয়েকজন ক্লিনিকে এসে আমাকে মারপিট করে বের করে দেয় এবং ক্লিনিকটিতে তালা মেরে দেয়। আমি জনগণকে ওষুধ দিতে পারছি না। জনগণ স্বাস্থ্য সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। ক্লিনিকটি খুলে দেওয়ার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে জানিয়েছি।

পি

মন্তব্য করুন

daraz
  • স্বাস্থ্য এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
বন্ধুদের সঙ্গে গোসল করতে নেমে আর ফিরল না সোহান
ইরানের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা জোরদার, ৩ শহরে ফ্লাইট বন্ধ
বন্ধুর স্ত্রীকে শাড়ি উপহার দিয়ে সমালোচনার মুখে ব্যারিস্টার সুমন
‘এক বন্ধুকে খুশি করতে অন্যের বিরাগভাজন হতে পারি না’
X
Fresh