আন্দোলনের মুখে বিএসএমএমইউ’র চিকিৎসক নিয়োগ স্থগিত
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) মেডিকেল অফিসার পদে নিয়োগ পরীক্ষা ‘আপাতত’ স্থগিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া। আজ মঙ্গলবার মেডিকেল অফিসার পদে নিয়োগের মৌখিক পরীক্ষা চলার দ্বিতীয় দিনে সাংবাদিকদের তিনি একথা জানান।
বিশ্ববিদ্যালয়টির মেডিকেল অফিসার পদে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ না হওয়া চাকরিপ্রার্থীরা গত প্রায় একমাস ধরে পরীক্ষা বাতিল ও পুনঃনিরীক্ষণের দাবিতে আন্দোলন করে আসছিলেন।
আজ (মঙ্গলবার) সকাল থেকেই ফের বিক্ষোভ শুরু করেন আন্দোলনরত চিকিৎসরা। এসময় পুলিশের বাধা অতিক্রম করেই তারা ভবনের দ্বিতীয় তলায় থাকা উপাচার্যর রুমের সামনে চলে যান। পরে আন্দোলনরতদের কয়েকজন প্রতিনিধি উপাচার্যর সঙ্গে আলোচনায় বসেন। আলোচনার পর উপাচার্য তাদের নিয়োগ পরীক্ষা আপাতত স্থগিত করা হবে বলে আশ্বস্ত করেন।
এ সময় মেডিকেল অফিসার পদে নিয়োগের মৌখিক পরীক্ষা স্থগিতের বিষয়টি জানিয়ে উপাচার্য বলেন, ‘সিন্ডিকেটের মিটিংয়েই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে ভবিষ্যতে কি করবো।’
এরপর তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্যদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন। সেখানেও এই নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এছাড়া এই নিয়োগ নিয়ে ভবিষ্যতে কি করা হবে সে বিষয়েও আলোচনা করা হয় সেখানে।
উল্লেখ্য, ২০০ মেডিকেল অফিসার পদে ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর মাসে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেয় বিএসএমএইউ কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যে ১৮০ জন এমবিবিএস ও ২০ জন বিডিএস চিকিৎসক চাওয়া হয়। প্রথম দফায় নিয়োগ পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করা হলেও সেটি পিছিয়ে ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে পরীক্ষার দিন ঠিক করা হয়। পরীক্ষা নেওয়ার জন্য প্রশ্নপত্রও ছাপানো হয়। কিন্তু অনিবার্য কারণ দেখিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ পরীক্ষা স্থগিত করে। নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ছাপা হওয়ার দেড় বছর পর গত ২২ মার্চ সেই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। গত ১২ মে পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়। পরীক্ষায় ৮ হাজার ৫৫৭ জন চিকিৎসক অংশগ্রহণ করেন। লিখিত পরীক্ষায় ১ পদের জন্য ৪ জনকে পাস করানো হয়েছে। এ হিসেবে ৭১৯ জন মেডিক্যাল অফিসার ও ডেন্টালের ৮১ জন মিলে মোট ৮২০ জন লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। এরপর থেকেই আন্দোলনে নামেন চিকিৎসকদের একাংশ। এর মধ্যে গতকাল থেকে ৫০ নম্বরের মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া শুরু হয়। আজ তা স্থগিতের ঘোষণা দেন উচাপার্য।
পি
মন্তব্য করুন