শনিবারের জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন স্থগিত
অনিবার্য কারণবশত আগামী শনিবারের (১৯ জানুয়ারি) জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন স্থগিত করা হয়েছে।
জাতীয় পুষ্টি প্রতিষ্ঠানের বরাদ দিয়েএ তথ্য জানিয়েছে বাসস।
জাতীয় পুষ্টি প্রতিষ্ঠানের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনের নতুন তারিখ পরবর্তীতে জানানো হবে।
তবে বিজ্ঞপ্তিতে কর্মসূচি স্থগিতের কোনো কারণ জানানো হয়নি।
এই কর্মসূাচিতে ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী সব শিশুদের ১টি করে নীল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী সব শিশুকে ১টি করে লাল রঙের ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়।
ভিটামিন ‘এ’ দেহের স্বাভাবিক বৃদ্ধিতে সহায়তা করে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং শিশুমৃত্যুর ঝুঁকি কমায়। ভিটামিন ‘এ’ এর অভাবে রাতকানাসহ চোখের অন্যান্য রোগ এবং রক্তশূন্যতাও হতে পারে।
জেএইচ
মন্তব্য করুন
কোটি টাকার অস্ত্রোপচার বিনামূল্যে
রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে প্রায় ১৫ ঘণ্টার সফল অস্ত্রোপচার শেষে আলাদা করা করা হয়েছে মেরুদণ্ড জোড়া লাগানো দুই শিশু। বাংলাদেশের চিকিৎসা ক্ষেত্রে যাকে দেখা হচ্ছে একটি যুগান্তকারী মাইলফলক হিসেবে। শুধু তাই নয়, জটিল এ অস্ত্রোপচারটি করা হয়েছে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে, যেখানে বাইরের যে কোনও দেশে এটি করাতে গেলে খরচ পড়ে যেত কোটি টাকার উপরে।
মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১টার দিকে হাসপাতালের কেবিন ব্লকের ১০ম তলায় নাভা ও নোভা নামের শিশু দুটিকে দেখতে আসেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।
সেখানে শিশু দুটিকে সুস্থ অবস্থায় দেখে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমি প্রথম থেকেই এই বাচ্চা দুটির চিকিৎসার সঙ্গে জড়িত। এর আগেও কয়েকটি অপারেশন হয়েছে, তখনও আমি এসেছি। আজকে আমি দেখলাম, বাচ্চা দুটি সম্পূর্ণ আলাদা ও ভালো আছে।
এরপর দেশের চিকিৎসকদের প্রশংসা করে তিনি বলেন, 'চিকিৎসা ক্ষেত্রে বাংলাদেশ একটি অপার সম্ভাবনার দেশ। আমাদের দেশে প্রচুর শিক্ষার্থী প্রতিবছর মেডিকেল পড়ালেখা শেষ করে চিকিৎসক হচ্ছেন। আমাদের চিকিৎসকরা যেমন মেধাবী তেমন দক্ষ। শুধু একটু সুযোগ-সুবিধা বাড়াতে হবে এবং তাদেরকে দায়িত্ব অনুযায়ী ভরসা দিয়ে আত্মবিশ্বাস নিয়ে কাজ করার সুযোগ দিতে হবে। তাহলে বাংলাদেশ থেকে কোনও রোগীকে আর আগামীতে বিদেশ যেতে হবে না।'
ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, কিছুদিন আগেই আমরা ভুটানের ক্যান্সার আক্রান্ত এমন এক মেয়েকে চিকিৎসা দিয়ে ভালো করেছি, যার চিকিৎসা ভারত ও ব্যাংককেও সম্ভব হয়নি। কাজেই বাংলাদেশ পারে না এমন কোন কাজ নেই। বাংলাদেশেই এখন সব রোগের চিকিৎসা সুবিধা আছে। আজ বিএসএমএমইউতে নাভা ও নোভা নামের দুটি শিশুর জোড়া মেরুদণ্ড আলাদা করার অপারেশন সফল হলো। এটি সাধারণ কোনও কাজ নয়। এই অপারেশন ভারত বা বাইরের দেশে করতে গেলে প্রায় এক কোটি টাকা খরচ হত। কিন্তু বাংলাদেশে এই দুই অবুঝ শিশুর চিকিৎসা ব্যয় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নিজে করেছেন।
তিনি বলেন, আমি বলতে পারি, দায়িত্ব নিয়ে আমরা চিকিৎসকরা চিকিৎসা দিলে বাংলাদেশ থেকে এখন জটিল সব রোগেরই চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব।
প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ২১ মার্চ কুড়িগ্রামের কাঁঠালবাড়ী এলাকার পরিবহন শ্রমিক আলমগীর রানার স্ত্রী নাসরিন মেরুদণ্ড জোড়া লাগানো নুহা-নাভার জন্ম দেন। সে বছর এপ্রিলে তাদের চিকিৎসার জন্য বিএসএমএমইউর সার্জারি অনুষদের ডিন ও নিউরো স্পাইন সার্জন অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ হোসেনের অধীনে ভর্তি করা হয়।
গতকাল সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত তাদের শরীরে অস্ত্রোপচার করা হয়। অস্ত্রোপচারে অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ হোসেনের নেতৃত্বে ৩৯ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকসহ ১০০ জন মেডিকেল সদস্যের টিম অংশ নেন। ১৫ ঘণ্টার অস্ত্রোপচার শেষে সফলভাবে আলাদা করা সম্ভব হয় নুহা-নাভাকে।
এর আগে ২০২৩ সালের ২৯ জানুয়ারি নুহা-নাভার প্রথম ধাপের সফল অস্ত্রোপচার করা হয়। ওই ধাপে নুহা-নাভার দেহে টিস্যু বর্ধনকারী চারটি এক্সপান্ডা ডিভাইস প্রতিস্থাপন করা হয়। এ অস্ত্রোপচারে ছিলেন বিএসএমএমইউর বার্ন এন্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের প্রধান অধ্যাপক ডা. আইয়ুব আলী, নার্সিং অনুষদের ডিন ও অ্যানেসথেসিয়া বিভাগের অধ্যাপক ডা. দেবব্রত বনিক, শিশু সার্জারি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. একেএম জাহিদ হোসেন, অ্যানেসথেসিয়া বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. দেবাশীষ বনিকসহ আরও ১০ চিকিৎসক। ওইদিনও ডা. সামন্ত লাল সেন উপস্থিত ছিলেন।
আরও ৬৭ জনের করোনা শনাক্ত
দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৬৭ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ সময়ে দেশে করোনায় কারও মৃত্যুর তথ্য পাওয়া যায়নি। মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৯ হাজার ৪৮৬ জনে। আর শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ৪৮ হাজার ৭ জনে।
মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সারাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ৮৮৫টি পরীক্ষাগারে ৭৯২টি নমুনা পরীক্ষায় ৬৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়। তাদের মধ্যে ৫৯ জনই ঢাকার রোগী। এছাড়া সাতজন চট্টগ্রাম ও একজন ময়মনসিংহ বিভাগের বাসিন্দা।
পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ৮ দশমিক ৪৬ শতাংশ। মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্তদের মধ্যে থেকে সেরে উঠেছেন ২৫ জন। এ নিয়ে মোট সুস্থ রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ১৫ হাজার ১১৬ জনে। সুস্থতার হার ৯৮ দশমিক ৩৯ শতাংশ।
২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত প্রথম রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনায় প্রথম কোনো রোগীর মৃত্যুর তথ্য জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
আরও ৩৬ জন করোনায় আক্রান্ত
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় কারও মৃত্যু না হলেও একই সময়ে নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ৩৬ জন।
বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ৪০৩টি নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ৮ দশমিক ৯৩ শতাংশ। এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ০৮ শতাংশ।
এ সময় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৩২ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ২০ লাখ ১৫ হাজার ১৪৮ জন।
করোনায় এ পর্যন্ত মারা গেছেন ২৯ হাজার ৪৮৬ জন। আর মোট শনাক্ত হয়েছে ২০ লাখ ৪৮ হাজার ৪৩ জনের।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম ৩ জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ ভাইরাসটিতে দেশে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। এরপর ২০২১ সালের ৫ ও ১০ আগস্ট দু’দিন করোনায় সর্বাধিক ২৬৪ জন করে মারা যান।
করোনার কিছু টিকায় সমস্যা বেড়েছে : গবেষণা
করোনা মহামারি মোকাবিলায় সারা বিশ্বে ১ হাজার ৩৫০ কোটি ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে মানুষকে। জীবন রক্ষায় এসব টিকা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। শুধুমাত্র ইউরোপেই ১০ লাখের বেশি মানুষের জীবন বাঁচিয়েছে করোনার এ টিকা। তবে এ টিকা নেওয়াদের কিছুটা সমস্যা দেখা দিয়েছে বলে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছ বিজ্ঞানীরা। ৮টি দেশে করোনার টিকা গ্রহণ করা ৯ কোটি ৯০ লাখ মানুষের ওপর একটি জরিপ পরিচালনা করে এমন মন্তব্য করেছেন তারা।
‘গ্লোবাল ভ্যাকসিন ডেটা নেটওয়ার্ক’-এর নতুন এই গবেষণাটি গত সপ্তাহে ভ্যাকসিন জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে।
হৃদ্যন্ত্রে প্রদাহের বিষয়ে ব্লুমবার্গ ও ফোর্বসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গবেষণার আওতায় থাকা ব্যক্তিদের মধ্যে যারা ফাইজার ও মডার্নার মতো ‘এমআরএনএ’ টিকা নিয়েছেন তাদের হৃদ্যন্ত্রে প্রদাহের মাত্রা সামান্য বেশি দেখা গেছে। অন্যদিকে যারা ভাইরাল ভেক্টর নামে পরিচিত অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকা নিয়েছেন তাদের মস্তিষ্কে রক্ত জমাট বাঁধার মতো একটি বিরল ব্যাধির সম্পর্ক পাওয়া গেছে। বিশেষ করে, মডার্নার দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণের পর এই প্রবণতা সামান্য বেশি দেখা গেছে। প্রাথমিক ও বুস্টার ডোজ নেওয়ার পর পেরিকার্ডাইটিস বা হৃৎপিণ্ডের চারপাশের টিস্যুগুলোতে ফোলাভাব প্রবণতারও প্রমাণ পাওয়া গেছে।
অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকা গুলেন-ব্যারি সিনড্রোমের উচ্চ ঝুঁকির সঙ্গেও যুক্ত বলে দাবি করে গবেষকরা বলেন, গুলেন ব্যারি সিনড্রোম বা জিবিএস হচ্ছে এমন স্নায়বিক ব্যাধি—যা মাংসপেশিকে দুর্বল করে ধীরে ধীরে শরীরের শক্তি কমিয়ে দেয়। একপর্যায়ে নড়াচড়ার সামর্থ্যও হারিয়ে ফেলতে পারেন আক্রান্ত ব্যক্তিরা।
গবেষণায় ৯ কোটি ৯০ লাখ টিকা গ্রহণকারী ব্যক্তির স্বাস্থ্য সম্পর্কিত ধারাবাহিক তথ্যগুলো পরীক্ষা করে বিজ্ঞানীরা ভ্যাকসিনের সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য প্রাথমিকভাবে ১৩টি নির্দিষ্ট অবস্থার ওপর নজর রাখেন।
তাদের মতে, অ্যাস্ট্রাজেনেকার প্রাথমিক ডোজ গ্রহণের ৪২ দিনের মধ্যে গুলেন-ব্যারি সিনড্রোমের উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি লক্ষ্য করা গেছে। এ ক্ষেত্রে স্বাভাবিক অবস্থায় যেখানে ৬৬টি নজির প্রত্যাশিত ছিল, সেখানে ১৯০টি নজির দেখা গেছে। এই টিকা সেরিব্রাল ভেনাস সাইনাস থ্রম্বোসিসের তিনগুণ বৃদ্ধির সঙ্গেও যুক্ত ছিল।
এ সিনড্রোম মূলত মস্তিষ্কে রক্ত জমাট বাঁধার একটি ব্যাধি। এই ব্যাধির প্রত্যাশিত ২১টি নজিরের বিপরীতে টিকা গ্রহণকারীদের মধ্যে ৬৯টি নজির শনাক্ত করা হয়েছে।
এই অভিযোগে ডেনমার্কসহ একাধিক দেশ অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকা প্রত্যাহার বা সীমাবদ্ধ করেছে।
ক্লিনিক ও হাসপাতাল নিয়ে নতুন নির্দেশনা
নিবন্ধিত হাসপাতাল ও ক্লিনিক ছাড়া কোনোভাবেই চেম্বারে অথবা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অ্যানেসথেশিয়া দেওয়া যাবে না বলে নির্দেশনা জারি করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সেই সঙ্গে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল (বিএমডিসি) স্বীকৃত বিশেষজ্ঞ অবেদনবিদ (অ্যানেসথেটিস্ট) ছাড়া যেকোনো ধরনের অস্ত্রোপচার করা যাবে না।
বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) অধিদপ্তরের হাসপাতাল ও ক্লিনিক শাখার পরিচালক ডা. আবু হোসেন মো. মঈনুল আহসান স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এই নির্দেশ দেওয়া হয়। তাতে মোট ১০টি নির্দেশনা বা শর্ত জারি করা হয়েছে।
অফিস আদেশে বলা হয়েছে, বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার পরিচালনার ক্ষেত্রে এসব শর্তাবলি আবশ্যিকভাবে প্রতিপালনের জন্য নির্দেশ প্রদান করা হলো।
১০ নির্দেশনা হলো
১. বেসরকারি ক্লিনিক/হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিকের লাইসেন্সের কপি উক্ত প্রতিষ্ঠানের মূল প্রবেশ পথের সামনে দৃশ্যমান স্থানে অবশ্যই স্থায়ীভাবে প্রদর্শন করতে হবে।
২. সকল বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে উক্ত প্রতিষ্ঠানের যাবতীয় তথ্যাদি সংরক্ষণ ও সরবরাহের জন্য একজন নির্ধারিত দায়িত্বপ্রাপ্ত তথ্য কর্মকর্তা/কর্মচারী থাকতে হবে এবং তার ছবি ও মোবাইল নম্বর দৃশ্যমান স্থানে প্রদর্শন করতে হবে।
৩. যে সকল প্রতিষ্ঠানের নাম ডায়াগনস্টিক ও হাসপাতাল হিসেবে আছে কিন্তু শুধুমাত্র ডায়াগনস্টিক অথবা হাসপাতালের লাইসেন্স রয়েছে। তারা লাইসেন্স প্রাপ্ত ব্যতিরেকে কোনোভাবেই নামে উল্লেখিত সেবা প্রদান করতে পারবে না।
৪. ডায়াগনস্টিক সেন্টার/প্যাথলজিক্যাল ল্যাবরেটরির ক্ষেত্রে যে ক্যাটাগরিতে লাইসেন্স প্রাপ্ত, শুধুমাত্র সে ক্যাটাগরিতে নির্ধারিত পরীক্ষা-নিরীক্ষা ব্যতীত কোনোভাবেই অন্যান্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা যাবে না এবং ক্যাটাগরি অনুযায়ী প্যাথলজি/মাইক্রোবায়োলজি, বায়োকেমিষ্টি ও রেডিওলজি বিশেষজ্ঞ নিয়োগ করতে হবে।
৫. বেসরকারি ক্লিনিক/হাসপাতালের ক্ষেত্রে লাইসেন্সের প্রকারভেদ ও শয্যা সংখ্যা অনুযায়ী সকল শর্তাবলী বাধ্যতামূলকভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে।
৬. হাসপাতাল/ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নিয়োজিত সকল চিকিৎসকের পেশাগত ডিগ্রির সনদসমূহ, বিএমডিসি’র হালনাগাদ নিবন্ধন ও নিয়োগপত্রের কপি অবশ্যই সংরক্ষণ করতে হবে।
৭. হাসপাতাল/ক্লিনিকের ক্ষেত্রে যেকোনো ধরনের অপারেশন/সার্জারি/ প্রসিডিউরের জন্য অবশ্যই রেজিস্টার্ড চিকিৎসককে সার্জনের সহকারী হিসেবে রাখতে হবে।
৮. কোনো অবস্থাতেই লাইসেন্স প্রাপ্ত/নিবন্ধিত হাসপাতাল ও ক্লিনিক ব্যতীত চেম্বারে অথবা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অ্যানেসথেশিয়া প্রদান করা যাবে না। বিএমডিসি স্বীকৃত বিশেষজ্ঞ অবেদনবিদ (Anesthetist) ছাড়া যেকোনো ধরনের অপারেশন/সার্জারি/Interventional Procedure করা যাবে না।
৯. সকল বেসরকারি নিবন্ধিত লাইসেন্সপ্রাপ্ত হাসপাতাল/ক্লিনিকে Labor Room Protocol অবশ্যই মেনে চলতে হবে।
১০. নিবন্ধিত/লাইসেন্সপ্রাপ্ত হাসপাতাল/ক্লিনিকে অপারেশন থিয়েটারে অবশ্যই Operation Theatre Etiquette মেনে চলতে হবে।
বাড়ছে করোনা সংক্রমণ, দেড় মাসে ১১ মৃত্যু
দেশে আবারও বাড়তে শুরু করে করোনা সংক্রমণ। গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৭ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এ সময়ে ৩৬২টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ১০ দশমিক ২২ শতাংশ। চলতি বছরে দেড় মাসের ব্যবধানে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। সামনের কয়েক মাসে সংক্রমণ বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। এজন্য দ্রুত টিকা নেওয়াসহ সংক্রমণ রোধে সরকারি নির্দেশনা মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছেন তারা।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, গত বছরের সেপ্টেম্বরের ৪ তারিখ কোভিড আক্রান্ত হয়ে একজনের মৃত্যু হয়েছিল। এরপর জানুয়ারির ১১ তারিখ পর্যন্ত চার মাসে কোভিড আক্রান্ত হয়ে কারও মৃত্যু হয়নি। তবে চলতি বছরের ১১ জানুয়ারির পর থেকে আজ পর্যন্ত কোভিড সংক্রমিত হয়ে ১১ জন মারা গেছেন। এর মধ্যে ফেব্রুয়ারি মাসে মারা গেছেন ছয়জন। আর জানুয়ারিতে মারা গেছেন পাঁচজন। গত বছরের ডিসেম্বরে যেখানে পুরো মাসে কোভিড সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে ২১০ জনের, সেখানে ফেব্রুয়ারির ১৭ থেকে ২৩ তারিখ পর্যন্ত এ সপ্তাহে শনাক্তের সংখ্যা ছিল ৩৫৭ জন। কোভিড সংক্রমণ বৃদ্ধির পেছনে কারণ হিসেবে মানুষের মধ্যে টেস্ট না করার প্রবণতা, ভ্যাকসিন না নেওয়া ও নতুন ভ্যারিয়ারন্টের প্রভাবকে চিহ্নিত করা হয়।
করোনাভাইরাসের নতুন সাব ভ্যারিয়ান্ট জেএন ডট ওয়ান বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়ছে বলে এ বছরের শুরুতেই সতর্ক করেছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
বাংলাদেশেও রোগীদের মধ্যে এই নতুন সাব ভ্যারিয়ান্টের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে বলে কিছুদিন আগে এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য শরফু্দ্দিন আহমেদ।
তিনি জানান, জানুয়ারির শেষ সপ্তাহে কোভিড আক্রান্ত ৪৮ জন রোগীর জিনোম সিকোয়েন্স বিশ্লেষণ করে করা এক গবেষণা চালায় বিএসএমএমইউ। সেখানে উঠে আসে ৪৮ জনের মধ্যে ৩ জন নতুন ভ্যারিয়ান্ট জেএন ডট ওয়ানে আক্রান্ত। জেএন ডট ওয়ান আক্রান্ত রোগীদের প্রত্যেকেই দুই ডোজ টিকা দেওয়া ছিল।
এমন রোগীও দেখা গেছে যিনি তৃতীয়বার আক্রান্ত হয়েছেন-অর্থাৎ এর আগে দুইবার কোভিড আক্রান্ত হয়েছেন এবং তৃতীয়বার যখন আক্রান্ত হয়েছেন, তখন জেএন ডট ওয়ান সাব ভ্যারিয়ান্ট সংক্রমণ হয়েছে তার। কোভিডের অন্য সব সাব ভ্যারিয়ান্টের তুলনায় জেএন ডট ওয়ান সাব ভ্যারিয়ান্টটির উপসর্গ তুলনামূলক দুর্বল।
উপাচার্য শরফু্দ্দিন আহমেদ আরও জানান, জেএন ডট ওয়ান সাব ভ্যারিয়ান্টে আক্রান্ত রোগীর রোগের লক্ষণের তীব্রতা কম। এছাড়া এই সাব ভ্যারিয়ান্টে আক্রান্তদের হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যাও কম হয়।
আইইডিসিআরের সাবেক উপদেষ্টা মোশতাক হোসেন বলেছেন, কোভিডের নতুন সাব ভ্যারিয়ান্টের সংক্রমণ বৃদ্ধিতে লাগাম টানতে হাসপাতাল, কমিউনিটি ক্লিনিকসহ সব ধরনের স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলোতে সরকারি নির্দেশনা মানার বিষয়ে জোর দিতে হবে এবং মানুষকে উদ্বুদ্ধ করতে হবে।
তিনি বলছিলেন, অসুস্থ হলে মানুষ স্বাস্থ্য কেন্দ্রেই আগে যায়। কাজেই স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলো থেকে কোভিড ছড়ানোর সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি থাকে। এসব জায়গায় দরজায় মাস্ক সরবরাহ করা, সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা রাখার ব্যবস্থা রাখা প্রয়োজন।
এছাড়া যাদের দুই ডোজ টিকা দেওয়া আছে তাদের পরবর্তী ডোজ টিকা নিতে উৎসাহিত করা, যারা দুই ডোজ টিকা দেয়নি তাদের শনাক্ত করে তাদের টিকা দেওয়ার বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়া, বয়স্কদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে টিকা দেওয়ার মত কার্যক্রম নেওয়ার বিষয়ে তাগিদ দেন তিনি।
গত কয়েক বছরের পরিসংখ্যান পর্যালোচনা করে আইইডিসিআরের সাবেক উপদেষ্টা মোশতাক হোসেন আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, এ বছরে জুন-জুলাই পর্যন্ত কোভিড সংক্রমণের হার আরো বাড়তে পারে। এর আগের কয়েক বছরে আমরা দেখেছি যে ফেব্রুয়ারি-মার্চ থেকে শুরু করে জুন-জুলাই পর্যন্ত কোভিড কিছুটা বাড়ে। কাজেই শীতকালে যখন বেড়েছে, এটা আরো বাড়ার আশঙ্কা আছে। বাংলাদেশে এই মৌসুমে মানুষের মধ্যে সাধারণত ইনফ্লুয়েঞ্জায় আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা তৈরি হয়। কোভিডের পাশাপাশি আসন্ন বসন্তে এবং গ্রীষ্মে ইনফ্লুয়েঞ্জার প্রভাবও বাড়তে পারে।
তিনি বলেন, কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা বাড়লেও সেই অনুপাতে মানুষ কোভিড টেস্ট করাচ্ছে না। আর টেস্ট না করানোর ফলে প্রয়োজনীয় সতর্কতাও মানছেন না অনেকে, যার ফলশ্রুতিতে কোভিড সংক্রমণ আরও বাড়ছে। মানুষের মধ্যে টেস্ট করার হার আগের চেয়ে অনেক কমে গেছে। কোভিড সংক্রমণের হার এখন যেহেতু বাড়ছে, কারো জ্বর হলেই সঙ্গে সঙ্গে কোভিড টেস্ট করা উচিৎ। বিশেষ করে যেসব ব্যক্তি ঝুঁকিপূর্ণ বয়সে আছেন বা যাদের ডায়বেটিস, হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপের মত শারীরিক সমস্যা রয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে কোভিড সংক্রমণের বিষয়ে সতর্ক হওয়া বেশি জরুরি। সূত্র : বিবিসি
হাজারো মানুষকে পথে বসাচ্ছে উচ্চ রক্তচাপ!
উচ্চ রক্তচাপ। স্ট্রোক, হার্ট অ্যাটাক, কিডনি ফেইলিউরসহ প্রাণঘাতী বেশ কয়েকটি সমস্যার মূল কারণ। সাম্প্রতিক সময়ে নীরব ঘাতকে রূপ নিয়েছে রোগটি। প্রতি বছর হাজার হাজার মানুষ পথে বসছে এর প্রভাবে আকস্মিক অসুস্থতার শিকার হয়ে।
শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বাংলা একাডেমির কবি জসীম উদ্দীন ভবনে অধ্যাপক ডা. মো. জাকির হোসেন রচিত ‘রক্তচাপ ও উচ্চ রক্তচাপ’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন বিশেষজ্ঞরা। একইসঙ্গে উচ্চ রক্তচাপের ভয়াবহতা ও করণীয় সম্পর্কে সচেতন হওয়ার মাধ্যমে যেকোনও ব্যক্তি সুস্থভাবে জীবনযাপন করতে পারেন বলেও জানিয়েছেন তারা।
অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইমেরিটাস অধ্যাপক ও প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এবিএম আবদুল্লাহ, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক মুহাম্মদ নূরুল হুদা, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) মেডিসিন বিভাগের সাবেক বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. সৈয়দ আতিকুল হক, ঢাকা মেডিকেল কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. খান আবুল কালাম আজাদ, ঢাকা মেডিকেল কলেজের মেডিসিন বিভাগের সাবেক বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. মো. মুজিবুর রহমান, কার্ডিওলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. আব্দুল ওয়াদুদ চৌধুরীসহ আরও অনেকে।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, অসংক্রামক ব্যাধিগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো উচ্চ রক্তচাপ, যা প্রায় একটি স্থায়ী রোগ হিসেবে বিবেচিত। এর জন্য চিকিৎসা ও প্রতিরোধ খুবই জরুরি। না হলে বিভিন্ন জটিলতা, এমনকি আকস্মিক মৃত্যুরও ঝুঁকি থাকে।
অধ্যাপক ডা. এবিএম আবদুল্লাহ বলেন, রক্তচাপ এবং উচ্চ রক্তচাপ দুটি আলাদা বিষয়। রক্তচাপ সবারই আছে কিন্তু উচ্চ রক্তচাপ হলো রোগ, যা মানুষকে বিভিন্ন জটিল সমস্যার মুখোমুখি করে দিতে পারে। উচ্চ রক্তচাপকে বলা হয়ে থাকে নীরব ঘাতক। দেশে কেউ কেউ মনে করেন তার উচ্চ রক্তচাপ আছে কিন্তু লক্ষ্মণ নেই। যে কারণে তিনি কখনো চিকিৎসকের পরামর্শও নেন না। আবার কিছু মানুষ আছে যাদের উচ্চ রক্তচাপ আছে কিন্তু কিছুদিন ওষুধ সেবনের পর বন্ধ করে দেন, এগুলো খুবই ভয়াবহ সমস্যার কারণ।
তিনি আরও বলেন, আমাদের সমাজে রক্তচাপ বাড়লে তেঁতুল খাওয়া নিয়ে একটা ভুল ধারণা রয়ে গেছে। কিন্তু এটি আসলে কোনও কাজই করে না। দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়ে চিকিৎসা নেওয়াই উত্তম।
ডা. আবদুল্লাহ বলেন, কারও একবার যদি উচ্চ রক্তচাপ হয়েই যায়, তাহলে একেবারে কখনও সেটি সেরে যায় না। তবে এটি প্রতিরোধযোগ্য। যদি প্রতিরোধ করা না যায়, তাহলে দেহের চারটি অর্গান (ব্রেন, হার্ট, কিডনি, চোখ) মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে যেতে পারে। তাই কোনোভাবেই উচ্চ রক্তচাপকে অবজ্ঞা করা যাবে না। এটাকে নিয়ন্ত্রণ করে রাখতে হবে, যা চাইলেই সম্ভব।
অধ্যাপক ডা. সৈয়দ আতিকুল হক বলেন, উচ্চ রক্তচাপ একটি নীরব ঘাতক। এর প্রাদুর্ভাব ইদানিং খুব বেশি দেখা যাচ্ছে। তবে এই হাইপারটেনশন নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে গেলে ধ্বংসাত্মক হার্ট অ্যাটাক, কিডনি ফেইলিউরসহ বিভিন্ন জটিল সমস্যা হয়ে যেতে পারে। আমাদের অভিজ্ঞতা বলে, কিছু রোগ হাজারো পরিবারকে পথে বসিয়ে দিচ্ছে। আর সেসব রোগের মূল কারণই হলো হাইপারটেনশন।
তিনি বলেন, একজন চিকিৎসকদের মূল কাজ হলো মানুষকে শেখানো, শুধু প্রেসক্রিপশন লিখে দেওয়া নয়। একজন চিকিৎসক তখনই মানুষকে রোগের ব্যাখ্যাটা পরিপূর্ণভাবে দিতে পারেন, যিনি ওই রোগটি নিয়ে ভালো করে জানেন। এজন্য নিজেকে আগে ওই রোগের বিষয়ে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে জানতে হবে এবং চিকিৎসা বিজ্ঞানের নতুন নতুন গবেষণাগুলোতে যুক্ত থাকতে হবে।
‘রক্তচাপ ও উচ্চ রক্তচাপ’ বই প্রসঙ্গে লেখক অধ্যাপক ডা. জাকির হোসেন বলেন, হাইপারটেনশন প্রতিরোধে সচেতনতা বৃদ্ধির বিকল্প নেই। অনেকটা সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকেই এই নীরব ঘাতক নিয়ে বইটি লিখেছি। হাইপারটেনশনের কনসেপ্ট নিয়মিত পাল্টাচ্ছে। নতুন নতুন টেকনিক আসছে, চিকিৎসা পদ্ধতির পরিবর্তন হচ্ছে। এক্ষেত্রে আমাদের সবসময় নতুনের সঙ্গে থাকতে হবে।