নার্সদের কর্মবিরতি স্থগিত
দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাসে সারাদেশে বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) পর্যন্ত কর্মবিরতি স্থগিত করেছেন নার্সিং ও মিডওয়াইফারি সংস্কার পরিষদের আহ্বায়ক ড. মো. শরিফুল ইসলাম।
মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৯টায় ঢাকা নার্সিং কলেজের সভাকক্ষ এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এই কথা জানান তিনি।
এর আগে, সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত এক দফা দাবিতে কর্মবিরতি পালন শুরু করেন নার্সরা। দেশের সব সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে এই কর্মসূচি পালন করা হয়। দাবি দ্রুত সময়ে না মানলে আগামী দুই দিনও কর্মবিরতির ঘোষণা দেন তারা।
কর্মবিরতির বাইরে রয়েছে হাসপাতালগুলোর জরুরি বিভাগ এবং আইসিইউ ও সিসিইউর মতো গুরুত্বপূর্ণ ওয়ার্ডগুলো।
আরটিভি/এমএ/এআর
মন্তব্য করুন
ডেঙ্গুতে আরও ৫ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ছাড়াল ২০ হাজার
ক্রমেই বাড়ছে ডেঙ্গুর প্রকোপ। বর্ষা মৌসুম শুরুর পর থেকেই দেশব্যাপী ফের আতঙ্ক ছড়াচ্ছে এডিস মশাবাহিত রোগটি। আক্রান্তের হার বৃদ্ধির সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাড়ছে মৃত্যুর ঘটনাও। সবশেষ ২৪ ঘণ্টায় আরও ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে ডেঙ্গুতে। নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে আরও ৮৭২ জন।
এ নিয়ে চলতি বছর মশাবাহিত রোগটিতে আক্রান্তের মোট সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ হাজার ২১৩। ১ জানুয়ারি থেকে শুরু করে এ পর্যন্ত ডেঙ্গুতে দেশব্যাপী প্রাণ হারিয়েছেন ২১৩ জন।
মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত নিয়মিত প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে এসব তথ্য।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ডেঙ্গুতে সবশেষ মারা যাওয়া ৫ জনের মধ্যে দুজন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের এবং একজন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের বাসিন্দা। বাকি দুজনের একজন বরিশালের এবং একজন চট্টগ্রামের। এ ছাড়া নতুন আক্রান্ত ৮৭২ জনের মধ্যে ৩৫৩ জন ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের। পাশাপাশি ঢাকার আশপাশে ১০২ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ২২৪ জন, বরিশাল বিভাগে ৮০ জন, খুলনা বিভাগে ৭২ জন, রাজশাহী বিভাগে ২৫ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ১৩ জন এবং রংপুর বিভাগে ৩ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন সবশেষ ২৪ ঘণ্টায়।
আরও জানা গেছে, গত ১ জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্তদের মধ্যে পুরুষ ৬২ দশমিক ২ শতাংশ এবং নারী ৩৭ দশমিক ৮ শতাংশ। বিপরীতে এ সময়ে ডেঙ্গুতে মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে পুরুষ ৪৫ দশমিক ১ শতাংশ এবং নারী ৫৪ দশমিক ৯ শতাংশ।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালে দেশের ইতিহাসে ডেঙ্গুতে সর্বোচ্চ ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন রোগী আক্রান্ত এবং ১ হাজার ৭০৫ জনের মৃত্যু হয়।
আরটিভি/এসএইচএম
ডেঙ্গুতে আরও ৩ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ৮৮৭
ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় ৮৮৭ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডেঙ্গুবিষয়ক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়াদের মধ্যে ঢাকা সিটি করপোরেশনের ৩৪৫ জন এবং বাকিরা ঢাকার বাইরের। এ সময়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন ৬৩৮ জন।
চলতি বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২১ হাজার ৯৬৬ জন। এরমধ্যে ছাড়পত্র পেয়েছেন ১৯ হাজার ১৩৮ জন। মারা গেছেন ১২২ জন।
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক ড. আতিকুর রহমান জানান, ডেঙ্গু এখন সিজনাল নেই, সারা বছরই হচ্ছে। বৃষ্টি শুরু হলে এটা বাড়ছে। ডেঙ্গু প্রতিরোধে মশা নিরোধক ওষুধ ব্যবহারের পাশাপাশি সিটি করপোরেশনে পক্ষ থেকে সব জায়গায় প্রচার-প্রচারণা চালাতে হবে। একইসঙ্গে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে।
ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন বছরব্যাপী নানান উদ্যোগ নিলেও কীটতত্ত্ববিদ ড. মনজুর চৌধুরী বলছেন, মশানিধনে শুধু জেল-জরিমানা আর জনসচেনতনা বাড়িয়ে কাজ হবে না। সঠিকভাবে জরিপ চালিয়ে দক্ষ জনবল দিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালে দেশের ইতিহাসে ডেঙ্গুতে সর্বোচ্চ ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন রোগী আক্রান্ত এবং ১ হাজার ৭০৫ জনের মৃত্যু হয়।
এক সপ্তাহে ডেঙ্গুতে ২১ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে বাড়ছে চাপ
দেশে এডিস মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়তে শুরু করেছে। মৃত্যুর পাশাপাশি আক্রান্তের সংখ্যাও বাড়ছে পাল্লা দিয়ে। হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে রোগীর চাপ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডেঙ্গুবিষয়ক প্রতিবেদনের তথ্যমতে, চলতি সপ্তাহে (শনি-শুক্রবার) ডেঙ্গুতে ২১ জনের মৃত্য হয়েছে, যা গত সপ্তাহে ছিল ১১ জনে। এ ছাড়া চলতি সপ্তাহে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে চার হাজার ২২৪ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন, যা গত সপ্তাহে ছিল ৩ হাজার ২৩৭ জন।
গত সাত দিনের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ১৪ সেপ্টেম্বর ডেঙ্গুতে তিনজনের মৃত্যু এবং ৫৪৮ জন হাসপাতালে, ১৫ সেপ্টেম্বর একজনের মৃত্যু এবং ৪৮৬ জন হাসপাতালে, ১৬ সেপ্টেম্বর একজনের মৃত্যু এবং ২৬৭ জন হাসপাতালে, ১৭ সেপ্টেম্বর পাঁচজনের মৃত্যু এবং ৮৭২ জন হাসপাতালে, ১৮ সেপ্টেম্বর ছয়জনের মৃত্যু এবং ৮৬৫ জন হাসপাতালে, ১৯ সেপ্টেম্বর তিনজনের মৃত্যু এবং ৮৮৭ জন হাসপাতালে এবং ২০ সেপ্টেম্বর দুইজন মৃত্যু এবং ২৯৯ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
চলতি বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২২ হাজার ২৬৬ জন। এরমধ্যে ছাড়পত্র পেয়েছেন ১৯ হাজার ৫৭৭ জন। মারা গেছেন ১২৪ জন।
চিকিৎসকরা জানান, জুলাই-অক্টোবর ডেঙ্গুর মৌসুম। সময়ের সঙ্গে ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ছে। মশক নিধনে সিটি করপোরেশনের কার্যক্রম কম থাকায় মশার উপদ্রব বেড়েছে। যার ফলে ডেঙ্গুরোগী বাড়ছে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান জানান, প্রতিদিনই ২০ থেকে ৩০ জন নতুন রোগী আসছেন। তাই শয্যার চেয়েও রোগীর সংখ্যা বেশি। সর্বোচ্চ সেবা দেওয়ার চেষ্টা করছি।
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক ড. আতিকুর রহমান জানান, ডেঙ্গু এখন সিজনাল নেই, সারা বছরই হচ্ছে। বৃষ্টি শুরু হলে এটা বাড়ছে। ডেঙ্গু প্রতিরোধে মশা নিরোধক ওষুধ ব্যবহারের পাশাপাশি সিটি করপোরেশনে পক্ষ থেকে সব জায়গায় প্রচার-প্রচারণা চালাতে হবে। একইসঙ্গে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে।
কীটতত্ত্ববিদ ড. মনজুর চৌধুরী বলছেন, মশানিধনে শুধু জেল-জরিমানা আর জনসচেনতনা বাড়িয়ে কাজ হবে না। সঠিকভাবে জরিপ চালিয়ে দক্ষ জনবল দিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালে দেশের ইতিহাসে ডেঙ্গুতে সর্বোচ্চ ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন রোগী আক্রান্ত এবং ১ হাজার ৭০৫ জনের মৃত্যু হয়।
আরটিভি/আরএ/এআর
চলতি বছর / ডেঙ্গুতে ১২৫ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ছাড়াল ২৩ হাজার
ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও একজনের মৃত্যু এবং ৮৪৩ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন ২৩ হাজার ১০৮ জন এবং মারা গেছেন ১২৫ জন।
শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডেঙ্গুবিষয়ক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়াদের মধ্যে ঢাকা সিটি করপোরেশনের ৩৮৮ জন এবং বাকিরা ঢাকার বাইরের। এ সময়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন ৭০০ জন। এখন পর্যন্ত ছাড়পত্র পেয়েছেন ২০ হাজার ২৭৭ জন।
চিকিৎসকরা জানান, জুলাই-অক্টোবর ডেঙ্গুর মৌসুম। সময়ের সঙ্গে ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ছে। মশক নিধনে সিটি করপোরেশনের কার্যক্রম কম থাকায় মশার উপদ্রব বেড়েছে। যার ফলে ডেঙ্গু রোগী বাড়ছে।
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক ড. আতিকুর রহমান জানান, ডেঙ্গু এখন সিজনাল নেই, সারা বছরই হচ্ছে। বৃষ্টি শুরু হলে এটা বাড়ছে। ডেঙ্গু প্রতিরোধে মশা নিরোধক ওষুধ ব্যবহারের পাশাপাশি সিটি করপোরেশনে পক্ষ থেকে সব জায়গায় প্রচার-প্রচারণা চালাতে হবে। একইসঙ্গে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে।
কীটতত্ত্ববিদ ড. মনজুর চৌধুরী বলছেন, মশানিধনে শুধু জেল-জরিমানা আর জনসচেনতনা বাড়িয়ে কাজ হবে না। সঠিকভাবে জরিপ চালিয়ে দক্ষ জনবল দিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালে দেশের ইতিহাসে ডেঙ্গুতে সর্বোচ্চ ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন রোগী আক্রান্ত এবং ১ হাজার ৭০৫ জনের মৃত্যু হয়।
আরটিভি/আরএ
ডেঙ্গুতে আরও ৬ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে নতুন ভর্তি ৯২৬
দেশব্যাপী ফের আতঙ্ক ছড়াচ্ছে ডেঙ্গু। বর্ষা মৌসুম শুরুর পর থেকেই এডিস মশাবাহিত রোগটিতে আক্রান্তের হার বৃদ্ধির সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাড়ছে মৃত্যুর ঘটনাও। সবশেষ ২৪ ঘণ্টায় আরও ৬ জনের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে ডেঙ্গু। নতুন করে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও ৯২৬ জন।
রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে প্রকাশিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সবশেষ যে ৬ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে তাদের ৪ জনই ঢাকা সিটি করপোরেশনের বাসিন্দা। এদের মধ্যে দুজন ঢাকা দক্ষিণ সিটির এবং দুজন ঢাকা উত্তর সিটির। বাকিদের মধ্যে একজন চট্টগ্রামের এবং একজন বরিশালের।
এদিকে নতুন আক্রান্তদের মধ্যে ৩১৬ জনই রাজধানীর বাসিন্দা। এ ছাড়া ঢাকার আশপাশে ১৯৬ জন, চট্টগ্রামে ১৫১ জন, খুলনায় ১০১ জন, বরিশালে ৬৫ জন, রাজশাহীতে ৪৬ জন, রংপুরে ৩৩ জন, এবং ময়মনসিংহে ১৮ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন সবশেষ ২৪ ঘণ্টার হিসাবে।
সব মিলিয়ে চলতি বছর ১ জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত ১৩১ জনের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে ডেঙ্গু। আক্রান্ত হয়ে এই সময়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২৪ হাজার ৩৪ জন।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালে দেশের ইতিহাসে ডেঙ্গুতে সর্বোচ্চ ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন রোগী আক্রান্ত এবং ১ হাজার ৭০৫ জনের মৃত্যু হয়।
আরটিভি/এসএইচএম-টি
শিক্ষক নিয়োগে ষষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তির কার্যক্রম শুরু
বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগে ষষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশের কার্যক্রম শুরু করেছে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। কার্যক্রমের অংশ হিসেবে এরই মধ্যে স্কুল-কলেজের ই-রেজিস্ট্রেশনের কার্যক্রম শুরু করেছে সংস্থাটি।
রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) থেকে অনলাইনে এ ই-রেজিস্ট্রেশন করতে পারছেন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানরা। আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এ কার্যক্রম চলবে। প্রতিষ্ঠানের ই-রেজিস্ট্রেশন সংক্রান্ত সব তথ্য সংশ্লিষ্ট ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে।
এদিন এনটিআরসিএ সদস্য (শিক্ষাতত্ত্ব ও শিক্ষামান) মুহাম্মদ নুরে জীলম সিদ্দিকী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই ই-রেজিস্ট্রেশনের কার্যক্রম শুরুর কথা জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ আছে, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের (স্কুল, কলেজ, মাদরাসা ও কারিগরি) শিক্ষকদের শূন্যপদ সংক্রান্ত তথ্য অনলাইনে সংগ্রহের জন্য এনটিআরসিএ কর্তৃক ই-রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম ২২ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হবে। এ সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য এনটিআরসিএ-এর ওয়েবসাইটে ‘ই-রেজিস্ট্রেশন’ নামক সেবাবক্সে ই-রেজিস্ট্রেশন নির্দেশিকা নামক মেন্যুতে দেওয়া আছে। নির্দেশিকা অনুযায়ী আগামী ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ই-রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম সম্পন্ন করার জন্য অনুরোধ করা হলো।
ই-রেজিস্ট্রেশন ছাড়া কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শূন্যপদের তথ্য এনটিআরসিএতে পাঠানোর সুযোগ নেই বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
আরটিভি/এসএইচএম-টি
আতঙ্ক ছড়াচ্ছে ডেঙ্গু, উচ্চঝুঁকিতে ঢাকাসহ ১৮ জেলা
দেশব্যাপী ফের আতঙ্ক ছড়াচ্ছে ডেঙ্গু। একদিকে যেমন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের হার, তেমনি প্রতিদিনই স্বজনহারা হচ্ছেন কেউ না কেউ। সবশেষ ২৪ ঘণ্টায়ও মশাবাহিত রোগটি দুজনের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। এই সময়ে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও ৮৬৬ জন। সব মিলিয়ে চলতি বছর এখন পর্যন্ত ১৩৩ জনের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে ডেঙ্গু। আক্রান্তের সংখ্যাও এরই মধ্যে ২৫ হাজার ছুঁই ছুঁই। এই যখন পরিস্থিতি, তখন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পরিস্থিতি শিগগিরই নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে আসছে অক্টোবরে আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করবে ডেঙ্গুর প্রকোপ। বিশেষ করে ঢাকা ও ঢাকার বাইরে ১৮টি জেলা উচ্চঝুঁকিতে আছে বলে জানাচ্ছেন তারা।
সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, গত আগস্টে পুরো মাসে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন ৬ হাজার ৫২১ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী, যেখানে প্রাণহানি ঘটেছে ২৭ জনের। চলতি মাসের ২৩ দিনেই প্রায় দ্বিগুণ রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে মশাবাহিত রোগটিতে আক্রান্ত হয়ে। এখন পর্যন্ত ১২ হাজার ৩২ ডেঙ্গু আক্রান্তের হিসাব পাওয়া গেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট থেকে। এই ২৩ দিনে ডেঙ্গুতে প্রাণ হারিয়েছেন ৫০ জন। যাদের ২৫ জনই মারা গেছেন শেষ ৭ দিনে। এ ছাড়া গত ১০ দিনে মৃত্যুহীন দিন যায়নি একটিও।
এবার মৌসুম শুরুর পর থেকে ডেঙ্গুর সংক্রমণ বৃদ্ধির পেছনে কয়েকটি বিষয়কে দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভোগাচ্ছে মশকনিধনে প্রস্তুতির অভাব। বলা হচ্ছে, গণ-আন্দোলনের সময় সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন আঞ্চলিক অফিসে হামলার ঘটনায় একদিকে যেমন অনেক যন্ত্রপাতি নষ্ট হয়ে গেছে, তেমনি পরিবর্তিত রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে এখনও যথাযথভাবে গুছিয়ে উঠতে পারেনি প্রশাসন। স্বল্প সময়ে যে প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে তা নিয়েও দেখা দিয়েছে প্রশ্ন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, ২০২৩ সালে প্রাণ কেড়ে নেওয়াতে অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে দিয়েছিলে ডেঙ্গু। ১ হাজার ৭০৫ জনের মৃত্যু হয়েছে ওই বছর। তার আগের বছর ২০২২ সালে ডেঙ্গুতে মৃত্যুর সংখ্যা ছিলে ৮৬৮। আর চলতি বছর বর্ষা মৌসুম শুরু পর থেকেই ধীরে ধীরে বাড়তে শুরু করেছে আক্রান্ত ও মৃত্যুর হার। যদিও পরিস্থিতি এখন পর্যন্ত অতটা নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়েনি, তবুও দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া না গেলে ডেঙ্গুর প্রকোপে লাগাম টানা মুশকিলই হবে বলে ধারণা করছেন স্বাস্থ্য চিকিৎসা সংশ্লিষ্টরা।
চলতি বছর ডেঙ্গুতে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে। এখন পর্যন্ত ৫৯ জনের মৃত্যু হয়েছে এ এলাকায়।
মশকনিধন কার্যক্রম তদারকি করার জন্য কমিটি করা হয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) পক্ষ থেকে। তদারকির জন্য বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে ১০টি অঞ্চলে ১০টি দল গঠন করা হয়েছে।
অপরদিকে, দক্ষিণ সিটি (ডিএসসিসি) থেকে মশকনিধন কার্যক্রমের জন্য সিটি করপোরেশন কার্যালয়ে অনলাইনের মাধ্যমে পর্যবেক্ষণের কথা বলা হয়েছে। যারা বিভিন্ন এলাকায় মশা মারার কাজ করছেন, তাদের শরীরে ডিভাইস যুক্ত করা আছে। এর মাধ্যমে কর্মীদের গতিবিধি লক্ষ করা যাচ্ছে।
দুই সিটি করপোরেশন সূত্র জানিয়েছে, জুলাই-আগস্ট মাসের সহিংসতায় ঢাকা দক্ষিণ সিটির ২৫টি ওয়ার্ডের মশকনিধনের যন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত বা চুরি হয়েছে। উত্তর সিটিতে ১৫টি ওয়ার্ডের মশকনিধনের সরঞ্জাম কমবেশি নষ্ট হয়েছে। তারপরও নগর কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে, তাদের কাজ চলছে।
যোগাযোগ করা হলে ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মীর খায়রুল আলম জানান, ডেঙ্গু বিষয়ে আগে যেসব পরিকল্পনা করা ছিল, সেই অনুযায়ীই কাজ করছেন তারা। কাউন্সিলর না থাকার কারণে একটু সমস্যা হচ্ছে বলে স্বীকার করেছেন তিনি।
অন্যদিকে ডিএসসিসির প্রশাসক ড. মহা. শের আলী বলছেন, দক্ষিণ সিটির আওতায় হাসপাতালে যেসব রোগী মারা যাচ্ছেন, এগুলো এই করপোরেশনের বলা হচ্ছে। তবে হাসপাতাল ঘুরে দেখা গেছে, এসব রোগীদের অনেকে ঢাকারে বাইরে থেকে এসেছেন।
তবে, রাজধানীর রামপুরা, মগবাজার, মালিবাগ, কাকরাইল, তেজগাঁও, বাড্ডা, ফার্মগেট, মিরপুরসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত দুই মাসে মশকনিধন কার্যক্রম খুব একটা দেখেননি তারা। এদিকে গত ১০-১৫ দিনে মশার উৎপাত অনেক বেড়েছে এসব এলাকায়।
অবশ্য, বর্ষা মৌসুম শেষ হলেই ডেঙ্গু ভয়ংকর রূপ নিতে পারে-এমন আগাম সতর্কবার্তা আগেই দিয়ে রেখেছেন কীটতত্ত্ববিদরা। তারা বলছেন, অক্টোবরে ডেঙ্গু পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হবে। রাজধানী ছাড়াও বান্দরবান, কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, চাঁদপুর, লক্ষ্মীপুর, বরিশাল, বরগুনা, পিরোজপুর, পটুয়াখালী, ভোলা, খুলনা, যশোর, নড়াইল, মেহেরপুর, ঢাকার পাশের ময়মনসিংহ, মাদারীপুর ও মানিকগঞ্জে পরিস্থিতি খারাপ হবে। বিশেষ করে কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের কারণে সৃষ্ট ঘনবসতি ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ চোখ রাঙাচ্ছে কক্সবাজার ও চট্টগ্রামের দিকে।
আরটিভি/এসএইচএম-টি