আরও ৪৫ জনের করোনা শনাক্ত
করোনায় গত ২৪ ঘণ্টায় কারও মৃত্যু না হলেও ৪৫ জনের দেহে ভাইরাসটি শনাক্ত হয়েছে।
সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ৫৩২টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ৮ দশমিক ৪৬ শতাংশ। এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ০৮ শতাংশ।
দেশে এখন পর্যন্ত মোট করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ২০ লাখ ৪৮ হাজার ২৭৭ জন। এরমধ্যে মারা গেছেন ২৯ হাজার ৪৮৯ জন। সুস্থ হয়েছেন ২০ লাখ ১৫ হাজার ৩৩৩ জন।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম ৩ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ দেশে এ ভাইরাসে একজনের মৃত্যু হয়।
মন্তব্য করুন
ডেঙ্গুতে আরও ২ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ২৩৩
গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে আরও দুইজনের এবং সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২৩৩ জন।
বুধবার (১৪ আগস্ট) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোলরুম থেকে পাঠানো ডেঙ্গুবিষয়ক এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় এ তথ্য।
ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আক্রান্তদের মধ্যে বরিশাল বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৩১ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৬৯ জন, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১৩ জন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ২৯ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ৫৭ জন, খুলনা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ২৬ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) পাঁচজন, রাজশাহী বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) তিনজন রয়েছেন।
অন্যদিকে সারাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন মোট ৩৯১ ডেঙ্গু রোগী। চলতি বছরে এ নিয়ে মোট সাত হাজার ৭৭০ জন ছাড়পত্র পেয়েছেন।
চলতি বছরের ১৪ আগস্ট পর্যন্ত মোট ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে আট হাজার ৭০২ জন। এর মধ্যে ৬০ দশমিক ৮ শতাংশ পুরুষ এবং ৩৯ দশমিক ২ শতাংশ নারী রয়েছেন।
গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে, চলতি বছরের এ যাবত ডেঙ্গুতে মোট মারা গেছেন ৭১ জন।
২০২৩ সালের জুন মাস থেকে সারাদেশে ভয়াবহ আকার ধারণ করে ডেঙ্গু। গেল বছর দেশে তিন লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন। এর মধ্যে ঢাকায় এক লাখ ১০ হাজার ৮ জন এবং ঢাকার বাইরে চিকিৎসা নিয়েছেন দুই লাখ ১১ হাজার ১৭১ জন।
আক্রান্তদের মধ্যে হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরেন তিন লাখ ১৮ হাজার ৭৪৯ জন। গত বছর এক হাজার মারা গেছেন ৭০৫ জন। যা দেশের ইতিহাসে এক বছরে সর্বোচ্চ মৃত্যু।
মাংকিপক্সকে ‘বৈশ্বিক জরুরি স্বাস্থ্য অবস্থা’ ঘোষণা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার
আফ্রিকার কয়েকটি দেশে মারাত্মভাবে ছড়িয়ে পড়েছে মাংকিপক্স বা এমপক্সের প্রাদুর্ভাব। ফলে রোগটিকে ‘বৈশ্বিক জরুরি স্বাস্থ্য অবস্থা’ বা পিএইচইআইসি ঘোষণা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
বুধবার (১৪ আগস্ট) একটি জরুরি কমিটির সঙ্গে আলোচনা করে এই ঘোষণা দেন সংস্থাটি। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে তথ্যটি জানিয়েছে। এ নিয়ে দুই বছরের মধ্যে দ্বিতীয়বারের মতো এমপক্সকে বৈশ্বিক জরুরি স্বাস্থ্য অবস্থা ঘোষণা করলে ডব্লিউএইচও।
পিএইচইআইসি অবস্থা হলো বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সর্বোচ্চ স্তরের সতর্কতা। কোনো একটি রোগকে নিয়ন্ত্রণের জন্য গবেষণা, তহবিল ও বিশ্বব্যাপী জনস্বাস্থ্য পদক্ষেপে গতি আনার জন্য এই সতর্কতা জারি করা হয়।
এর আগে, মাংকিপক্স হিসেবে পরিচিত এই রোগের প্রাথমিক প্রাদুর্ভাব চলাকালে ডেমোক্র্যাটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোতে (ডিআরসি) মারা যান অন্তত ৪৫০ জন। ডিআর কঙ্গোর পর এখন মধ্য ও পূর্ব আফ্রিকার বিভিন্ন অংশে ছড়িয়ে পড়েছে রোগটি। এমপক্স সংক্রমণে উচ্চমৃত্যুহারের ঝুঁকি রয়েছে বলে জানা গেছে। তাই এটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ায় উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন বিজ্ঞানীরা।
এ প্রসঙ্গে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেড্রোস আডানম গেব্রিয়াসিস বলেন, এই প্রাদুর্ভাব প্রতিরোধ ও জীবন রক্ষার করতে একটি সমন্বিত আন্তর্জাতিক উদ্যোগ প্রয়োজন।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, এমপক্স আক্রান্ত ব্যক্তির সঙ্গে যৌন সম্পর্ক, স্পর্শ ও অপর ব্যক্তির খুব কাছে গিয়ে কথা বলা বা নিশ্বাস নেওয়ার মতো ঘনিষ্ঠ সংস্পর্শের মাধ্যমে ছড়ায়। এই রোগের সংক্রমণে মানুষের শরীরে জ্বরের মতো লক্ষণ দেখা দেয় ও চামড়ায় ক্ষত তৈরি হয়। এতে মৃত্যুও হতে পারে। এই রোগে আক্রান্ত প্রতি ১০০ জনের মধ্যে অন্তত চারজনের মৃত্যু হয়।
ভ্যাকসিনের মাধ্যমে এমপক্সের সংক্রমণ প্রতিরোধ করে এর প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারে। তবে এগুলো শুধু ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তিদের জন্য বা যারা সংক্রামিত ব্যক্তির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ করেন তাদের জন্য।
এমপক্সের দুইটি ধরন রয়েছে ক্লেইড-১ ও ক্লেইড-২।
এর আগে, ২০২২ সালে ক্লেইড ২ এর তুলনামূলক মৃদু সংক্রমণ চলাকালে জনস্বাস্থ্যের জন্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছিল। তবে এবারের ধরনটি আরও বেশি প্রাণঘাতী। এবার ক্লেইড ১ এর প্রাদুর্ভাব শুরু হয়েছে। তাই এমপক্সের নতুন এই ধরনটিকে ‘এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বিপজ্জন’বলে অভিহিত করেছেন এক বিজ্ঞানী।
আন্দোলনে আহতদের চিকিৎসার দায়িত্ব নিলো সরকার
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহতদের চিকিৎসা ব্যয় সরকার কর্তৃক বহন করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকসমূহে তাদের বিল মওকুফ অথবা ন্যূনতম বিল গ্রহণ করার জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের (হাসপাতাল ও ক্লিনিকসমূহ) পরিচালক ডা. আবু হোসেন মো. মঈনুল আহসান এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ইতোমধ্যে বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতাল স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে বিল মওকুফ করায় অধিদপ্তর তাদের প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছে। অন্যান্য বেসরকারি প্রাইভেট মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকসমূহকেও তাদের বিল মওকুফ অথবা ন্যূনতম বিল গ্রহণ করে ছাত্র জনতার এই অবদানের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের অনুরোধ করা যাচ্ছে।
এ অনুরোধ স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, জনরোষে টিকতে না পেরে গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে অব্যাহতি নিয়ে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। এরপর ড. মোহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা করে ১৭ সদস্যের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হয়। যারা বর্তমানে দেশ চালাচ্ছেন।
ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ৫০, নেই মৃত্যু
ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৫০ জন। যদিও এই সময়ে কারও মৃত্যু হয়নি।
শুক্রবার (১৬ আগস্ট) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোলরুম থেকে পাঠানো ডেঙ্গু বিষয়ক এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, আক্রান্তদের মধ্যে চট্রগ্রাম বিভাগে (সিটি কর্পোরেশনের বাইরে) নয় জন, ঢাকা বিভাগে (সিটি কর্পোরেশনের বাইরে) ছয় জন, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনে ১২ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনে ২০ জন, খুলনা বিভাগে (সিটি কর্পোরেশনের বাইরে) তিন জন রয়েছেন।
২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে মোট ৩০ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন, চলতি বছরে মোট আট হাজার পাঁচ জন ছাড়পত্র পেয়েছেন।
চলতি বছরের ১৬ আগস্ট পর্যন্ত মোট ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে আট হাজার ৯৮০ জন। এর মধ্যে ৬০.৮ শতাংশ পুরুষ এবং ৩৯.২ শতাংশ মহিলা রয়েছেন।
গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে কারও মৃত্যু হয়নি, চলতি বছরের এ যাবত ডেঙ্গুতে মোট মৃত্যুবরণ করেছেন ৭৪ জন।
২০২৩ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মোট এক হাজার ৭০৫ জনের মৃত্যু হয়, পাশাপাশি ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন মোট তিন লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন।
মাঙ্কিপক্স: হটলাইন চালু করলো স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
আফ্রিকার দেশ গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র কঙ্গোয় প্রথম শনাক্ত হওয়ার পর থেকে এমপক্স এই মহাদেশের মধ্য ও পূর্বাঞ্চলীয় কয়েকটি দেশেও ছড়িয়ে পড়ছে। এর মধ্যে রয়েছে বুরুন্ডি, উগান্ডা, রুয়ান্ডা, সুইডেন, কেনিয়া ও পাকিস্তান। এমপক্স ছড়িয়ে পড়া নিয়ে উদ্বেগের প্রেক্ষাপটে বিশ্বজুড়ে জনস্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। এ অবস্থায় পদক্ষেপ হিসেবে হটলাইন চালু করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
শনিবার (১৭ আগস্ট) স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, এমপক্স (মাঙ্কিপক্স) ভাইরাস দ্বারা সৃষ্ট একটি সংক্রামক রোগ। এতে বেদনাদায়ক ফুসকুড়ি, লিম্ফ নোড ফুলে যাওয়া এবং জ্বর হতে পারে। মধ্য আফ্রিকার কঙ্গো, বুরুন্ডি, রুয়ান্ডা, উগান্ডা, কেনিয়াসহ বিশ্বের অনেক দেশে ছড়িয়ে পড়েছে এটি। আপনার শরীরে এর কোনো লক্ষ্মণ দেখা দিলে অথবা আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে এলে, অথবা সংক্রমিত দেশ ভ্রমণের ২১ দিনের মধ্যে এই লক্ষ্মণ দেখা দিলে ১৬২৬৩, ১০৬৫৫ নম্বরে যোগাযোগ করুন।
এদিকে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) বিশ্বব্যাপী এমপক্স বিস্তারের ব্যাপারে জরুরি স্বাস্থ্য সতর্কতা জারি করেছে। এতে বলা হয়েছে, মাঙ্কিপক্স একপ্রকার সংক্রামক রোগ। এর উপসর্গ অনেকটা জ্বর বা ফ্লু’র মতো। এ রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে এলে এমনকি শ্বাসপ্রশ্বাস থেকেও অন্য কেউ এতে সংক্রমিত হতে পারে।
৯০ দিনের মধ্যে স্বাস্থ্যখাতে দৃশ্যমান পরিবর্তন আসবে: আহমেদুল কবীর
আগামী ৯০ দিনের মধ্যে স্বাস্থ্যখাতে দৃশ্যমান পরিবর্তন সম্ভব বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীর।
শনিবার (১৭ আগস্ট) বিকেলে রাজধানীর কুর্মিটোলা হাসপাতালে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
ডা. আহমেদুল কবীর বলেন, স্বাস্থ্যখাতে কাজ করার উপযুক্ত সুযোগ এসেছে। সব ধরনের অনিয়ম ও অনৈতিকতা বন্ধ করতে পারলে ৯০ দিনের মধ্যে জনমুখী স্বাস্থ্যখাত উপহার দেওয়া যাবে। এটির কাউন্ট-ডাউন আজ থেকেই শুরু হচ্ছে।
তিনি বলেন, কোটা আন্দোলনে আহতদের প্রত্যেকেই মৃত্যুর ঝুঁকিতে রয়েছে। আহতদের কাছ থেকে বিল না রাখার জন্য সব হাসপাতালের পরিচালককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সরকারি হাসপাতালের বাইরে রোগীকে কোনো পরীক্ষা বা ওষুধ কিনতে হবে না।
এ সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত শিক্ষার্থীরা স্পেশালাইজড কেয়ার ইউনিটের আওতায় বিনা মূল্যে চিকিৎসা পাবেন। সেই সঙ্গে বেসরকারি হাসপাতালগুলোতেও বিনা খরচে চিকিৎসার সুযোগ পাবেন।
তিনি আরও বলেন, যারা সমন্বয়ক পরিচয়ে চাঁদা বা বিশেষ সুবিধা চাইবে তাদের ধরে পুলিশে দেবেন।
আরেক সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেন, স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে আহত শিক্ষার্থীরা রাজধানীসহ সারা দেশের সরকারি হাসপাতালে সঠিক চিকিৎসা পাচ্ছেন না। হাসপাতালগুলোতে শয্যার বিপরীতে দ্বিগুণ রোগী রয়েছেন।
তিনি বলেন, বেসরকারি হাসপাতালগুলো আন্দোলনকারীদের কাছ থেকে চিকিৎসার নামে লাখ লাখ টাকা আদায় করেছে। এসব টাকা ফেরত দিতে হবে।
বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে মাঙ্কিপক্স, নিজেকে রক্ষা করবেন যেভাবে
বিশ্বের অনেক দেশে ছড়িয়ে পড়েছে আফ্রিকা থেকে উদ্ভূত এমপক্স বা মাঙ্কিপক্স। এমন বাস্তবতায় জরুরি অবস্থা জারি করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। মূলত ক্লেড-1 নামে পরিচিত মাঙ্কিপক্সের নতুন স্ট্রেন ২০২২ সাল থেকেই আফ্রিকান দেশগুলোতে ছড়িয়ে পড়েছে।
গুটিবসন্তের একই গোত্রীয় ভাইরাস হলেও মাঙ্কিপক্স সাধারণত অনেক কম ক্ষতিকারক। প্রথমে এটি প্রাণী থেকে মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। কিন্তু এখন এটি মানুষ থেকে মানুষের মধ্যেও ছড়িয়ে পড়ছে। এই বছরের শুরুর দিকে ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অফ কঙ্গো (ডিআরসি) জানিয়েছিল, গত বছরের জুন মাস পর্যন্ত কয়েক হাজার মানুষ এই ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছিল। ডিআরসি সরকার ২০২২ সালের ডিসেম্বরে মাঙ্কিপক্সকে মহামারী ঘোষণা করেছিল।
এদিকে গত সপ্তাহে আফ্রিকা সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) জানিয়েছে, এখন অন্তত ১৩ টি আফ্রিকান দেশে মাঙ্কিপক্স সনাক্ত হয়েছে। গত বছরের এই সময়ের তুলনায় সনাক্তের হার ১৬০ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১৯ শতাংশ বেশি।
আফ্রিকার বাইরে পাকিস্তানে একজনের দেহে এই ভাইরাস পাওয়া গেছে। শুক্রবার (১৬ আগস্ট) দেশটির ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসেস মন্ত্রণালয় এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেছে, ওই ব্যক্তি সম্প্রতি সৌদি আরব থেকে এসেছেন। তবে তিনি ভাইরাসের কোন স্ট্রেনে আক্রান্ত তা জানার চেষ্টা করেছেন দেশটির কর্মকর্তারা। এর আগে বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) সুইডেনের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা দেশটিতে এই ভাইরাসের আক্রান্ত একজনের খবর নিশ্চিত করেছেন। আক্রান্তের শরীরে ক্লেড-1 স্ট্রেন ছিল বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা। জানা গেছে, ওই ব্যক্তি আফ্রিকায় সংক্রামিত হয়েছিলেন, বর্তমানে তার চিকিৎসা চলছে।
মাঙ্কিপক্সের ক্লেড-1 বেশ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। শুক্রবার (১৬ আগস্ট) ইউরোপিয়ান সেন্টার ফর ডিজিজ প্রিভেনশন অ্যান্ড কন্ট্রোল (সিডিসি) মাঙ্কিপক্সের ঝুঁকি সতর্কতার স্তরকে ‘নিম্ন’ থেকে বাড়িয়ে ‘মধ্যম’ করেছে। পাশাপাশি যেসব অঞ্চলে এই ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বেশি, সেসব অঞ্চল থেকে আসা ভ্রমণকারীদের মধ্যে উচ্চ সচেতনতা বজায় রাখতে বলা হয়েছে।
বাংলাদেশেও মাঙ্কিপক্স বা এমপক্স সচেতনতায় বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। মাঙ্কিপক্সের লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত সময়ের মধ্যে নির্ধারিত হটলাইনে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, এই ভাইরাসের কারণে বেদনাদায়ক ফুসকুড়ি, লিম্ফ নোড ফুলে যাওয়া এবং জ্বর হতে পারে। শরীরে এসব লক্ষণ দেখা দিলে অথবা আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে এলে অথবা সংক্রমিত দেশ ভ্রমণের ২১ দিনের মধ্যে এসব লক্ষণ দেখা দিলে ১৬২৬৩ ও ১০৬৫৫ নম্বরে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।
আফ্রিকা সিডিসির প্রধান ডা. এনগাশি এনগোঙ্গো আল জাজিরাকে বলেন, এই ভাইরাসটির লক্ষণ ‘দুই থেকে চার সপ্তাহ’ স্থায়ী হতে পারে। তিনি এই ভাইরাস থেকে নিজেকে রক্ষা করতে ‘ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যবিধির মূল বিষয়গুলো’ মেনে চলতে বলেছেন। পাশাপাশি নিয়মিত হাত ধোয়া, যারা অসুস্থ তাদের সঙ্গে যোগাযোগ এড়িয়ে চলতে এবং তাদেরকে আলাদা জায়গায় রাখতে ও উপসর্গ দেখা গেলে হাসপাতালে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। এ ছাড়া মাঙ্কিপক্স থেকে সুরক্ষায় ভ্যাকসিনও বেশ কার্যকরী।