• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo

চিকিৎসক ছাড়াই জরুরি বিভাগে দেয়া হচ্ছে চিকিৎসা সেবা (ভিডিও)

শাকিবুর রহমান

  ১৬ জুলাই ২০২১, ১২:০০
রূপগঞ্জ ৫০ শয্যা বিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স,
ছবি- আরটিভি নিউজ।

জরুরি বিভাগে চিকিৎসক ছাড়াই দেয়া হচ্ছে চিকিৎসাসেবা। ১৭টি পদের বিপরীতে আছেন চার জন। এনেসথেসিওলজিস্ট না থাকায় অস্ত্রোপচার বন্ধ, ফিরিয়ে দেয়া হয় জটিল রোগী। শুধু তাই নয়, অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে দেয়াল থেকে খসে পড়ছে পলেস্তারা। এরমধ্যেই খোলা হয়েছে করোনা ওয়ার্ড। দুর্গম কোনো এলাকায় নয়, এই চিত্র রাজধানী লাগোয়া রূপগঞ্জ ৫০ শয্যা বিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের।

হাসপাতালে সব ধরনের অবকাঠামো আছে, সঙ্কট কেবল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ চিকিৎসা সেবায়।

এনেসথেসিওলজিস্ট না থাকায় অস্ত্রোপচার করা যায় না। ১৭টি পদের মধ্যে আছে কেবল ৪ জন চিকিৎসক। অভিযোগ আছে তারাও ঠিক মতো দায়িত্ব পালন করেন না। জনবল সংকটের কারণে অস্ত্রোপচারের রোগী ফিরিয়ে দেয়া হয়।

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও প. প. কর্মকর্তা ডা. নুরজাহান আরা খাতুন বলেন, আমাদের শূন্য পদ রয়েছে অনেকগুলো। বিশেষ করে বিশেষজ্ঞ ডাক্তার। আমাদের বিশেষজ্ঞ ডাক্তার আছেন মাত্র দুজন, গাইনি এবং অর্থো সার্জারি। এনেসথেসিও আমাদের কোনো বিশেষজ্ঞ ডাক্তার নেই।

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি নিয়ে ৪ জুলাই একটি জাতীয় দৈনিকের প্রতিবেদনে বলা হয়, এক শিশুর সেলাই করেন সুইপার। পরদিন দেখা যায় জরুরি বিভাগে মেডিকেল অফিসার ছাড়াই চলছে চিকিৎসা।

অভিযোগ এড়াতে চান রূপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা।

ডা. নুরজাহান আরা খাতুন বলেন, আমরা সবাই সেখানে উপস্থিত ছিলাম। জরুরি মেডিকেল অফিসারও সেখানে উপস্থিত ছিলেন, সবাই উপস্থিত ছিলেন। আমার সামনেই তিনি কথা বলেছেন। এসব অভিযোগ মিথ্যা, ভিত্তিহীন।

নারায়ণগঞ্জের সিভিল সার্জন বলেন, সুইপার সেলাই করেননি, কেবল সহযোগিতা করেছিল। তবে সহযোগিতা করার এখতিয়ার না থাকায় তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

নারায়ণগঞ্জ সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইমতিয়াজ বলেন, সারা হাসপাতালে মাত্র একজন ডাক্তার ছিলেন। সুইপার পাশে উপস্থিত ছিলেন। এপ্রোন পড়া হাসপাতালের একজন উপ-সহকারী মেডিকেল অফিসার সেখানে ছিল। সুইপার ব্যান্ডেজ করতে সহায়তা করেছে।

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটির পরিবেশও অপরিচ্ছন্ন। যত্রতত্র আবর্জনার সাথে পরে ছিল ব্যবহৃত সিরিঞ্জ। জীবাণু ছড়ানোর ভয় নিয়েই চিকিৎসা নিতে হয় রোগীদের। এরইমধ্যে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটির ১৯টি শয্যা করোনা রোগীদের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে। এমন পরিবেশে করোনা রোগীরা কেমন চিকিৎসা পাবেন, সে প্রশ্নই এখন এলাকাবাসীর মনে।

এসআর/এম

মন্তব্য করুন

daraz
  • স্বাস্থ্য এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh