হাঁপানির ওষুধে দ্রুত সারছে করোনাক্রান্ত বয়স্করা : নতুন গবেষণা
হাঁপানি বা অ্যাজমা রোগীদের চিকিৎসায় ব্যবহৃত অপেক্ষাকৃত সস্তা ও সহজলভ্য একটি ওষুধ করোনাক্রান্ত বয়স্ক রোগীদের ক্ষেত্রে বেশ কার্যকর বলে গবেষণায় জানা গেছে।
৬৫ বছর ও ৫০ বছরের বেশি বয়সী করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের ওপর ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে দেখা গেছে, বিউডেসোনাইড ইনহেলারে তাদের শারীরিক জটিলতা কমেছে এবং তারা দ্রুত রোগমুক্ত হয়েছেন।
ট্রায়ালে অংশ নেয়া ব্যক্তিদের টানা দুই সপ্তাহ দিনে দুই বার করে এই ইনহেলার দেয়া হয়। দেখা গেছে, যাদের ওই ইনহেলার দেয়া হয়নি, তাদের চেয়ে ইনহেলার নেয়া ব্যক্তিরা দ্রুত ভালো বোধ করছেন এবং সুস্থ হয়ে উঠছেন।
গবেষণায় ট্রায়ালে করোনা রোগীদের টানা দুই সপ্তাহ দিনে দুইবার ৮০০ মাইক্রোগ্রাম বিউডেসোনাইড ইনহেল করতে বলা হয়। ২৮ দিন তাদের ফলো আপে রাখা হয়।
দেখা যায়, নির্ধারিত সময়ের তিন দিন আগেই ওই রোগীরা সুস্থ হয়েন। এ ছাড়া তাদের মধ্যে ৩২ শতাংশ ১৪ দিনের মধ্যে আরোগ্য লাভ করেন। ২৮ দিনের মাথায় ভালো ছিলেন তারা।
ট্রায়ালের এই ফল বিশ্বজুড়ে করোনা চিকিৎসার ধরন বদলে দিতে পারে বলে জানিয়েছেন গবেষকরা। অনেক দেশেই অল্প সংখ্যক করোনা রোগী হাসপাতালে ভর্তি হতে পারছেন। এমন অবস্থায় ঘরে থেকেই অনেকে এই ইনহেলারের সাহায্যে সুস্থ হতে পারেন।
প্রি প্রিন্ট জার্নাল মেডআর্কাইভে গবেষণা প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়েছে। বর্তমানে সেটি পিআর রিভিউয়ের অপেক্ষায় রয়েছে।
এই গবেষণার গবেষক ও অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ক্রিস বাটলার বলেন, গবেষণায় দেখা গেছে, অপেক্ষাকৃত সস্তা, সহজলভ্য, খুবই কম পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার এই অ্যাজমার ওষুধ করোনায় আক্রান্তদের দ্রুত সুস্থ করে। আরোগ্যের পর তারা ভালো থাকেন। এ ছাড়া শারীরিক অবস্থারও উন্নতি ঘটে তাদের।
তিনি আরও বলেন, আমরা মনে করি, বিশ্বে করোনা চিকিৎসায় নিয়োজিত ব্যক্তিরা আমাদের গবেষণালব্ধ প্রতিবেদন যাচাই বাছাই করবেন। কারণ এ চিকিৎসাপদ্ধতি করোনায় আক্রান্তদের দ্রুত সুস্থ করবে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের ওষুধ প্রস্তুতকারী অনেক প্রতিষ্ঠানই বিউডেসোনাইড ইনহেলার ও ক্যাপসুল উৎপাদন করছে।
সূত্র : গার্ডিয়ান
মন্তব্য করুন