• ঢাকা বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৪ বৈশাখ ১৪৩১
logo

করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরাও (ভিডিও)

আতিকা রহমান

  ০৯ এপ্রিল ২০২১, ০৮:১৭
ছবি- আরটিভি নিউজ।

করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরাও। দশ (১০) বছরের নিচে এ পর্যন্ত ৩৯ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। ঢাকা মেডিকেল ও শিশু হাসপাতালে শিশু করোনা রোগীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে।

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বমি, ডায়রিয়া ও শ্বাসকষ্ট থাকলে অবশ্যই কোভিড পরীক্ষা করাতে হবে। বাবা-মা করোনা আক্রান্ত হলে শিশুদের দূরে রাখতে হবে। সেই সঙ্গে দুই বছর থেকে অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করতে হবে।

গেলো বছরের অক্টোবর পর্যন্ত শিশুদের কোভিডে আক্রান্ত হতে তেমন দেখা যায়নি। নভেম্বর থেকে আক্রান্তের সংখ্যা কিছু বাড়লেও এ বছর মার্চ থেকে আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে শিশুদের করোনা সংক্রমণ। ঢাকা মেডিকেল কলেজের করোনা ইউনিটে প্রায় দুই হাজার শিশু চিকিৎসা নিয়েছে। বর্তমানে ভর্তি আছে ১৮ শিশু। ঢাকা শিশু হাসপাতালেও ১৭০ জন চিকিৎসা নিয়েছে। চিকিৎসকরা বলছেন, পাঁচ মাসের বাচ্চাও আক্রান্ত হচ্ছে। শিশুরা বেশি সংক্রমিত হচ্ছে বাবা-মা থেকে। বেশির ভাগ শিশু বমি, ডায়রিয়া, শ্বাসকষ্ট ও মাল্টি-সিস্টেম, ইনফ্ল্যামেটরি সিনড্রোম নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে।

ঢাকা শিশু হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক ডা. রিজওয়ানুল আহসান বলছেন, ডায়রিয়া নিয়ে, ইনফ্ল্যামেটরি সিনড্রোম, কিডনিজনিত সমস্যা নিয়ে আসে। সাথে জ্বর-ঠাণ্ডা-কাশিগুলোর মতো উপসর্গ তো থাকেই। বিপদজনক দেখা দিলে অবশ্যই শিশুকে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে। যে সকল বাবা-মা করোনা আক্রান্ত তারা এবং শিশুরা বাসায় যেন মাস্ক ব্যবহার করে এবং হ্যান্ড ওয়াশ দিয়ে যেন হাত ধুয়ে স্যানিটাইজার ব্যবহার করে।

ইউনিসেফ’র সাবেক জাতীয় পরামর্শক অধ্যাপক বে-নজির আহমেদ বলছেন, দেশে এখন যে ইউকে ভেরিয়েন্ট তার অবস্থানের পরিবর্তন এসেছে। তারা এখন ভালো বন্ধন তৈরি করতে পারে। শিশুদের মধ্যে শঙ্কু রিসেপ্টর রয়েছে তারপরও তাদের মধ্যে সংক্রমণ সফল হচ্ছে। ফলে শিশুদের মধ্যে সংক্রমণের সংখ্যা বাড়ছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনার নতুন ধরনে শিশুরা আক্রান্ত হচ্ছে। এতে শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশ বাধাগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাই এ বিষয়ে অভিভাবকদের সচেতন হতে হবে।

অধ্যাপক ডা. রিজওয়ানুল আহসান আরও বলছেন, যেসব বাচ্চাদের বয়স সাত আট বছর বা প্রতিপালিত, তাহলে বাবা-মা কিছুদিনের জন্য অন্তত আইসোলেশনে রাখতে পারেন। এছাড়া অধ্যাপক বেনজির আহমেদ বলছেন, করোনার আক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে আমাদের সকলের দায়িত্ব হবে আমরা নিজেরা যেন আক্রান্ত না হই, আমাদের শিশুরা যেন আক্রান্ত না হয়।

শঙ্কার বিষয় হচ্ছে- ঢাকার কোনো হাসপাতালে কোভিডে আক্রান্ত শিশুদের জন্য নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র নেই। এজন্য দ্রুত আইসিইউ বেড স্থাপনের তাগিদ দিলেন বিশেষজ্ঞরা।

এসআর/এম

মন্তব্য করুন

daraz
  • স্বাস্থ্য এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh