ঈদুল আজহাকে ঘিরে ডব্লিউএইচও’র নির্দেশনা
আর একদিন পর বাংলাদেশে পালিত হবে পবিত্র ঈদুল আজহা। করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে যে কেউ এই ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারে। তাই মুসলিমদের সবচেয়ে বড় এই ধর্মীয় উৎসবকে সামনে রেখে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে কিছু পরামর্শ দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা ডব্লিউএইচও।
ডব্লিউএইচও’র পরামর্শ অনুযায়ী, অন্তত এক মিটার শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। তবে যদি এটা সম্ভব না হয়, তাহলে কাপড়ের তৈরি মাস্ক পরার কথা বলা হয়েছে। ধর্মীয় বিভিন্ন রীতি যেমন-কোলাকুলি করার মতো বিষয় থেকে বিরত থাকতেও পরামর্শ দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার স্বাস্থ্যবিধিতে অধিক সংখ্যক জনসমাগম এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। এছাড়া সামাজিক জনসমাগমের পরিবর্তে অনলাইনে দেখা সাক্ষাৎ সারার কথা বলেছে ডব্লিউএইচও। যারা অসুস্থ বা করোনার উপসর্গ আছে, তাদের স্ব স্ব দেশের জাতীয় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার কথা বলেছে জাতিসংঘের এই সংস্থাটি। এছাড়া ৬০ বছরের বেশি বয়স এমন ব্যক্তি, যাদের ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, ক্যান্সারসহ নানা ধরনের স্বাস্থ্য সমস্যা তাদের জনসমাগম এড়িয়ে চলতে বলা হয়েছে; কারণ তাদের করোনায় মৃত্যুর ঝুঁকি বেশি।
ঈদের নামাজ ঈদগাহে অনুষ্ঠানের পরামর্শ দিয়েছে ডব্লিউএইচও। না পারলে বাতাস চলাচলের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা আছে এমন মসজিদে ঈদের নামাজের পরামর্শ দিয়েছে সংস্থাটি। এছাড়া হাত ধোঁয়াসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধিও মেনে চলতে বলেছে তারা।
কুরবানি দেয়ার সময় এবং পরে মাংস বিতরণের ক্ষেত্রে জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা নীতি অনুসরণ করতে বলা হয়েছে। কুরবানি দেয়ার সময় শারীরিক দূরত্ব নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়ে গাইডলাইনে বলা হয়েছে, বাড়িতে এই কাজ না করা ভালো। আলাদা জায়গায় করা তুলনামূলক বেশি নিরাপদ হবে।
আরও পড়ুন : চীনে একদিনে সর্বোচ্চ ১০৫ জন করোনায় আক্রান্ত
এ
মন্তব্য করুন