• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo

শহীদ সোহরাওয়ার্দীর ৫৩ তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

আরটিভি অনলাইন ডেস্ক

  ০৫ ডিসেম্বর ২০১৬, ১০:১৭

সোমবার উপমহাদেশের প্রখ্যাত রাজনীতিবিদ হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর ৫৩ তম মৃত্যুবার্ষিকী। ১৯৬৩ সালের ৫ ডিসেম্বর লেবাননের রাজধানী বৈরুতের এক হোটেলে তিনি মারা যান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় টিএসসি’র পাশে জাতীয় ৩ নেতার মাজারে তার সমাধি রয়েছে।

১৮৯২ সালের ৮ সেপ্টেম্বর বর্তমান পশ্চিমবঙ্গের মেদিনীপুরের সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন সোহরাওয়ার্দী। তার বাবা প্রখ্যাত বিচারপতি স্যার জাহিদ সোহরাওয়ার্দী। পাকিস্তানের সামরিক স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের শান্তিপ্রিয় গণতন্ত্রকামী মানুষের আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি। ১৯৪৭ এ পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর থেকে মুসলিম লীগ সরকারের একনায়কতন্ত্রের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী ভূমিকা পালন করেন হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী।

এছাড়া ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে বাঙালির জাতীয়তাবাদী চেতনার নেতৃত্ব ছিলেন তিনি। এছাড়া তিনি যুক্তফ্রন্ট গঠনের অন্যতম নায়ক। গণতান্ত্রিক রীতি ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল এই নেতা সুধী সমাজের পক্ষ থেকে ‘গণতন্ত্রের মানসপুত্র’ উপাধিতে ভুষিত হন।

শহীদ সোহরাওয়ার্দীর ৫৩ তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।

রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে বলেন, উপমহাদেশের গণতন্ত্রের ইতিহাসে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী চীর স্মরণীয় নাম। তিনি ছিলেন রাজনৈতিক সংগঠক, আইনজ্ঞ, বঙ্গীয় ব্যবস্থাপক সভা ও গণপরিষদের সদস্য এবং অবিভক্ত বাংলার মুখ্যমন্ত্রীসহ তৎকালীন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী।

সোহরাওয়ার্দীর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ অঞ্চলের মুসলমানদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও রাজনৈতিক স্বার্থরক্ষার সংগ্রামে আজীবন কাজ করেছেন তিনি। তার দক্ষ পরিচালনায় গণমানুষের সংগঠন আওয়ামী লীগ আরও বিকশিত হয়।

এদিকে সোহরাওয়ার্দীর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠন নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এসবের মধ্যে রয়েছে সোহরাওয়ার্দীর সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, আলোচনা সভা, কোরআনখানি, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল।

এইচটি/এমকে

মন্তব্য করুন

daraz
  • ফিচার এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh