• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo

যেখানে পাখির উড়তে নেই মানা

সরোয়ার আমিন বাবু, চট্টগ্রাম

  ২২ নভেম্বর ২০১৬, ১৮:০০

‘পাখি সব করে রব, রাতি পোহাইল, কাননে কুসুমকলি, সকলি ফুটিল’ কিংবা ‘ডাকে পাখি, খোল আঁখি…’

পাখি নিয়ে লেখা হয়েছে কত না কবিতা-গান!

বাঙালি জীবনধারায় পাখির সৌন্দর্য ও চপলতা যে অনুভূতি জাগায়, তারইতো প্রতিফলন বাংলা সাহিত্যে।

পাখির প্রতি ভালোবাসা ও মমত্ব মানুষকে টেনে নেয় প্রকৃতির কাছাকাছি।

তাইতো ‘দাও ফিরিয়ে অরণ্য, লও এ নগর’ এমন কাব্যিক তাগিদ জোরালো হয়ে উঠেছে যন্ত্র সভ্যতার এমন বিকাশ পর্বেও। সারা ইউরোপ আমেরিকায় আজ আওয়াজ উঠছে ‘ব্যাক টু নেচার’ বা ‘প্রকৃতির কোলে ফিরে যাও’ তাগাদা।

চট্টগ্রাম উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের খোলা প্রাঙ্গণে এম. এ আজিজ স্টেডিয়ামের পাশে রেলওয়ে অফিস সংলগ্ন পাহাড়ি নৈসর্গিক শোভামন্ডিত পরিবেশে চালু হলো পাখির অভয় আশ্রম কর্মসূচির।

এ আশ্রমে অবাধ ওড়াউড়ির সুযোগ পাচ্ছে অনেক প্রজাতির পাখি। আর এসব পাখির কলতান, গুনগুন, ডানা মেলা কিংবা ছোটাছুটি উপভোগের সুযোগ পাবে দর্শণার্থী ও পাখিপ্রেমীরা।

সোমবার সকালে বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাউবি) চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কেন্দ্র চত্বরে এ কর্মসূচির উদ্বোধন করলেন সমাজবিজ্ঞানী ও প্রকৃতি বিশেষজ্ঞ বাউবি প্রো-উপাচার্য প্রফেসর ড. খোন্দকার মোকাদ্দেম হোসেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, পাখি প্রকৃতির এক অমূল্য সম্পদ। মানব জাতির কল্যাণে এদের ভূমিকা অপরিসীম। তাই পাখি বাঁচিয়ে রাখা শুধু না , এদের যত্ন আত্তি সকলেরই কর্তব্য।

বর্তমানে বিভিন্ন স্থানে নির্দয়ভাবে পাখি হত্যা করে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট করা হচ্ছে ।

অনুষ্ঠানে পাখির প্রতি মানুষের সহিংসতা বন্ধ ও গণসচেতনতামূলক ব্যানার, ফেস্টুন ও প্রচার- প্রচরণা চালানো হয়।

বাউবি’র চট্টগ্রামের আঞ্চলিক পরিচালক বদরুল হায়দার চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন অধ্যক্ষ মো. আবু ইউসুফ, প্রফেসর হায়াত হোসেনসহ অন্যান্য অতিথি।

প্রকৃতি বান্ধব জীবন ধারা গড়ে তোলার ওপর জোর দিয়ে বক্তারা বলেন, চট্টগ্রামের সমতল ও পাহাড়ি বনায়ন নগরবাসীর জন্য আশীর্বাদ। তাই বনায়নকে টিকিয়ে রেখে সবুজকে সংরক্ষণ করতে হবে। তাহলেই গাছ গাছালির মধ্যে ফিরে আসবে পাখি। প্রকৃতির নিয়মেই গড়ে উঠবে পাখির অভয় আশ্রম।

এসজেড

মন্তব্য করুন

daraz
  • ফিচার এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh