• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo

জেরুজালেমে উন্মুক্ত হলো যিশুখ্রিষ্টের সমাধি

আরটিভি অনলাইন ডেস্ক

  ৩০ অক্টোবর ২০১৬, ২১:০৩

প্রথমবারের মতো যিশুখ্রিষ্টের মার্বেল পাথরে মোড়ানো সমাধি উন্মুক্ত করলেন বিজ্ঞানীরা। পুরনো শহর জেরুজালেম নগরীর ‘হলি সেপালচর গির্জা’য় এ সমাধির অবস্থান।

বহু আগে থেকেই এটি যিশুখ্রিষ্টের সমাধি হিসেবে স্বীকৃত। অন্তত ১৫৫৫ খ্রিষ্টাব্দ এবং খুব সম্ভবত তারও কয়েক শতাব্দী আগে থেকে মার্বেল আচ্ছাদিত অবস্থায় সুরক্ষিত ছিলো এ সমাধি।

ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক সোসাইটির (এনজিএস) বিজ্ঞানীরা এটি নিয়ে গবেষণা করছেন। ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক সোসাইটির প্রত্নতত্ত্ববিদ ফ্রেডরিক হীবার্ট বলেন, সমাধি উন্মুক্ত করতে গিয়ে আমরা বিস্মিত। কারণ মার্বেলসহ পর্যাপ্ত উপকরণ সেখানে মিলেছে। এটা দীর্ঘ বৈজ্ঞানিক গবেষণার বিষয়। তবে আমরা শেষ পর্যন্ত ঠিকই এর কিনারা করতে পারবো এবং যিশুখিষ্ট্রের সমাধিশয্যা সম্পর্কে আমরা আরো পরিস্কার ধারণা পাবো।

তিনি আরো বলেন, যিশুখ্রিষ্টের সমাধি নিয়ে কম গবেষণা হয়নি, তবে অবশেষে আমরা এর তলদেশে মূল শিলাপৃষ্ঠ পর্যন্ত যেতে পেরেছি, যেখানে যিশুখ্রিষ্টের দেহ সমাহিত করা হয়।

খ্রিস্টানদের ঐতিহ্য অনুসারে, আনুমানিক ৩০ বা ৩৩ খ্রিষ্টাব্দে যিশুখ্রিষ্ট রোমানদের দ্বারা ক্রুশবিদ্ধ হন এবং সেই অবস্থায় তাকে ‘সমাধি বাক্সে’রেখে কবর দেয়া হয়। খ্রিস্টানদের বিশ্বাস রয়েছে, তিনি পুনরুজ্জীবিত হয়েছেন।

‘সমাধি বাক্স’টি ঘেরা ওই ছোট্ট পরিসরটি ‘ইডিকিউল’নামে পরিচত। ল্যাটিন ভাষায় ‘ইডিকিউল’ শব্দের অর্থ ছোট ঘর। আগুন লেগে সমাধি ক্ষেত্রটিতে ক্ষতি হওয়ায় ১৮০৮-১০ সালে এটি আবার নির্মাণ করা হয়।

এথেন্সের ন্যাশনাল টেকনিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান বৈজ্ঞানিক সুপারভাইজার অধ্যাপক অ্যান্টনিও মরোপউলোর নেতৃত্বে একদল বিজ্ঞানী বর্তমানে এর ভেতরের সমাধিস্তম্ভ নিয়ে গবেষণা করছেন।

এটি উন্মুক্ত করার ফলে বিজ্ঞানীদের জন্য নতুন করে গবেষণার দ্বার খুলে গেল। সমাধিটির মূল পৃষ্ঠদেশ নিয়ে তারা গবেষণার সুযোগ পাবেন। রোমান শাসক কনস্ট্যানটাইনের মা হেলেনা খ্রিস্টানদের সবচেয়ে পবিত্র এ স্থানটির সন্ধান পান ৩২৬ খ্রিষ্টাব্দে।

এম/এমকে

মন্তব্য করুন

daraz
  • ফিচার এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh