• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo

প্রতি ৭ সেকেন্ডে বিয়ে হয় এক কন্যাশিশুর

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, আরটিভি অনলাইন ডেস্ক

  ১১ অক্টোবর ২০১৬, ১৯:২৮

বিশ্বজুড়ে প্রতি ৭ সেকেন্ডে ১৫ বছরের নিচে একজন কন্যশিশুর বিয়ে হয়। আফগানিস্তান, ইয়েমেন, ভারত এবং সোমালিয়াসহ অনেক দেশে ১০ বছর বা তার কম বয়সীকে তাদের চেয়ে অনেক বেশি বয়সী পুরুষদের সঙ্গে জোর করে বিয়ে দেয়া হয়।

সেভ দ্য চিলড্রেন মঙ্গলবার তাদের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায়। যেখানে দারিদ্র্য এবং মানবিক সঙ্কটকে মেয়েদের বাল্যবিবাহের প্রধান কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

সেভ দ্য চিলড্রেনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হেলি থ্রোনিং স্কিমিডট জানান, বাল্যবিবাহের মাধ্যমে সঙ্কটের চক্র শুরু হয়। এতে অধিকাংশ মেয়ে শিক্ষা, বিকাশ এবং মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়। পারিবারিক সহিংসতা, নির্যাতন ও ধর্ষণের শিকার হয়। অল্প বয়সে গর্ভধারণ এবং আক্রান্ত হয় এইচআইভিসহ নানা যৌনবাহিত রোগে।

প্রতিবেদনে ১৪৪টি দেশের একটি সূচক তৈরি করা হয়েছে। এতে সবার নিচে রয়েছে পশ্চিম আফ্রিকার দেশ নাইজার। এর পরই রয়েছে চাদ, সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক, মালি, সোমালিয়া ও সিয়েরা লিওন। তালিকায় বাংলাদেশ ১১১ নম্বরে। পাকিস্তান ও ভারতের অবস্থান ৮৮ ও ৯০। যুক্তরাষ্ট্র ৩২ ও ব্রিটেন ১৫।

সূচকে সবার ওপরে রয়েছে সুইডেন। শীর্ষ দশে থাকা বাকি দেশগুলো যথাক্রমে ফিনল্যান্ড, নরওয়ে, নেদারল্যান্ডস, বেলজিয়াম, ডেনমার্ক, স্লোভেনিয়া, পর্তুগাল, সুইজারল্যান্ড ও ইতালি।

বিশ্বজুড়ে মেয়েদের স্কুল শিক্ষা, বাল্যবিবাহ, কিশোরীদের গর্ভধারণ, মাতৃত্বজনিত মৃত্যু এবং পার্লামেন্টের নারী সদস্যদের সংখ্যার ওপর ভিত্তি করে এ সূচক করা হয়েছে।

যুদ্ধাক্রান্ত মেয়েদের বাল্যবিবাহের আশঙ্কা বেশি থাকে। দারিদ্র্য এবং যৌন সন্ত্রাস মোকাবিলায় অনেক শরণার্থী পরিবার তাদের কন্যাদের অপরিণত বয়সে বিয়ে দিয়ে দেয়।

নাইজেরিয়ার চিবুক এলাকা থেকে কিশোরীদের অপহরণ এবং ইরাকে ইয়াজিদি সম্প্রদায়ের মেয়েদের ওপর যৌন দাসত্ব চাপিয়ে দেবার মতো বিষয়গুলোও তুলে ধরা হয়েছে প্রতিবেদনে। ভূমধ্যসাগর হয়ে প্রতিনিয়ত পাচারের শিকার হচ্ছে মেয়েরা। বাধ্য হয়ে বাংলাদেশের যৌনপল্লিতে বাস করছে অনেক কিশোরী।

জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ জানায়, ২০৩০ সাল নাগাদ বাল্যবিবাহের সংখ্যা আরো বাড়বে। বর্তমানে যেখানে বিশ্বজুড়ে এ সংখ্যা ৭০ কোটি, সেখানে ২০৩০ সাল নাগাদ পৌঁছবে ৯৫ কোটিতে।

এপি/ এস

মন্তব্য করুন

daraz
  • ফিচার এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh