একবার যদি যেতে পারতাম!
৩ বছরের ছোট্ট শিশু আয়ান। মীরপুর থেকে বাবা মায়ের সঙ্গে এসেছিলো শ্যামলী শিশু মেলায়। ইচ্ছে ছিলো, নাগর দোলনা, কার রাইডস, ডাইনোসরের গুহা আর বিভিন্ন রাইডসে উঠে ঈদ আনন্দ উপভোগ করা।
কিন্তু করোনা প্রাদুর্ভাবের কারণে শিশু মেলা বন্ধ রয়েছে। এতে ভীষন মন খারাপ হয় তার। তাইতো প্রধান ফটকের একটু ফাঁকা দিয়েই তার চোখ খুঁজে বেড়ায় বিভিন্ন রাইডস। বিভিন্ন খেলনায় চড়তে না পারলেও দূর থেকে সেসব দেখেই তার চোখে মুখে খুশির ঝিলিক ফুটে ওঠে।
আয়ানের বাবা জানান, লক ডাউনের কারণে দীর্ঘদিন ধরে বাচ্চাটা ঘরবন্দী। ভেবেছিলাম, ঈদের পরদিন একটু বাচ্চাকে শিশু মেলায় নিয়ে আসলে ও আনন্দ পাবে। কিন্তু বন্ধ দেখে খারাপ লাগছে। বাচ্চাটা অনেক মন খারাপ করেছে। ঢাকায় ঘুরতে যাওয়ার কোনও জায়গা নেই।
আয়ানের মতো আরও অনেক শিশুরা বাবা মায়ের সাথে শিশু মেলা, শিশু পার্ক, চিড়িয়াখানায় এসে ঘুরে যাচ্ছে। ঈদ আনন্দ উপভোগ করার জন্য তারা বিনোদন কেন্দ্রে আসলেও বন্ধ থাকায় তারা আশাহত হয়ে বাড়ি ফিরে যায়। যেন ঈদের আনন্দটাই মাটি হয়ে গেলো তাদের।
প্রতিবার ঈদের পরদিন রাজধানীর বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে উপচে পরা ভীড় থাকে। শিশুদের কলকাকলিতে মুখর থাকলেও এবার করোনার কারণে একেবারে ফাঁকা পরে আছে শিশু বিনোদন কেন্দ্রগুলো। চারিদিকে সুনসান নিরবতা। কয়েকজন সিকিউরিটি গার্ড এসব বিনোদনকেন্দ্র পাহাড়া দিচ্ছে, আর অলস সময় পার করছেন। ঈদের ছুটি না হওয়ায় তাদেরও মন খারাপ।
আকা/এমকে
মন্তব্য করুন