করোনাভাইরাস: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা
করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) আগামী বুধবার (১৮ মার্চ) থেকে ২ এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
আজ সোমবার দুপুর ২টা থেকে চলা জরুরি সিন্ডিকেটে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক নুরুল আলম।
তিনি জানান, আগামী বুধবার (১৮ মার্চ) থেকে ২ এপ্রিল পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকবে।
এছাড়া আগামী বৃহস্পতিবার (১৯ মার্চ) সকাল ১১ টার মধ্যে শিক্ষার্থীদের হল খালি করতে হবে। পাশাপাশি আগামী রোববার (২২ মার্চ) থেকে ২ এপ্রিল পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সব অফিস বন্ধ থাকবে।
এজে
মন্তব্য করুন
নিপীড়নের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের ‘লাল কার্ড’
‘নিপীড়নের বিরুদ্ধে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়’ ব্যানারে আয়োজিত কর্মসূচিতে শিক্ষার্থীরা যৌন নিপীড়ন, প্রশাসনিক-একাডেমিক নিপীড়নের বিরুদ্ধে ‘লাল কার্ড’ দেখান। এতে বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা অংশ নেন। কর্মসূচিতে সব ধরনের নিপীড়নের দ্রুত তদন্ত ও বিচার দাবি করেন।
এসময় তারা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডির সব সদস্যের পদত্যাগ দাবি করেন।
মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাস্কর্য চত্বরে আয়োজিত এক কর্মসূচি থেকে শিক্ষার্থীরা এই দাবি জানান।
কর্মসূচি থেকে জানানো হয়, বুধবার বেলা ১টায় শিক্ষার্থীরা একটি সংবাদ সম্মেলন করবেন। এতে ক্যাম্পাসের বর্তমান পরিস্থিতিসহ নিজেদের দাবিদাওয়ার কথা তুলে ধরবেন।
ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে কুমিল্লা শহরে নিজেদের বাড়িতে আত্মহত্যা করা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকার ঘটনায় ক্যাম্পাসে এখন প্রতিদিন নানা প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করছেন শিক্ষার্থীরা।
ডিবি কার্যালয়ে এসে যা জানালেন জবির সেই দুই শিক্ষক
শিক্ষার্থী ফাইরুজ অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনার পর সোমবার (১৮ মার্চ) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আরও দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে হয়রানির অভিযোগ তোলেন ফিল্ম ও টেলিভিশন বিভাগের শিক্ষার্থী কাজী ফারজানা মিম। এর মধ্যে যৌন হয়রানির অভিযোগ তোলেন একই বিভাগের শিক্ষক আবু শাহেদ ইমনের ওপর। আর তাকে বাঁচানোর চেষ্টার অভিযোগ তোলেন বিভাগটির চেয়ারম্যান জুনায়েদ আহমেদ হালিমের ওপর। এবার অভিযোগের ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করতে ডিবি কার্যালয়ে ডাকা হয় ওই দুই শিক্ষককে।
বুধবার (২০ মার্চ) দুপুর সোয়া ২টা থেকে দুই শিক্ষককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিল্ম ও টেলিভিশন বিভাগের চেয়ারম্যান জুনায়েদ আহমেদ হালিম সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।
ডিবি কার্যালয়ে ডাকার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘ডিবি প্রধান আমাদের ডেকে নানা বিষয়ে জানতে চাইলেন। আমরা আমাদের মতো করে সব বলেছি। অভিযোগ তো দুই রকমের। এর মধ্যে একটা যৌন হয়রানি সংক্রান্ত। সেটি আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে। যার ফলে আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী যৌন হয়রানি সংক্রান্ত বিষয়ে আমরা সংশ্লিষ্ট (তদন্তকারী, অভিযুক্ত, অভিযোগকারী, সাক্ষী) কেউ কথা বলতে পারবো না। এটা বিচারাধীন।’
আরেকটি বিষয় মিমের ফেলের প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষার রেজাল্ট ফাইনাল করার একটা ফর্মুলা আছে। গোপনীয়ভাবে খামে নম্বরপত্র সংগ্রহ করা হয়। গোপনীয়ভাবে নম্বরপত্র সিলগালা করে সংগ্রহ করা হয়। কেউ যদি ১০০ স্কোরের মধ্যে ৪০ পায় তাহলে সে পাস। বেশি হলে ফর্মুলা অনুযায়ী গ্রেড নম্বরটা হয়।’
হালিম বলেন, ‘নিজের দোষে ফেল করেছে মিম। তাকে ডেকেও মিড টার্ম বা এসাইনমেন্ট করানো যায়নি। ১০০ মার্কসের মধ্যে পাস ৪০ এ। সেখানে সে পেয়েছে ২৩.৫০।
ওই শিক্ষার্থী সেকেন্ড ইয়ারের সেকেন্ড সেমিস্টারে এক কোর্সে যেটা আরেকজন শিক্ষক নিয়েছেন তার নাম হুমায়রা ফাতেমা আমিন। মিড টার্ম বা এসাইনমেন্টও জমা দেয়নি মিম। তিনবার নোটিশ দিয়ে দিয়ে ওই শিক্ষক মিড টার্ম নিয়েছে। কিন্তু মিম যোগাযোগও করেনি। সে সেকেন্ড ইয়ারে ফেল, এরপর চতুর্থ সেমিস্টারে আরেকটা কোর্সেও ফেল আছে। আর সপ্তম সেমিস্টারে কনটিউনিটি ফিল্ম রাইটিং কোর্স আছে।’
তিনি আরও বলেন, পাস করতে হলে পরীক্ষা দিতে হবে। পরীক্ষা ছাড়া ফেল করলে সে দায় তো শিক্ষকের না। তিনটি সেমিস্টারে সে একই কাজ করেছে। অনার্সের যে রেজাল্ট হয়েছে সেখানে তাদের ফেল আছে।
ডিবি কি বিষয়ে জানতে চেয়েছে? এমন প্রশ্নে হালিম বলেন, ‘আমাদের কাছে বিভিন্ন বিষয়ে জানতে চেয়েছে। আমরা তথ্য দিয়েছি। সত্য-মিথ্যা প্রমাণ তো তাদের বিষয়।’
এর আগে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজী ফারজানা মিম অভিযোগ করেন, ‘২০২১ সালে আমার বিভাগের শিক্ষক আবু শাহেদ ইমন আমাকে যৌন হেনস্তা করে। বিশ্ববিদ্যালয়ে এ অভিযোগ দেওয়ার পর থেকে বিভাগের চেয়ারম্যান ও অভিযুক্ত শিক্ষক আমাকে সেটি তুলে নিতে নানাভাবে চাপ দিতে থাকে। এতে আমি রাজি না হওয়ায় তারা আমকে হাত-পা কেটে হত্যা করাসহ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কারের হুমকি দেন। আমাকে এক ঘরে করে দেওয়া হয়। আমাকে বিভিন্ন পরীক্ষায় শূন্য নম্বর দিয়ে ফেল করানো হয়। অনার্সের ফাইনালের ভাইভায় আমাকে ফেল করানো হয়।’
তিনি বলেন, ‘আমি স্বাভাবিক জীবন-যাপন করতে পারছি না, আমাকে একঘরে করা হয়েছে। কখন আমাকে মেরে ফেলা হয় সেটা জানি না। শুধু আমি না, আমার পরিবারকেও নানাভাবে হুমকি-ধমকি দেওয়া হচ্ছে এবং হেনস্তা করছে। বর্তমান এ অবস্থা থেকে বাঁচতে ডিবি কার্যালয়ে অভিযোগ দিয়েছি।’
ঢাবিতে রমজানের অনুষ্ঠান আয়োজনে নিষেধাজ্ঞা
রমজানের আলোচনা সম্পর্কিত কোনো অনুষ্ঠানের অনুমতি না দিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) বিভিন্ন হলের প্রভোস্ট, অনুষদের ডিন ও ইনস্টিটিউটের পরিচালকদের চিঠি দিয়েছে প্রক্টর অফিস।
বুধবার (২০ মার্চ) বিষয়টি প্রকাশ্যে এসেছে। গত ১৫ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মো. মাকসুদুর রহমান স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়।
চিঠিতে বলা হয়েছে, কিছু রাজনৈতিক সংগঠন ও রাজনৈতিকভাবে পরিচিত ব্যক্তি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস অস্থিতিশীল করার লক্ষ্যে বিষয়টিকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিষয়টি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে জানিয়েছে। একইসঙ্গে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ও অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়ানোর জন্য এ ধরনের কোনো কর্মকাণ্ড পরিচালনার অনুমতি না দেওয়ার অনুরোধ করছে।
সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থীর ‘প্রোডাক্টিভ রমাদান’ শিরোনামে রমজান বিষয়ক আলোচনায় ছাত্রলীগের হামলার অভিযোগ ওঠে। এতে অন্তত ৫ জন আহত হয়। এ ঘটনায় সহকারী প্রক্টর ফার্মেসি অনুষদের অধ্যাপক ড. আব্দুল মুহিতকে প্রধান করে ৩ সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হচ্ছেন- ইলেকট্রিকাল ও ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. এম এল পলাশ এবং প্রাণিবিদ্যা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. মোস্তাফিজুর রহমান।
এসব বিষয়ে প্রক্টর ড. মো. মাকসুদুর রহমান বলেন, ‘আমরা একটি তদন্ত কমিটি করেছি। একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ইতোমধ্যে ঘটে গেছে। তদন্তকালীন অন্য কোনো অঘটন ঘটলে আমাদের কাজ কঠিন হয়ে পড়বে। এ কারণে আমরা চিঠি দিয়েছি।’
যৌন নিপীড়নের দায়ে জবির দুই শিক্ষকের শাস্তি
যৌন নিপীড়নের দায়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন বিভাগের শিক্ষক সাহেদ ইমনকে সাময়িক বহিষ্কার ও ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীকে সহযোগিতা না করায় একই বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. জুনায়েদ হালিমকে চেয়ারম্যান পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) বিকেলে এক জরুরি সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
সভা শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম বলেন, যৌন নিপীড়ন প্রতিরোধ সেলের দেওয়া রিপোর্টে যৌন হয়রানি ও মানসিক নির্যাতন প্রমাণিত হওয়ায় বিজ্ঞ সিন্ডিকেট এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। শিক্ষকের বিরুদ্ধে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর দায়ের করা অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা থাকায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আমি এখানে উপাচার্য হয়ে আসার পর আরেকটি তদন্ত বোর্ড গঠন করে দিয়েছি। আশা করি খুব শিগগিরই সেই রিপোর্ট আমরা হাতে পাবো।
তিনি আরও বলেন, আইন বিভাগের শিক্ষার্থী অবন্তিকার মৃত্যুর ঘটনার বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী আম্মান সিদ্দিকী ও সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামের সাময়িক বহিষ্কার আদেশ নিয়ে সিন্ডিকেট সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে। অবন্তিকার মৃত্যুর ঘটনার যে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে সে বিষয়েও সম্মানিত সিন্ডিকেট সদস্যদের অবহিত করা হয়েছে।
এর আগে শিক্ষার্থী ফাইরুজ অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনার পর সোমবার (১৮ মার্চ) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আরও দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে হয়রানির অভিযোগ তোলেন ফিল্ম ও টেলিভিশন বিভাগের শিক্ষার্থী কাজী ফারজানা মিম। এর মধ্যে যৌন হয়রানির অভিযোগ তোলেন একই বিভাগের শিক্ষক আবু শাহেদ ইমনের ওপর। আর তাকে বাঁচানোর চেষ্টার অভিযোগ তোলেন বিভাগটির চেয়ারম্যান জুনায়েদ আহমেদ হালিমের ওপর।
রাবির হলের কক্ষে শিক্ষার্থীর বুকে ছুরিকাঘাত
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহ মখ্দুম হলে নিজ কক্ষে থাকা অবস্থায় ছুরিকাঘাতে আহত হয়েছেন জয়দেব সাহা নামের এক শিক্ষার্থী। মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শুক্রবার (২২ মার্চ) রাত সাড়ে ১১টায় এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, জয়দেব সাহা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। শিক্ষার্থী শাহ মখ্দুম হলের হলের ৩৪১ নং রুমে থাকতেন। তার বাড়ি নোয়াখালীতে।
ওই শিক্ষার্থীর রুমমেট সাজ্জাদ বলেন, অনেকদিন ধরে সে অস্বাভাবিক আচরণ করছিল। আমি খবর দেওয়ার পর বাসা থেকে তার ছোট ভাই এসেছিল। আজ একসাথে খাওয়া-দাওয়াও করেছে।
আহত জয়দেব জানান, তার ছোট ভাই তাকে ছুরি মেরেছে।
শাহ মখ্দুম হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. রুহুল আমিন বলেন, ঘটনা শোনামাত্র আমি হলে এসেছি। তাকে মেডিকেলে ভর্তি করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। বর্তমানে সে রামেকের ৪নং ওয়ার্ডে ভর্তি আছে। সে নিজেই নিজেকে ছুরিকাঘাত করেছে নাকি অন্য কেউ করেছে, এ বিষয়ে এখনও জানা যায়নি।
সাংবাদিককে জখম, তিতুমীরের ছাত্রলীগ নেতা বহিষ্কার
রাজধানীর সরকারি তিতুমীর কলেজে সময়ের আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক সাব্বির আহমেদের ওপর হামলার ঘটনায় অভিযুক্ত কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক এস এম ইমরুল রুদ্র বহিষ্কার হয়েছেন।
শুক্রবার (২২ মার্চ) দিবাগত রাতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের উপ-দফতর সম্পাদক মুজিবুল বাশার স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের জরুরি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জানানো যাচ্ছে যে শৃঙ্খলা পরিপন্থী ও সংগঠনবিরোধী কার্যকলাপে জড়িত হওয়ার অভিযোগে ইমরুল রুদ্রকে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার করা হলো।
তবে বিজ্ঞপ্তিতে ‘শৃঙ্খলা পরিপন্থী ও সংগঠনবিরোধী কার্যকলাপের বিবরণ দেওয়া হয়নি।
অভিযোগ আছে, একটি ফেসবুক পোস্টকে কেন্দ্র করে তিতুমীর কলেজ ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক এস এম ইমরুল রুদ্র সাব্বির আহমেদের ওপর এই হামলা করেছেন।
এর আগে শুক্রবার সন্ধ্যায় কলেজে একটি ইফতার মাহফিলে অংশ নেওয়া শেষে কর্মস্থলে ফেরার পথে হামলার শিকার হন ওই সাংবাদিক। পরে তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হামলায় তার মাথা ও শরীরের বিভিন্ন অংশ রক্তাক্ত জখম হয়েছে।
ঢাবির সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন জিয়া রহমান মারা গেছেন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ও অপরাধবিজ্ঞান বিভাগের প্রতিষ্ঠাকালীন চেয়ারম্যান অধ্যাপক জিয়া রহমান (৬০) মারা গেছেন। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
শনিবার (২৩ মার্চ) ভোররাতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় তিন দশকের চাকরিজীবনে শিক্ষক সমিতি ও বিভিন্ন প্রশাসনিক পদে দায়িত্ব পালন করেছেন জিয়া রহমান। ২০২২ সালের জানুয়ারিতে তিনি সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন নির্বাচিত হন।
জিয়া রহমান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের শহীদ মুনীর চৌধুরী ভবনে থাকতেন। রাতে অসুস্থ বোধ করলে তাকে ল্যাবএইড হাসপাতালে নেওয়া হয়।
জিয়া রহমানের মৃত্যুর খবর পেয়ে ল্যাবএইড হাসপাতালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এ এস এম মাকসুদ কামালসহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা আসেন।
শনিবার (২৩ মার্চ) বাদ জোহর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে জিয়া রহমানের জানাজা অনুষ্ঠিত হবে বলে হাসপাতালে সাংবাদিকদের জানান উপাচার্য।