আন্দোলনে আহত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা সহায়তা দেবে জাবি
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা সহায়তা প্রদানের ঘোষণা দিয়েছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) প্রশাসন।
মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার ড. এবিএম আজিজুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে যে সব শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চিকিৎসা সহায়তা পায়নি, তাদেরকে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বরাবর চিকিৎসা সহায়তা প্রাপ্তির উদ্দেশ্যে চিকিৎসা সেবা গ্রহণের সকল কাগজপত্রসহ আবেদন করার জন্য অনুরোধ করা হলো।
উল্লেখ্য, গত জুলাই মাসে শুরু হওয়া কোটা সংস্কার আন্দোলনের জের ধরে দেশব্যাপী যে ভয়াবহ সংঘাতের সৃষ্টি হয় এতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়।
আরটিভি নিউজ/এএএ
মন্তব্য করুন
ববি শিক্ষার্থী অর্পণা দাসের মরদেহ উদ্ধার
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছে। পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করেছে।
শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) সকালে বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় বলে নিশ্চিত করেছেন কোতোয়ালী মডেল থানার এসআই মাজেদুল ইসলাম।
মৃত অর্পণা দাস বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের ষষ্ঠ সেমিস্টারের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার সোনামুখি এলাকার শ্যামল দাসের মেয়ে।
বরিশাল মহানগর পুলিশের বন্দর থানার ওসি বিপ্লব কুমার মিস্ত্রি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছে শুনেছি। মরদেহ মেডিকেলে রয়েছে।
বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ার্ড মাস্টার আবুল কালাম বলেন, মেহেন্দিগঞ্জের গ্রামের বাড়িতে একটি মেয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। তার মরদেহ হাসপাতালে রয়েছে।
মেহেন্দিগঞ্জ থানার ওসি ইয়াসিনুল হক বলেন, পরিবার থেকে থানায় কেউ কিছু জানায়নি। কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি কল করে বিষয়টি জানিয়েছে। বাসায় গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি।
মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে কোতোয়ালি মডেল থানার এসআই মাজেদুল ইসলাম বলেন, বৃহস্পতিবার বিকেলে নিজ বাসায় ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে ওই শিক্ষার্থী। তাকে উদ্ধার করে বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সকালে মারা গেছেন তিনি। কি কারণে আত্মহত্যা করেছেন শিক্ষার্থী তা পরিবার জানাতে পারেনি। পরিবারের কোনো অভিযোগ না থাকায় বিনা ময়নাতদন্তে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।
শেখ মুজিবের ছবিতে মন্তব্য করায় ৪ মাসের জেল, শিক্ষা জীবন শেষ
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের এডিট করা একটি ছবিতে কমেন্ট করায় জেল ও পড়ালেখা বন্ধের সম্মুখীন হয়েছেন নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ২০১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থী ফয়েজ আহমেদ।
রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এমন অভিযোগ করেন।
ফয়েজ বলেন, ‘আমি কোনো ফেক আইডি থেকে পোস্ট করিনি। কেবল একটা মন্তব্য করেছি। কিন্তু আমাকে শিবির ট্যাগ দিয়ে মিথ্যা মামলা সাজিয়ে চার মাস জেলে বন্দি করে রাখা হয়। আমাকে থানায় অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করা হয়। কেউ সাহায্য করেনি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দ্বারে দ্বারে ঘুরেছে আমার বাবা, তাকে অপমান করা হয়েছে। আমার চার বছর পড়াশোনা বন্ধ ছিল। আমি অসংখ্যবার আত্মহত্যার চেষ্টা করেছি।’
তিনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার নাছের, বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন প্রক্টর নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর, বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন ও আমার বিভাগের চেয়ারম্যান বাদশা মিয়া আমার জীবনটা শেষ করে দিয়েছেন। মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাকে পড়াশোনা করতে দেননি। বাদশা স্যার আমাকে বলেছেন, তোমাকে ধর্ষণ মামলায় সহায়তা প্রদান করলেও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও আওয়ামী লীগের বিষয়ে কোনো মামলায় আপস করব না।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমার জীবনটা শেষ করার পেছনে দায়ী ফ্যাসিবাদের দোসর বাদশা মিয়া। আমি সেই মামলায় খালাস পেয়েছি। তিনি আমার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন। আমাকে পড়তে দেওয়া হবে না। আমার বিরুদ্ধে ভুয়া তদন্ত কমিটির মাধ্যমে দোষীসাব্যস্ত করে বহিষ্কারাদেশ বহাল রেখেছেন। অথচ আমি কতবার তার হাত-পা ধরেছি; বলেছি, আমাকে পড়াশোনার সুযোগ দেওয়ার জন্য। কিন্তু তিনি আমাকে সেই সুযোগ দেননি।’
নোবিপ্রবির ওই শিক্ষার্থী বলেন, কোনো প্রকার মামলা ছাড়াই আমাকে গ্রেপ্তার করা হয়। নোবিপ্রবি ফার্মেসি বিভাগের শিক্ষার্থী ছাত্রলীগ নেতা প্রিতম আহমেদ বাদী হয়ে আমার বিরুদ্ধে বঙ্গবন্ধুকে অবমাননার অভিযোগে মামলা দায়ের করেন। যেখানে স্বাক্ষী হিসেবে ছিলেন তৎকালীন প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শাহরিয়ার নাসের, শিক্ষা প্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী সজিব এবং বিএমএস বিভাগের শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগনেতা সাব্বির। দীর্ঘ চার মাস আমি কারাগারে থাকি। পরবর্তীতে নির্দোষ প্রমাণিত হয়ে জামিন পেয়ে বের হয়ে আসি।’
ন্যায়বিচার প্রার্থনায় আদালতে যাওয়ার ঘোষণা দিয়ে ফয়েজ আহমেদ বলেন, ‘আমি প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে অভিযোগ দেব। আমি দেখব, বিশ্ববিদ্যালয় কী ব্যবস্থা নেয়? যদি তারা আমাকে ন্যায়বিচার দিতে না পারে আমি আদালতে মামলা করব। আমি শেষ দেখতে চাই। আমার মতো কারও সাথে এমন ঘটনা ঘটুক, আমি তা চাই না।’
অভিযোগের বিষয়ে আইন বিভাগের চেয়ারম্যান বাদশা মিয়া বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ মিথ্যা। প্রথমত, বহিষ্কার করা এবং ছাত্রত্ব ফিরিয়ে দেওয়ার বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা বোর্ড ও একাডেমিক কাউন্সিলের হাতে। সেখানে চেয়ারম্যান হিসেবে আমি ওর ছাত্রত্ব ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি তুলেছি।’
জানা গেছে, ২০২০ সালের ১৪ অক্টোবর মুহম্মদ মুমিন আদ দ্বীন নামক একটি আইডি থেকে ‘পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় সংসদ’ নামক একটি গ্রুপে নোবিপ্রবির বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালের সঙ্গে ভিপি নুরের এডিট করা ছবি পোস্ট করা হয়। সেই পোস্টের সমালোচনা করে তৎকালীন বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসক্লাবের সেক্রেটারি শাহরিয়ার নাসের পোস্ট করেন। সেখানে ফয়েজ আহমেদ কমেন্ট করেন, ‘এখানে দুঃসাহসের কিছু তো দেখছি না’। এই একটি কমেন্টের কারণে ফয়েজ আহমেদকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। তাকে পাঁচদিনের কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়ে দীর্ঘ চার বছর ক্লাস ও পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করা থেকে বঞ্চিত করা হয়। পরবর্তীতে এ ঘটনায় শিক্ষা বিভাগের চেয়ারম্যান বিপ্লব মল্লিককে আহ্বায়ক করে ছয় সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। যেখানে সদস্য হিসেবে ছিলেন তৎকালীন প্রক্টর নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর, মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের চেয়ারম্যান ড. ফিরোজ আহমেদ, ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগের পরিচালক আফসানা মৌসুমী, ভাষা শহীদ আব্দুস সালাম হলের প্রভোস্ট আনিসুজ্জামান রিমন ও সদস্য সচিব হিসেবে ছিলেন নোবিপ্রবি বিএনসিসির পিইউও একিউএম সালাউদ্দিন পাঠান।
ঢাবিতে ২ অধ্যাপকের অব্যাহতির দাবি, শিক্ষার্থীদের মার্চ কর্মসূচি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইআর) দুজন অধ্যাপকের বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতি ও ধর্মীয় পোশাকের ভিত্তিতে শিক্ষার্থীদের হেনস্থার অভিযোগে স্থায়ী অব্যাহতির দাবি জানিয়েছেন ইনস্টিটিউটের সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা।
শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) দুই অধ্যাপকের স্থায়ী অব্যাহতির দাবিতে ‘মার্চ টু আইইআর’ কর্মসূচি পালন করেছেন সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা।
অভিযুক্ত দুই শিক্ষক হলেন, শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. অহিদুজ্জামান চান ও অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান লিটু।
দুই অধ্যাপকের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের বিরোধিতা, স্বৈরাচার সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা, দুর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতা, রাজনৈতিক পেশি শক্তি খাটিয়ে শিক্ষার্থীদের নিপীড়ন ও ধর্মীয় পোশাকের ভিত্তিতে শিক্ষার্থীদের হেনস্থা ও অকৃতকার্য করানোর মতো ঘটনা ঘটিয়েছেন তারা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিজয় একাত্তর হলের এক শিক্ষার্থী বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের বিরোধিতা করেছেন অহিদুজ্জামান চান স্যার। আমাদের সঙ্গে সংহতি না জানিয়ে তিনি উল্টো টকশোতে গিয়ে বলেছেন, বিরোধী দলের মানুষজন এই আন্দোলন করেছে।
এই শিক্ষার্থী ক্ষোভ প্রকাশ করে আরও বলেন, ১৫ জুলাই ছাত্রলীগ সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করলে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা ইনস্টিটিউটের ভেতরে ঢুকতে চাইলে লিটু স্যার গেট খুলেননি। এছাড়া এই দুজন অধ্যাপক ধর্মীয় পোশাকের ভিত্তিতে শিক্ষার্থীদের হেনস্থা করেছেন। মাহবুবুর রহমান লিটু স্যার ২৬তম ব্যাচের একজন শিক্ষার্থীকে ভাইভা বোর্ডে অকৃতকার্য করে দিয়েছেন হিজাব না খোলার কারণে। চান স্যার আমাদের অনেক শিক্ষার্থীকে পরীক্ষার হলে হিজাব পরে আসার কারণে হেনস্থা করেছেন। পরীক্ষার হল থেকে বের হয়ে যেতে বলেছেন। বিশ্ববিদ্যালয় যতদিন পর্যন্ত আমাদের দাবি মেনে নিয়ে দুই অধ্যাপককে স্থায়ী অব্যাহতি না দেবে ততদিন আমাদের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।
এর আগে গত ১১ আগস্ট থেকে শিক্ষার্থীদের এই দুই অধ্যাপকের অব্যাহতি চেয়ে ইনস্টিটিউটের গেটে তালা ঝুলিয়ে অসহযোগ আন্দোলন করে আসছেন। শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে দুই অধ্যাপকের বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্ত করতে ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. তৈয়েবুর রহমানকে আহ্বায়ক করে গত ১ সেপ্টেম্বর একটি ‘তথ্যানুসন্ধান কমিটি’ গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
এ দিকে গত ১ সেপ্টেম্বর থেকে অভিযুক্ত দুই অধ্যাপককে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল অ্যাকাডেমিক ও প্রশাসনিক কাজ থেকে সাময়িক অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। ড. এম. ওয়াহিদুজ্জামানকে আইইআরের পরিচালক পদ থেকে অপসারণ করে অধ্যাপক হোসেনে আরা বেগমকে ভারপ্রাপ্ত পরিচালকের দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দিয়েছে। প্রশাসনের এই পদক্ষেপকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা স্বাগত জানিয়ে তদন্তের ক্ষেত্রে পূর্ণ সহযোগিতা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
হাবিপ্রবিতে ‘বিশ্ববিদ্যালয় দিবস’ ৮ এপ্রিল
১১ সেপ্টেম্বরের পরিবর্তে এখন থেকে ৮ এপ্রিল হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (হাবিপ্রবি) ‘বিশ্ববিদ্যালয় দিবস’ পালিত হবে। বিষয়টি আরটিভি অনলাইনকে নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর কবির।
তিনি বলেন, ২০০৪ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের রিজেন্ট বোর্ডে প্রজ্ঞাপন জারির তারিখ ৮ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয় দিবস হিসেবে পাশ করা হয়। পরবর্তীতে আওয়ামী সরকার ক্ষমতায় আসলে ২০০৯ সালের ১৭ তম রিজেন্ট বোর্ডে বিশ্ববিদ্যালয় দিবস পরিবর্তন করে ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন এর তারিখ, ১১ সেপ্টেম্বর করা হয়। প্রায় সব বিশ্ববিদ্যালয়েই প্রজ্ঞাপন জারির তারিখ অথবা ক্লাস শুরুর তারিখ বিশ্ববিদ্যালয় দিবস হিসেবে পালিত হয়। আমাদের প্রকৃত বিশ্ববিদ্যালয় দিবস ৮ এপ্রিল। ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসররা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস পরিবর্তন করে ১১ সেপ্টেম্বর করেছে। আমরা প্রকৃত দিনই বিশ্ববিদ্যালয় দিবস হিসেবে উদযাপন করতে চাই। ১১ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপন করলে ছাত্র-জনতার রক্তের সঙ্গে বেঈমানি করা হবে।
ড. জাহাঙ্গীর কবির আরও বলেন, গত ৮ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয় দিবস নিয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয় এবং আজ সেই কমিটি আমাদের কাছে রিপোর্ট পেশ করেছে। রিপোর্টে তারা ৮ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয় দিবস হিসেবে পালন করার সুপারিশ করেছেন। আগামীকাল বর্তমান দায়িত্বপ্রাপ্ত স্যারের অনুমতি সাপেক্ষে নোটিশ প্রকাশ করা হবে এবং আগামী একাডেমিক কাউন্সিল ও রিজেন্ট বোর্ড সভায় তা পাশ করা হবে। আমরা আগামী ৮ এপ্রিল ধুমধাম করে বর্ণাঢ্য আয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপন করবো।
প্রসঙ্গত, উত্তরবঙ্গের অন্যতম শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠ হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (হাবিপ্রবি) বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে যাত্রা শুরুর পূর্বে এটি ১৯৭৬ সালে এগ্রিকালচারাল এক্সটেনশন ট্রেনিং ইনিস্টিটিউট (এইটিআই) হিসেবে কৃষিতে ডিপ্লোমা ডিগ্রি প্রদান করতো। পরে ১৯৮৮ সালের ১১ নভেম্বর ইনস্টিউটকে স্নাতক পর্যায়ে কৃষি কলেজে উন্নীত করা হয়। এটি তখন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ এর অধিভুক্ত একটি কলেজ ছিল।
পরে ১৯৯৯ সালের ১১ সেপ্টেম্বর তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। কলেজটিকে বিশ্ববিদ্যালয়ে উন্নীত করার লক্ষ্যে ‘বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন প্রকল্প’ গ্রহণ করা হয়। সেসময় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আনিসুর রহমানকে প্রকল্প পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়। প্রকল্প পরিচালকের অধীনেই ২০০০ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম ব্যাচ ও ২০০১ সালে দ্বিতীয় ব্যাচ ছাত্র ভর্তি সম্পন্ন হলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন, প্রজ্ঞাপন, পরীক্ষা পদ্ধতি, উপাচার্য নিয়োগসহ নানাবিধ জটিলতার কারণে কার্যত অচল থাকে বিশ্ববিদ্যালয়। প্রথম ও দ্বিতীয় ব্যাচের শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে ২০০১ সালের ৮ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয় আইন পাশ হয়। পরে ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় আসলে প্রজ্ঞাপন জারিতে আবারও জটিলতা দেখা দেয়। পরবর্তীতে আবারও শিক্ষার্থীদের দাবিতে ২০০২ সালের ৮ এপ্রিল প্রজ্ঞাপন জারি হওয়ায় মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিষ্ঠা লাভ করে বিশ্ববিদ্যালয়টি।
পরে ১৬ এপ্রিল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশিষ্ট মৃত্তিকা বিজ্ঞানী প্রফেসর ড. মো. মোশাররফ হোসাইন মিঞাঁকে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ প্রদান করা হয়।
আরটিভি/আইএম
ঢাবিতে গণরুম বিলুপ্ত
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা গণরুম প্রথা বিলুপ্তির সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভোস্ট স্ট্যান্ডিং কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সভার বাকি সিদ্ধান্তগুলো হলো আগামী ২২ সেপ্টেম্বর থেকে একাডেমিক কার্যক্রম শুরু করার জন্য প্রত্যেক হল প্রাধ্যক্ষ যথাযথ ব্যবস্থা নেবেন, ২০১৭-১৮ ভর্তি সেশন ও পূর্ববর্তী সেশনের যেসব শিক্ষার্থীর ইতোমধ্যে মাস্টার্স পরীক্ষা শেষ হয়েছে, তারা আগামী ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে হল ত্যাগ করবেন ও হলের গেমস রুমকে সহশিক্ষামূলক কার্যক্রমে ব্যবহার উপযোগী হিসেবে গড়ে তোলা হবে।
অধ্যাপক আব্দুল মতিন চৌধুরী ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খানের সভাপতিত্ব সভায় উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীসহ আবাসিক হলের প্রাধ্যক্ষরা উপস্থিত ছিলেন।
আরটিভি/আইএম-টি
সায়েন্সল্যাবে সংঘর্ষ, আহত ১৫ শিক্ষার্থী ঢামেকে
রাজধানীর সায়েন্সল্যাবে ঢাকা কলেজ ও আইডিয়াল কলেজ শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় ১৫ জন আহত হয়েছেন। পরে তাদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে দফায় দফায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
ঢাকা কলেজের এক শিক্ষার্থী বলেন, আজ ঢাকা কলেজের নবীন বরণ অনুষ্ঠান ছিল। অনুষ্ঠান শেষে শিক্ষার্থীরা বের হলে আইডিয়াল কলেজের শিক্ষার্থীরা আমাদের কলেজের ভেতরে ঢুকে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকেন। এতে আমাদের অনেক শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হয়েছেন। পরে তাদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসা হয়েছে।
আইডিয়াল কলেজের শিক্ষার্থীরা বলেন, ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা আমাদের ক্যাম্পাসে এসে ভাঙচুর করে এবং আমাদের কলেজের বিলবোর্ড খুলে নিয়ে যায়। পরে তাদের সঙ্গে কয়েক দফা ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া চলে। এতে আমাদের অনেক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।
আহত শিক্ষার্থীরা হলেন, ঢাকা কলেজের মশিউর রহমান (১৭), আব্দুল্লাহ (১৮), তৌহিদুর রহমান তানভীর (১৭), বাদল (১৭), সামির (১৫), তাহমিদ সালেহ (২১), আব্দুল্লাহ (১৮), আরিফ (১৯), শামীম (১৭), বখতিয়ার (১৮), মো শামীম (১৭), নিশাত (১৬), হুজাইফা (২৩), ইয়াসিন (১৮) ও আইডিয়াল কলেজের শিক্ষার্থী উসাইব (১৮)।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক জানান, ঢাকা কলেজ ও আইডিয়াল কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় দুই কলেজের বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হয়ে ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন। অনেকে চিকিৎসা নিয়ে চলে গেছেন।
আরটিভি/এসএ
ভারত একটা গুলি চালালে ১০টি গুলি চালাতে হবে: সমন্বয়ক হাসিব
বাংলাদেশ সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলি চালানোর বিষয়ে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক হাসিব আল ইসলাম বলেছেন, ওইদিক থেকে যদি একটা গুলি ওরা ছোড়ে এদিক থেকে ১০টি গুলি চালাতে হবে।
মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৩টায় সিলেট জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
হাসিব আল ইসলাম বলেন, ভারত বাংলাদেশের সঙ্গে সবসময় আগ্রাসী আচরণ করে আসছে, এখনই সময় এগুলো বন্ধ করতে হবে। বন্ধ না করলে বাংলাদেশের ছাত্র-সমাজ ভিন্নভাবে চিন্তা করবে। ভারতের সঙ্গে যত অবৈধ চুক্তি ছিল, সেগুলো বাতিল করতে হবে। ভারত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগকে অবৈধভাবে ক্ষমতায় রেখেছিল।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের বর্তমান সরকার ছাত্র-জনতার সরকার। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশকে (বিজিবি) সক্রিয়ভাবে তাদের ভূমিকা পালন করতে হবে। ওইদিক থেকে যদি একটা গুলি ওরা ছোড়ে এদিক থেকে ১০টি গুলি চালাতে হবে।
মতবিনিময় সভায় সমন্বয়করা বক্তব্যে শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের আওতায় নিয়ে আসার জোর দাবি জানান। এ সময় জেলা-উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
আরটিভি/এবি/এসএ