• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo

বেকার সময়ে মৌসুমী ফল বিক্রিতে ঝুঁকেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় সংবাদদাতা, আরটিভি নিউজ

  ০৬ জুন ২০২১, ১৩:৩০
বেকার সময়ে মৌসুমী ফল বিক্রিতে ঝুঁকেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা
বেকার সময়ে মৌসুমী ফল বিক্রিতে ঝুঁকেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা

সময়টা জ্যৈষ্ঠ মাস। গাছজুড়ে তাই শোভা পাচ্ছে বাহারী রঙ্গের ফল। এসময় অঞ্চলজুড়ে আম ও লিচুর জনপ্রিয়তার তারতম্য রয়ে যায়। অঞ্চলভিত্তিক জনপ্রিয় ফলগুলো জেলা শহরগুলোতে পৌঁছানোর মাধ্যমে দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে অনলাইন প্ল্যাটফর্ম। যা করোনাভাইরাসের মহামারিকালে আরও বেশি জনপ্রিয়তা পেয়েছে।

অনেকেই বাড়তি আয়ের জন্য অনলাইনে বিক্রি করছেন ফল। শিক্ষিত বেকার তরুণ-তরুণীরা যুক্ত হচ্ছেন মৌসুমি ফল ব্যবসায়। অনেকেই নিজেদের বাগান থেকেই এসব ফল অনলাইনের মাধ্যমে অর্ডার নিয়ে পৌঁছে দিচ্ছেন দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। অনলাইনে ফল ব্যবসায় সব থেকে বেশি জনপ্রিয় ও চাহিদা সম্পন্ন ফল হচ্ছে আম ও লিচু।

এসব ফল বিক্রির সঙ্গে যেসব তরুণ-তরুণীরা যুক্ত হচ্ছেন তাদের অধিকাংশই দিনাজপুর, খুলনা, রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের। কেউ কেউ পড়াশোনা শেষ করে পূর্ণাঙ্গভাবে মৌসুমি ফল ব্যবসায় যোগ দিয়েছেন। আবার অনেক বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা করোনার এই বেকার সময়কে কাজে লাগাচ্ছেন মৌসুমি ফল ব্যবসায়। এতে যেমন তাদের অলস সময় পার হচ্ছে, সঙ্গে হাতখরচ চালানোর মতো কিছু টাকাও রোজগার হচ্ছে।

এরকম তিনজন তরুণ ফল বিক্রেতা উদ্যেক্তার গল্প শুনবো আমরা। যারা অনলাইন প্লাটফর্মকে কাজে লাগিয়ে আম ও লিচু দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বিক্রি করছেন।

রাজশাহী বিশ্ববিদালয়ের শিক্ষার্থী শাহীন আলম বলেন, করোনার এই অলস সময়ে পড়াশোনোর পাশাপাশি আম ও লিচুর ব্যবসা শিক্ষার্থীদের জন্য উপার্জনের একটি নতুন দ্বার উন্মোচন করেছে। সেই সুযোগটা কাজে লাগিয়েছি। হ্যালো রাজশাহী ম্যাংগো পেজ খুলে আমের প্রচারণা করে থাকি। বেশ সাড়াও পাচ্ছি। অনলাইনে গ্রাহকদের কাছে আম পৌঁছানোর ক্ষেত্রে বেশ কিছু প্রতিবন্ধকতা অতিক্রম করতে হয়। গাছ থেকে খুব যত্নসহকারে পাকা আম নামাতে না পারলে ডেলিভারি দিতে দিতে সে আমের মুখ কালো হয়ে যায় অথবা টক হয়ে যায়।

গত বছরের তুলনায় এ বছর অনলাইনে আম ব্যবসায়ীর সংখ্যা অনেক বেড়েছে ফলে লাভের সম্ভাবনা কম। তবে ধৈর্য নিয়ে শেষ পর্যন্ত লেগে থাকলে ভালো কিছু হবে আশা করা যায়। রাজশাহীর জনপ্রিয় গোপালভোগ, হিমসাগর, ল্যাংড়া, আমরূপালী বিক্রি করে থাকি। এবছর আম বিক্রিতে কুরিয়ার খরচ একটু বেশি। তাই লাভ একটু কমই হচ্ছে। তবে যে অভিজ্ঞতা হচ্ছে এটাই আমার কাছে বেশ ভালো লাগার।

হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মোঃ মিরাজুল আল মিশকাত বলেন, এ মহামারিতে নতুন উদ্যোক্তা তৈরি হয়েছে। নিজেদের বাগান থাকায় খুব সহজে পাইকারি দামে উন্নতমানের আম সরবরাহ করতে পারি। অতি অল্প সময়ের মাঝেই ক্রেতাদের কাছে আম পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। লালমাটিতে রোপন করা গাছ থেকে হাড়িহাঙ্গা আমের প্রকৃত স্বাদ পাওয়া যায়। প্রতিবছর প্রায় ছয় হাজারের অধিক মণ আম আমাদের পারিবারিক বাগান থেকে উৎপাদিত হয়। ব্যক্তিগত ভাবে কিছু মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করতে পেরেছি। পক্ষান্তরে প্রতিবন্ধকতার কথা বলতে গেলে শুরুতেই বলতে হয় যোগাযোগ ব্যবস্থার দুরবস্থার কথা। সেই সাথে রংপুর থেকে যদি রাজশাহীর মতো ট্রেন যোগাযোগ সরকার চালু করতো তাহলে অনলাইনে ভালো ব্যবসা করা যেতো। উত্তরের আমঘর ফেসবুক পেজে আমের বিষয়ে নিয়মিত তথ্য দিয়ে থাকি। সবমিলে বেকার সময়টা আম বিক্রির ব্যস্ততাই কাটছে।

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রুমি নোমান বলেন, অনলাইনে আমরা ফেসবুক চালিয়ে অযথা সময় নষ্ট করে থাকি। সেই সময়টা অনলাইনকে কাজে লাগিয়ে মৌসুমী ফল বিক্রি শুরু করেছি। গত বছরের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে প্রায় ২০ মণের উপর আম বিক্রি করেছি। তবে অনলাইনে আম বিক্রিতে ডেলিভারির সমস্যা প্রকট আকার ধারন করেছে। কুরিয়ার সার্ভিসগুলোর দায়িত্বশীলতার অভাব রয়েছে। এতে আমরা গ্রাহক হারিয়ে ফেলি। এছাড়াও আমের পরিবহণ খরচ অনেক বেশি। আম পরিবহণের যে ট্রেন রয়েছে, এটা শুধু উত্তরবঙ্গ থেকেই আসে। সব স্থানে বা পোস্ট অফিসে এ ধরনের পরিবহণ ব্যবস্থা সুলভ মূল্যে করা গেলে ভালো হতো।

এমআই

মন্তব্য করুন

daraz
  • ক্যাম্পাস এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
রাজা জিগমে খেসার আমন্ত্রণে ভুটান গেছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী
ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তি সইয়ের সম্ভাবনা
প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে আইসিসির এলিট প্যানেলে সৈকত
রমজান মাসে ৪ বিশেষ আমল
X
Fresh